Bengal BJP: মমতার ধরনা নিয়ে খোঁচা শুভেন্দুর, শাসকদলের বিরুদ্ধে সরব সুকান্তরা

TV9 Bangla Digital | Edited By: Soumya Saha

Mar 29, 2023 | 7:14 PM

Bengal BJP: মমতার ধর্নার পাল্টা ময়দানে নেমেছে বিজেপি শিবিরও। শ্যামবাজারে পাল্টা ধর্না কর্মসূচি রয়েছে বিজেপিরও। রয়েছেন দিলীপ ঘোষ, সুকান্ত মজুমদার সহ বঙ্গ বিজেপির তাবড় নেতারা।

Bengal BJP: মমতার ধরনা নিয়ে খোঁচা শুভেন্দুর, শাসকদলের বিরুদ্ধে সরব সুকান্তরা
শুভেন্দু অধিকারী

Follow Us

কলকাতা: শহর কলকাতায় আজ যেন রাজনীতির কার্নিভাল। আসরে নেমে গিয়েছে রাজ্যের প্রধান চার রাজনৈতিক দল। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধর্নায় বসেছেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় শহিদ মিনারে সভা করছেন। পৃথক পৃথক ইস্যুতে আবার আলাদা আলাদাভাবে রাস্তায় নেমেছে বাম-কংগ্রেসও। পিছিয়ে নেই বঙ্গ বিজেপি শিবিরও। মমতার ধর্নার পাল্টা ময়দানে নেমেছে বিজেপি শিবিরও। শ্যামবাজারে পাল্টা ধর্না কর্মসূচি রয়েছে বিজেপিরও। রয়েছেন দিলীপ ঘোষ, সুকান্ত মজুমদার সহ বঙ্গ বিজেপির তাবড় নেতারা।

