রুদ্র নাকি দীনেশ, ভবানীপুরে গেরুয়া জার্সিতে কে? জল্পনায় ৪ নাম, প্রার্থী দিতে আগ্রহী নয় কংগ্রেস

TV9 Bangla Digital | Edited By: ঋদ্ধীশ দত্ত

Sep 05, 2021 | 12:06 AM

বুঝে শুনে পা ফেলতে চাইছে পদ্মশিবির। সূত্রের খবর, আপাতত চারটি নাম নিয়ে আলোচনা চলছে। একজন মহিলা প্রার্থীর নামও আলোচনায় রয়েছে।

রুদ্র নাকি দীনেশ, ভবানীপুরে গেরুয়া জার্সিতে কে? জল্পনায় ৪ নাম, প্রার্থী দিতে আগ্রহী নয় কংগ্রেস

Follow Us

কলকাতা: ভবানীপুরে উপনির্বাচন ঘোষণা করা নিয়ে কমিশনের বিরুদ্ধে বিজেপির যতই ক্ষোভ থাকুক না কেন, ভোটে তো লড়তেই হবে গেরুয়া শিবিরকে। তাই প্রার্থী খোঁজার কাজ শুরু হচ্ছে সোমবার থেকেই। খোদ তৃণমূল সুপ্রিমোর বিরুদ্ধে প্রার্থী দিতে হবে। যে কারণে বুঝে শুনে পা ফেলতে চাইছে পদ্মশিবির। সূত্রের খবর, আপাতত চারটি নাম নিয়ে আলোচনা চলছে। একজন মহিলা প্রার্থীর নামও আলোচনায় রয়েছে। অন্যদিকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী প্রত্যাশিতভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, কংগ্রেস ভবানীপুর আসনে প্রার্থী দিতে চায় না।

গেরুয়া শিবিরে যে কয়েকটি নাম নিয়ে জল্পনা চলছে, তার মধ্যে সবার উপরেই রয়েছেন অভিনেতা থেকে রাজনেতা হওয়া রুদ্রনীল ঘোষ। এ বাদেও নাম রয়েছে আরও কয়েকজনের। প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায়ের নাম আলোচনায় উঠে এসেছে। এ বাদে তৃণমূল ত্যাগী প্রাক্তন সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদীর নাম রয়েছে তালিকায়। বোলপুরের বিজেপি প্রার্থী অরিন্দম গঙ্গোপাধ্যায়ের নামও আলোচনার মধ্যে রয়েছে। এ বাদে মমতার বিরুদ্ধে থাকছে এক মহিলা প্রার্থীর নাম। বিজেপি সূত্র জানা গিয়েছে, এ ক্ষেত্রে ভারতী ঘোষের নাম নিয়ে আলোচনা হলেও হতে পারে।

বিধানসভায় যুব কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট শাদাব খান প্রার্থী হয়েছিলেন ভবানীপুরে। উপনির্বাচনে যদিও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রার্থী দিতে আগ্রহী নন, সেটা তিনি প্রথমেই জানিয়ে দিয়েছিলেন। ফলে সিপিএম এই আসনে কোনও যুব মুখকে প্রার্থী করতে পারে, এমন সম্ভাবনার কথাও শোনা যাচ্ছে। তবে সিপিএম আগ বাড়িয়ে কাউকে প্রার্থী করতে রাজি নয়। কংগ্রেস আদৌ প্রার্থী দেবে কি না সেই সিদ্ধান্তভার এখন হাইকমান্ডের কোর্টে। একমাত্র সোনিয়া গান্ধী যদি অধীরের সিদ্ধান্তের সহমত হন, তবেই কংগ্রেস সরে আসতে পারে। আর তারপরই সিপিএম প্রার্থী দেওয়ার বিষয়টি ভেবে দেখবে।

যদিও এ দিন উপনির্বাচন ঘোষণার থেকেও বেশি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে কমিশনের বিরুদ্ধে বঙ্গ বিজেপির বিদ্রোহ। বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ নেতারা যে ভাষায় কমিশনের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন, তা একপ্রকার নজিরবিহীন। ভুলে গেলে চলবে না, এই বিজেপি নেতারাই ১০০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এনে আট দফায় বিধানসভা ভোট করার জন্য নির্বাচন কমিশনের আকণ্ঠ প্রশংসা করেছিলেন। সেই নেতারাই কমিশনের আজকের সিদ্ধান্তে ‘শকড’। কারণ বিজেপি আগাগোড়াই উপনির্বাচনের বিরুদ্ধে ছিল। তাদের আপত্তি উড়িয়ে বাকি আসনগুলিতে উপনির্বাচন না করে শুধুমাত্র ভবানীপুরকে কী ভাবে বেছে নিল কমিশন? ভেবে কুল-কিনারা পাচ্ছেন না বিজেপি নেতারা। এই অবস্থায় শুধুমাত্র একটি আসনে বিধানসভা ভোট ঘোষণার কারণে কমিশনের বিরুদ্ধে আইনগত ভাবে কোনও পদক্ষেপ করা যায় কি না, সেই ভাবনাও ভাবা শুরু করেছে গেরুয়া শিবির।

বলাই বাহুল্য, বঙ্গ বিজেপি চাইলেই নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে আইনি পথে হাঁটতে পারবে না। এর জন্য তাদের সবার আগে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের অনুমোদন নিতে হবে। নয়তো কোনও ভাবেই কিছু করা সম্ভব নয়। সূত্রের খবর, এই নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করা হতে পারে। সেই দরজাও বিজেপি খোলা রাখতে চাইছে। তবে আগামী ৬ এবং ৭ সেপ্টেম্বর আগে বৈঠকে বসে প্রার্থীদের সম্পর্কে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কমিশনের বিরুদ্ধে আইনি রাস্তায় হাঁটা যায় নাকি, সেই কথা পরে ভাবা হবে। আরও পড়ুন: মমতার ‘চ্যালেঞ্জার’ চয়নে বৈঠকে বিজেপি, ক্ষোভ বাড়ছে কমিশনের সিদ্ধান্তে

 

Next Article