কলকাতা: লি রোডের স্বর্ণ ব্যবসায়ী শান্তিলাল বৈদ্য খুনে গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত। আহমেদাবাদ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বছর আঠাশের বিমল শর্মাকে। বুধবার কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত কুমার গোয়েল গ্রেফতারির বিষয়টি জানান। বিমলের খোঁজে ওড়িশার পাশাপাশি একাধিক রাজ্যে তল্লাশি চালানো হয়েছিল। ওড়িশা পুলিশের তরফ থেকে বিমলের ছবি প্রকাশ করে বিভিন্ন জায়গায় দেওয়া হয়েছিল। তাকে ধরে দিতে পারলে পুরস্কার দেওয়া হবে বলেও ঘোষণা করেছিল পুলিশ। কিন্তু বিমল ঘটনার পর নিজের চেহারায় বিস্তর বদল এনেছিল। তাতে তাকে চিনতে অসুবিধা হচ্ছিল। বিমলকে শেষ কটকে দেখা গিয়েছিল। কলকাতা পুলিশের একটা দল ওড়িশাতেও যায়।
তবে এই খুনের মোটিভও এখন তদন্তকারীদের কাছে স্পষ্ট নয়। কেন মুক্তিপণের টাকা পাওয়ার পরও খুন করা হয়েছিল লি রোডের ব্যবসায়ী শান্তিলাল বৈদ্যকে, আদৌ তাঁর সঙ্গে আততায়ীর কোনও সমকামিতার সম্পর্ক ছিল কিনা, তাও তদন্ত সাপেক্ষ।
তবে সমকামী তত্ত্ব এক্ষেত্রে অনেক বেশি জোরাল হয়েছে। ব্যবসায়ীর ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলা হয়েছে, শরীরের একাধিক জায়গায় আঁচড়ের দাগ ছিল তাঁর। তদন্তে উঠে এসেছে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। গেস্ট রুমের ঘরে একটি খাটের ওপর কম্বল খোলা অবস্থায় ছিল। সেই কম্বলের ওপরে জৈবিক তরলের দাগ পাওয়া গিয়েছে।
জানা দিয়েছে, বিমলের সঙ্গেই ৯ ফেব্রুয়ারিও শম্ভুনাথ পণ্ডিত রোডের ওই গেস্ট হাউসেই ওঠেছিলেন ব্যবসায়ী। ওই ব্যবসায়ী একাধিকবার ওই গেস্ট হাউসে এসেছিলেন বলে তথ্য প্রমাণ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি, শম্ভুনাথ পণ্ডিত রোডের সেইগেস্ট হাউজের তৃতীয় তলায় স্বর্ণ ব্যবসায়ী শান্তিলাল বৈদ্যের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পুলিশের হাতে এসেছে আরও বেশ কয়েকটি চাঞ্চল্যকর তথ্য। শান্তিলালের বেশ কিছু ঘনিষ্ঠ ছবি ও ভিডিয়ো ফাঁস করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিল বিমল। পরিবার অন্তত সেকথা জানিয়েছে। সেক্ষেত্রে বিমলের সঙ্গে শান্তিলাল বৈদ্যের কী ধরনের সম্পর্ক ছিল, তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।
আরও পড়ুন: মমতার বিরুদ্ধে ‘নাম ভাঙানোর’ অভিযোগ! পুরভোটের ফল প্রকাশের দিনই মোদীকে চিঠি শুভেন্দুর
আরও পড়ুন: ‘ওঁ তো বাঘিনী!’ রাতারাতি মমতা প্রসঙ্গে হঠাৎ কী ‘স্তুতি’ দিলীপের মুখে?