Bikash Bhavan: ‘এই ভাবে আন্দোলন দমানো যাবে না’, থানায় হাজিরা দিয়েও বললেন চাকরিহারা শিক্ষক ইন্দ্রজিৎ
Bikash Bhavan: ১৫ তারিখে বিকাশ ভবন অভিযানের ঘটনায় ইন্দ্রজিৎ মন্ডল-সহ সুদীপ কোনারকে তলব করা হয় বিধান নগর উত্তর থানায়। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ বিধান নগর নর্থ থানায় প্রবেশ করেন ইন্দ্রজিৎ। বিকাশ ভবন অভিযানের ঘটনার দিন তিনি সেখানে উপস্থিত থাকায় তাঁকেও একাধিক ধারায় মামলা দেওয়া হয়েছে।

কলকাতা: বিকাশভবন চাকরিহারাদের বিক্ষোভ। তার জেরে পাঁচ চাকরিহারা শিক্ষককে তলব করেছিল বিধাননগর উত্তর থানার পুলিশ। এবার হাইকোর্টের নির্দেশ মেনেই বিধাননগর উত্তর থানায় হাজিরা দিতে এলেন ইন্দ্রজিৎ মণ্ডল, সুদীপ কোনার।
১৫ তারিখে বিকাশ ভবন অভিযানের ঘটনায় ইন্দ্রজিৎ মন্ডল-সহ সুদীপ কোনারকে তলব করা হয় বিধান নগর উত্তর থানায়। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ বিধান নগর নর্থ থানায় প্রবেশ করেন ইন্দ্রজিৎ। বিকাশ ভবন অভিযানের ঘটনার দিন তিনি সেখানে উপস্থিত থাকায় তাঁকেও একাধিক ধারায় মামলা দেওয়া হয়েছে।
তবে এদিনের তলব প্রসঙ্গে চাকরিহারা শিক্ষক ইন্দ্রজিৎ মণ্ডল বলেন, “আন্দোলন ভাঙার জন্য চেষ্টা চলছে। যতই মামলা দেওয়া হোক এই আন্দোলনকে দমানো যাবে না।” পাশাপশি তিনি আরও বলেন, “যতই মামলা দেওয়া হোক, চাকরি হারা যোগ্য শিক্ষকদের আন্দোলনের পাশে আগামী দিনেও থাকবেন।”
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার চাকরিহারাদের বিকাশভবন অভিযান ছিল। সকালে তাঁরা পুলিশি বাধা টপকে ব্যারিকেড ভেঙে, কার্যত বিকাশভবনের সামনের গেটে ভেঙে ভিতরে ঢোকেন। সন্ধ্যা পর্যন্ত বিকাশভবনের ভিতরেই অবস্থান বিক্ষোভ চালাচ্ছিলেন তাঁরা। ভিতরে ছিলেন বিকাশভবনের কর্মীরা। রাতে পুলিশ গিয়ে লাঠিচার্জ করে চাকরিহারাদের তুলে দেয়। একাধিক চাকরিহারা আক্রান্ত হন। লাঠি আঘাতে চাকরিহারাদের হাতও ভেঙে যায়। সেই ঘটনা নিয়ে তীব্র সমালোচনা হয় বিভিন্ন মহলে। যদিও পরে কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে দাবি করা হয়, পুলিশ বাধ্য হয়েই লাঠিচার্জ করেছে। এবার চাকরিহারাদেরই তলব করেছে পুলিশ। এবার এই পরিস্থিতিতে বিকাশভবনের বাইরে করুণাময়ীতে রাস্তার ওপর অবস্থান বিক্ষোভ চালাচ্ছেন তাঁরা।

