কলকাতা: নিয়োগ রুখতে আইনজীবীদের বিরুদ্ধে বিপুল টাকা নিয়ে মামলার অভিযোগ সংক্রান্ত একটি স্ক্রিনশট শেয়ার করেছিলেন কুণাল ঘোষ। তা নিয়ে এবার কুণালকে একযোগে চাঁচাছোলা ভাষায় বিঁধলেন নিয়োগ মামলায় বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের দুই আইনজীবী ফিরদৌস শামিম ও বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। ফিরদৌসের প্রশ্ন, রাজ্য সরকার আইনজীবী নিয়োগের জন্য কত টাকা দিয়েছে, তারও তদন্ত হবে? অন্যদিকে বর্ষীয়ান আইনজীবী সিপিএম নেতা বিকাশ ভট্টাচার্য বলেন, মামলা লড়তে টাকা নেবেন আইনজীবী, এতে তো দোষের কিছু নেই। এ তো আর কাটমানির টাকা নয়।
২০ জুন এক্স হ্যান্ডেলে কুণাল ঘোষ একটি পোস্ট করেন। একটি স্ক্রিনশট শেয়ার করে কুণাল লেখেন, ‘শিক্ষা সংক্রান্ত চাকরি মামলা দেখিয়ে কিছু ব্যক্তি বিপুল টাকা তুলছেন বলে অভিযোগ। একটি গ্রুপের পোস্টে তার ইঙ্গিত স্পষ্ট। এসব কথা আগেও কানে এসেছে। বহু সংখ্যক কর্মপ্রার্থীর কাছ থেকে মামলার নামে বিপুল টাকা তোলার কথাগুলি সত্য কি না জানতে তদন্ত হোক। অভিযুক্তদের হেফাজতে নিয়ে জেরা দরকার।’
কুণাল যে স্ক্রিনশট শেয়ার করেন সেখানেই ফিরদৌস শামিমের নাম রয়েছে। ফিরদৌস বলেন, “এরমধ্যে অস্বাভাবিকতার কী আছে? আইনজীবী পারিশ্রমিক নেবেন না তো তাঁরা কি গরু চুরি, বালি চুরি, চাকরি চুরি করবেন? আইনজীবী ফি নেবেন স্বাভাবিক বিষয়। উনি বলেছেন, নিয়োগ দুর্নীতির ফলে নাকি মামলা দুর্নীতি হয়েছে। তদন্ত হওয়া উচিত। তাহলে রাজ্য সরকার যে আইনজীবী নিয়োগে ব্যয় করেছে, সে হিসাব দেবে?”
শিক্ষা সংক্রান্ত চাকরি মামলা দেখিয়ে কিছু ব্যক্তি বিপুল টাকা তুলছেন বলে অভিযোগ। একটি গ্রুপের পোস্টে তার ইঙ্গিত স্পষ্ট। এসব কথা আগেও কানে এসেছে। বহু সংখ্যক কর্মপ্রার্থীর কাছ থেকে মামলার নামে বিপুল টাকা তোলার কথাগুলি সত্য কিনা জানতে তদন্ত হোক। অভিযুক্তদের হেফাজতে নিয়ে জেরা দরকার। pic.twitter.com/t4W8Ry4HEj
— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) June 20, 2024
অন্যদিকে এই ইস্যুকে সামনে রেখে খোঁচা দিতে ছাড়েননি বিকাশ ভট্টাচার্যও। তাঁর কথায়, “মামলার জন্য তো টাকা লাগেই। ফিরদৌস তো আর কুণালবাবুর কাটমানির টাকা পান না। ফিরদৌস জুনিয়র আইনজীবী। মামলা লড়তে গেলে তিনি যদি মক্কেলকে বলেন, আমাকে টাকা দিন, তাতে অপরাধটা কোথায়? এটা তো তিনি তাঁর পেশাগত দিক থেকে করতেই পারেন। কুণালবাবু যদি মনে করেন যাঁরা চাকুরিপ্রার্থী, তাঁদের কাছ থেকে জোর করে টাকা নেওয়া হচ্ছে, পকেটে হাত ঢুকিয়ে টাকা নেওয়া হচ্ছে, তাহলে আপত্তি হতে পারত। নাহলে আপত্তির কী আছে?”