বিজেপির ধর্নামঞ্চে দিলীপ ঘোষ

  1. শ্যামবাজারে নিজের বক্তব্যের শুরুতেই দিলীপ ঘোষ স্লোগান তুললেন, ‘চোর ধরো, জেল ভরো’। এরপর বললেন, ‘তিহাড় জেল ভরো। আলিপুর সংশোধনাগার, দমদম সংশোধনাগার দিয়ে হচ্ছে না, তাই এখন তিহাড় জেলে যেতে হচ্ছে। জেল বাড়ানো হচ্ছে সব জায়গায়।’ খোঁচা দিলেন কংগ্রেস শিবিরকেও। কারও নাম না করে বললেন, ‘আবার কংগ্রেসের সঙ্গেও প্রতিযোগিতা হচ্ছে। তাঁদেরও বড় নেতা যাবেন ভিতরে। কার কত বড় নেতা আগে জেলের ভিতরে যাবেন, তার প্রতিযোগিতা চলছে।’
  2. বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি বললেন, ‘আসানসোল থেকে তুলে তিহাড়ে নিয়ে চলে গেল। আইনের হাত কত লম্বা দেখলেন? মোদী আর যোগী যত শক্তিশালী হচ্ছেন, আইনের হাত তত লম্বা হচ্ছে।’
  3.  দিলীপ ঘোষ বললেন, ‘অনেকে ধর্নার বিরুদ্ধে ধর্নায় বসে যাচ্ছেন। ডিএ-র দাবিতে ধর্না দিচ্ছেন সরকারি কর্মচারীরা। তাঁদের ডিএ দিতে পারছেন না, উল্টে ইনিও ধর্নায় বসে গিয়েছেন। টাকা নিয়েছেন, হিসেব দিতে হবে।’
  4. বিজেপি নেতা বললেন, ‘ঘাটালের সাংসদ গতকাল সংসদে প্রশ্ন করেছিলেন বাংলার টাকা কেন দেওয়া হচ্ছে না। মন্ত্রী গিরিরাজ সিং বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গে সবথেকে বেশি দুর্নীতি। কোনও টাকার হিসেব আসে না। তাই টাকা আটকে রাখা হয়েছে। মন্ত্রী বলেছেন, আমরা কারও টাকা আটকে রাখতে চাই না। হিসেব চাই। গরিবদের জন্য টাকা পাঠানো হয়েছে। গরিবদের কাছে টাকা পৌঁছালে, আবার টাকা চলে যাবে।’
  5. রাজ্য সরকারের থেকে হিসেব চাইলেন দিলীপ ঘোষ। বললেন, ‘আমরাও হিসেব চাই। যে চাকরি বিক্রি হয়ে গিয়েছে, তার হিসেব চাই। এসএসসি পাশ করা ছেলেমেয়েরা দুই বছর ধরে বসে রয়েছে রোদ-জল-বৃষ্টিতে। তাঁদের চাকরি কোথায় গেল? যে কর্মচারীরা ধর্না দিচ্ছেন, তাঁদের ডিএ কোথায় গেল? সেই হিসেব চাই।’ দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, রাজ্য বলছে কেন্দ্র টাকা পাঠালে ডিএ দেবে। প্রশ্ন করলেন, ‘আবাস যোজনা, সড়ক যোজনার টাকার সঙ্গে ডিএ-র টাকার কী সম্পর্ক?’
  6. দিলীপ ঘোষ বললেন, ‘রাজ্য সরকারের যে অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল, আগে কেন্দ্র সেখানে টাকা পাঠাত। সেই টাকা সাইফন হয়ে অন্য জায়গায় চলে যেত। তাই কেন্দ্র বলেছে কেন্দ্রের পাঠানো টাকা রিজার্ভ ব্যাঙ্কে আসবে। তারপর যখন সেই টাকার হিসেব দেখানো হবে, তখন সেটা রাজ্য সরকারের কাছে যাবে। দিদি ফাঁপড়ে পড়ে গিয়েছে। কারণ, যখন টাকা আসত, উড়িয়ে দিতেন, খুঁজে পাওয়া যেত না। এই করে ২ লাখ ৩৯ হাজার কোটি টাকা গায়েব করে দিয়েছেন। তাই এখন ডিএ দেওয়ার, পেনশন দেওয়ার, চাকরি দেওয়ার টাকা নেই। আগামী দিনে বেতন দেওয়ারও টাকা থাকবে না।’
  7. বাংলার গ্রামাঞ্চলের রাস্তা নিয়েও খোঁচা দিলেন দিলীপ ঘোষ। রাস্তার বেহাল অবস্থার কথা তুলে ধরে বললেন, ‘দিদির শ্রী মানে নিশ্চয়ই গণ্ডগোল রয়েছে। বিশ্রী সব। আর কী কী শ্রী দেবেন জানি না। এবার আসবে দুর্নীতিশ্রী।’
  8. দিলীপ ঘোষ বললেন, ‘সরকারি কর্মচারীরা ঘুষ চাইছেন না, কাটমানি চাইছেন না, তাঁরা ডিএ চাইছেন। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার থেকে দুয়ারে সরকার, সব তাঁরাই চালিয়েছেন রক্ত জল করে। সিপিএম হোক বা কংগ্রেস হোক বা টিএমসি হোক, তাঁরা কর্মচারী। তাঁরা সেবা দিয়েছেন। তাঁদের অধিকার রয়েছে। আজ ২৮ টি সংগঠন রয়েছে সেখানে। নীল, লাল, সাদা, সবুজ, হলুদ, গেরুয়া – সব রঙের লোকেরা আছেন সেখানে।’

বিজেপির ধর্নামঞ্চে শমীক ভট্টাচার্য

  1. বঙ্গ বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী আজ নির্বাচনের আগে নতুন নাটক শুরু করেছেন। ধর্নায় বসে পড়েছেন। দুর্বল চিত্রনাট্য।’
  2. শমীক বললেন, ‘সরকার সিঙ্গুরে গিয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী সরষের বীজ ছড়িয়ে এসেছিলেন। মানুষ ওখানে চোখে সরষে ফুল দেখেছে, কিন্তু সরষের চাষ দেখতে পায়নি। সিঙ্গুর একটি ইন্ডাস্ট্রিয়াল হাব হতে পারত, সেই সিঙ্গুরে আজ শ্মশানের স্তব্ধতা। রাজ্যের শিল্পপতিরা ভিন রাজ্যে চলে যাচ্ছেন।’

