কলকাতা: রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে হার হলেও ৩ থেকে বিধায়ক সংখ্যা ৭৭ হয়েছে বিজেপির। তাই, আরও বেশি মন্ত্রক পাওয়ার আশা ছিল বিজেপি। বাংলা থেকে মন্ত্রী ২ থেকে ৪ হলেও তাই খুশি হচ্ছে না বঙ্গ বিজেপি নেতৃ্ত্ব। এমনটাই খবর বিজেপি সূত্রে। জানা যাচ্ছে, বাংলা থেকে চার সাংসদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পদ পাচ্ছেন, নীশিথ প্রামাণিক, জন বার্লা, সুভাষ সরকার ও শান্তনু ঠাকুর। কিন্তু বিজেপির অন্দরে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে ক্ষোভের সুর। আদি বিজেপি নেতাদের জায়গা হল না কেন, তা নিয়েই বাড়ছে ক্ষোভ।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ হচ্ছে। আজ, বুধবার সন্ধেয় নতুন মন্ত্রীদের নাম ঘোষণা হবে। রাজনৈতিক মহলের মতে, বিজেপি অনেক অঙ্ক কষেই নতুন মন্ত্রীদের তালিকা তৈরি করেছে। বাংলার চার নেতার নাম দেখলেই বোঝা যাবে, উত্তরবঙ্গ থেকে দু’জন ও দক্ষিণবঙ্গ থেকে দু’জনের নাম রয়েছে তালিকায়। পাশাপাশি সংগঠনের কথা মাথায় রেখে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থেকে বাদ পড়েছেন দেবশ্রী চৌধুরী। বাদ গিয়েছে বাবুল সুপ্রিয়র নামও। অনেক সমীকরণের কথা মাথায় রেখেই এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে বিজেপিতে থেকে সংগঠনের কাজ করেছেন, তাঁদের নাম থাকায় ক্ষোভ তৈরি হচ্ছে বলে শোনা যাচ্ছে বিজেপি সূত্রে।
আরও পড়ুন: ‘ইস্তফা দিতে বলা হয়েছিল’, লিখেও মন্তব্য প্রত্যাহার প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুলের! কেন?
বাংলা থেকে যাঁরা মন্ত্রী হচ্ছেন, তাঁদের মধ্যে সুভাষ সরকার বাদে প্রায় কেউই আদি বিজেপি নয়। তৃণমূল থেকে আসা নেতারাও মন্ত্রিসভায় জায়গা পাচ্ছেন। বিজেপির একাংশ বলছে, অধিকাংশ সময়ে যাঁরা বিজেপির কর্মসূচিতে থাকে না, তাঁরাও মন্ত্রী! সূত্রের খবর, মৌখিক ভাবে কেন্দ্রীয় দলকে এই বিষয়গুলো জানাতে পারে বঙ্গ বিজেপি। এই প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘খুব আনন্দের কথা। এতদিন সবাই বলতেন ১৮ জন সাংসদের মধ্যে মাত্র ২ জন নেতা কেন? এ বার চারজন হবে। নেতাদের অভিজ্ঞতাও হবে।’ যাঁদের নাম বাদ পড়েছে, সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘অভিজ্ঞতা দেখেই মন্ত্রী বাচাই করা হয়েছে। যাঁদের জায়গা দেওয়া হয়েছে তাঁদের দলে বা সরকারে কাজের অভিজ্ঞতা আছে।’ তাঁর কথায়, ‘সরকারে রদবদল তো হতেই থাকে।’