কলকাতা: বড় জমায়েত এড়াতে গত বছরের ন্যায় এ বছরও ভার্চুয়ালি শহিদ দিবসের আয়োজন করেছে তৃণমূল। করোনা সংক্রমণের কারণে গত বছর প্রথমবার এই সমাবেশের ভার্চুয়াল আয়োজন করা হয়েছিল। এ বছরও সেই পদাঙ্কই অনুসরণ করা হচ্ছে। ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলের পরিবর্তে কালীঘাট থেকেই ভাষণ দেবেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সেই ভাষণ কার্যত গোটা দেশে সম্প্রচার করার পরিকল্পনা করেছে তৃণমূল। কিন্তু এই সমাবেশ নিয়ে এ বার বড় প্রশ্ন তুলে দিল বিজেপি। ভার্চুয়াল সমাবেশের আয়োজন কি বকরি ইদের জন্য? জানতে চেয়েছে পদ্মশিবির।
বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা মঙ্গলবার এই সাংবাদিক বৈঠকে এই প্রশ্ন তুলে দেন। তাঁর প্রশ্ন, করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য এই সবাবেশের ভার্চুয়াল আয়োজন করা হয়েছে, নাকি বকরি ইদের কারণে এ বার ২১ জুলাই ভার্চুয়ালি করছে তৃণমূল? রাহুলের স্থির বিশ্বাস, বকরি ইদের জন্যই একুশের ২১ জুলাই সমাবেশের ভার্চুয়াল আয়োজন করছে তৃণমূল। নিজের যুক্তি খাড়া করে তিনি বলেছেন, যদি সংক্রমণের এত ভয় থাকত তাহলে উপনির্বাচন চাইতো না তৃণমূল। রাহুলের প্রশ্ন, যারা সভা করতে পারল না, তাঁরা কি করে উপনির্বাচন চাইছেন? নিজের ‘ব্যক্তিগত মতামত’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, তৃতীয় ঢেউ আসছে। তাই কোনও ভাবেই উপনির্বাচন করা যাবে না।
এখানেই থেমে থাকেননি রাহুল। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে অন্য কারোর নাম ঘোষণার প্রস্তুতি এখন থেকেই শাসকদলের নেওয়া উচিত বলে জানিয়েছেন তিনি। এমনকী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তাঁর উপদেশ, তিনি যেন নিজের চেয়ার এমন কোনও ব্যক্তিকে ছেড়ে দেন যিনি নির্বাচন জিতে এসেছেন।
এর পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেসের শহিদ দিবস পালনকেও ‘প্রহসন’ আখ্যা দিয়েছেন তিনি। কারণ ব্যাখ্যা করে রাহুল বলেন, “যাঁদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে শহিদ দিবস তৃণমূল পালন করে, তাঁরা কেউ তৃণমূলের কর্মীই ছিলেন না। সকলেই কংগ্রেস কর্মী ছিলেন। বরং যিনি গুলি চালানোর আদেশ দিয়েছিলেন, তিনি পরবর্তী সময়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভায় জায়গা পান। শহিদ দিবসের নামে রাজনৈতিক দিবস চলছে। ২০০-র উপর বিজেপি কর্মী মারা গিয়েছে। যারা মেরেছে তাঁরা আবার শহিদ দিবস পালন করছে।” রাহুল আরও বলেন, “ধোঁকা শহিদ দিবসের বদলে আমরা আসল শহিদ দিবস পালন করব।” আরও পড়ুন: SSC: উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগে ফের ধাক্কা রাজ্যের, আদালতের নির্দেশ ছাড়া মিলবে না নিয়োগপত্র