Recruitment Case-High Court: ‘আপনার জন্যই প্যানেল বাতিল হচ্ছে…’ এজলাস থেকে বেরতেই প্রার্থীরা ঘিরে ধরলেন বিকাশকে

Bikash Ranjan Bhattacharya: ২০১৪-র টেট থেকে প্রাথমিকে যে নিয়োগ হয়েছে, তাতেও উঠেছে দুর্নীতির অভিযোগ। সেই মামলাই চলছিল কলকাতা হাইকোর্টে। সেখানেও হাজার হাজার প্রার্থীর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত বলে আশঙ্কা আইনজীবীদের।

Recruitment Case-High Court: 'আপনার জন্যই প্যানেল বাতিল হচ্ছে...' এজলাস থেকে বেরতেই প্রার্থীরা ঘিরে ধরলেন বিকাশকে
হাইকোর্টে বিক্ষোভের মুখে বিকাশImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 30, 2024 | 1:07 PM

কলকাতা: গত সপ্তাহেই হাইকোর্টের নির্দেশে বাতিল হয়েছে ২৫ হাজারের বেশি শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি। এবার প্রাথমিক নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার শুনানির পর আদালত চত্বরেই বিক্ষোভের মুখে পড়তে হল বর্ষীয়ান আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যকে। মঙ্গলবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে ছিল নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলার শুনানি। সেই শুনানি শেষ হওয়ার পর বিকাশ রঞ্জন বাইরে আসতেই তাঁকে ঘিরে ধরে একদল লোক। তাঁরা বলতে শুরু করেন, আপনার জন্য প্যানেল বাতিল হচ্ছে। কোনও ক্রমে সেখান থেকে বেরিয়ে যান বিকাশ ভট্টাচার্য। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

২০১৪ সালের টেট নিয়োগেও দুর্নীতির ইঙ্গিত মিলেছে। প্রাথমিক নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় সিবিআই রিপোর্টে উঠে এসেছে ব্যাপক বেনিয়মের ইঙ্গিত। নকল ওয়েবসাইট তৈরি করে নিয়োগ থেকে শুরু করে পাশ না করা প্রার্থীদের বেআইনিভাবে চাকরি দেওয়ার মতো অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার সেই তথ্য বিচারপতি মান্থার এজলাসে পেশ করেছে সিবিআই। এই নিয়ে মঙ্গলবার প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের বক্তব্য জানানোর কথা ছিল। কিন্তু এদিন আরও কয়েকজন প্রার্থী মামলায় যুক্ত হওয়ার আবেদন জানান। আদালত সবাইকে মামলায় যুক্ত হওয়ার অনুমতি দেয়।

মামলা শেষে এজলাস থেকে বেরিয়ে অন্য এজলাসে যাচ্ছিলেন বিকাশ ভট্টাচার্য। তখনই তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হয়। কেন তিনি আদালতে এই ধরনের সওয়াল করছেন, সেই প্রশ্নও তোলেন কেউ কেউ। তাঁদের মধ্যে কয়েকজন বলেন, ‘আপনার জন্যই প্যানেল বাতিল হয়েছে।’ তাঁকে ঘিরে ফেলা হলে এজলাসের বাইরে কর্তব্যরত পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ওই জায়গা থেকে বের করে দেয়।

২০১৪ সালের টেট পরীক্ষা থেকে ২০১৬, ২০২০, ২০২২ ও ২০২৪ সালে প্রাথমিকের নিয়োগ হয়েছে। আদালত এদিন পর্যবেক্ষণে উল্লেখ করেছে, এই টেট মামলার ফল যদি নেতিবাচক হয়, তাহলে এর উপর ভিত্তি করে হওয়া সব নিয়োগ মামলা অস্তিত্ব হারাতে পারে। সে ক্ষেত্রে গত চার দফায় যে প্রায় ৭০ হাজার শিক্ষক প্রাথমিকে নিয়োগ হয়েছে, তাদের ভবিষ্যতও অনিশ্চিত হয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা আইনজীবীদের। আগামী আট সপ্তাহ পরে ফের এই মামলার শুনানি রয়েছে। তার আগে সব পক্ষকে হলফনামা দিতে হবে।