বিজেপির ধর্নামঞ্চে শুভেন্দু অধিকারী

  1. বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বললেন, ‘আমাদের রাজ্যে কম্পার্টমেন্টাল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় আজ রেড রোডে ধর্না দিচ্ছেন। সেখানে এয়ার কুলার, ঠান্ডা জলের ব্যবস্থা রয়েছে। দুধ-চিনি ছাড়া ভাল লিকার চায়ের ব্যবস্থাও আছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবথেকে বেশি ভালবাসেন নিজেকে। তাঁর আদরের প্রিয় ভাইপো শহিদ মিনারে আস্ফালনের ডাক দিয়েছিলেন। ভাইপো একা কেন ফুটেজ খাবেন? তাই পিসিও অন্যদিকে বসে গিয়েছেন এবং ধর্না কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন।’
  2. শুভেন্দু বললেন, ‘কোনও রাজ্যের মন্ত্রী বা কেন্দ্রের মন্ত্রী যাঁরা সংবিধানকে সামনে রেখে শপথ নিয়েছেন, তাঁরা এভাবে ধর্না দিতে পারেন না। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী কোনও কিছু মানেন না। উনি শুধু মানেন, এপাং-ওপাং-ঝপাং, আমরা সবাই ড্যাং-ড্যাং। তাই উনি সরকারের বিরুদ্ধে ধর্নায় বসেছেন। হয়ত তাঁর শুভানুধ্যায়ীরা বলে দিয়েছে, এটা বেআইনি হয়ে যাচ্ছে। তাই তিনি মাইক কেড়ে নিয়ে বলেছেন, আমি মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বসিনি। আমি তৃণমূলের সুপ্রিমো হিসেবে বসেছি।’
  3. রাজ্য সরকারকে একহাত নিয়ে শুভেন্দু বললেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে বামফ্রন্ট ২ লাখ কোটি টাকা ঋণের বোঝা চাপিয়ে গিয়েছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেটিকে ৬ লাখ কোটি টাকায় পৌঁছে দিয়েছেন। বামফ্রন্ট এক কোটি বেকার তৈরি করেছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেটিকে ২ কোটি করে দিয়েছেন। ২০১১ সালে নথিভুক্ত পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা ছিল ৫ লাখ ২০ হাজার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেটিকে ৯ গুণ বাড়িয়ে ৪৫ লাখ পরিযায়ী শ্রমিকে পরিণত করেছেন। এত সংখ্যা কেউ জানত না। লকডাউন যখন সাময়িক শিথিল হয়েছিল, কেন্দ্র শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন দিল, সেই সময় পশ্চিমবঙ্গের পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যাটি বেরিয়ে গেল।’
  4. শুভেন্দু অধিকারী বললেন, ‘২০২২ সাল পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে ঢালাও অর্থ দেওয়া হয়েছে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়নে। কিন্তু দেখা গেল প্রত্যেকটা প্রকল্পের নাম বদলে দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী অন্ন সুরক্ষা যোজনাকে খাদ্যসাথী বলে চালানো হয়। মানুষ যখন রেশন দোকান থেকে চাল-গম নিয়ে আসেন, বস্তায় ছোট ছোট করে ইংরেজিতে প্রধানমন্ত্রী অন্ন সুরক্ষা যোজনা লেখা থাকে। এর একটি বড় মাটির ভাঁড়ের নীচে বাংলায় লেখা খাদ্যসাথী।’
  5. রাজ্যে প্রকল্পের নাম বদল নিয়ে খোঁচা দিয়ে তিনি বলেন, ‘মোদীজি পশ্চিমবঙ্গে ৭২ লাখ শৌচাগার নির্মাণের টাকা দিয়েছেন। প্রত্যেকটি দেওয়ালে লিখে দিয়েছে, এম.এন.বি (মিশন নির্মল বাংলা)। এটার নাম হল স্বচ্ছ ভারত অভিযান। পশ্চিমবঙ্গে চলে হলে প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার নাম হয়ে যায় বাংলা গ্রামীণ সড়ক যোজনা, জল জীবন মিশনের নাম হয়ে যায় জলস্বপ্ন, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার নাম হয়ে যায় বাংলা আবাস যোজনা।’
  6. বিরোধী দলনেতা বললেন, ‘২০২২ সালের ডিসেম্বরে ৩ কোটি ৬০ লাখ জব কার্ড হোল্ডার ছিল পশ্চিমবঙ্গে। ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে সেই সংখ্যা ২ কোটি ৬০ লাখ হয়ে গেল কেন? এক কোটি জব কার্ড হোল্ডারের নাম ডিলিট হল কেন? যখন মোদীজি বললেন, আধারের সঙ্গে জবকার্ডকে লিঙ্ক করতে হবে, তখনই এক কোটি জব কার্ড বাদ পড়ে গেল। এরা হল একশো দিনের টাকা লুঠ করা ভুত। এরা গত ১০ বছর ধরে ভুয়ো জব কার্ড দিয়ে কেন্দ্রের টাকা লুঠ করেছে।’
  7. রাজ্যে নিয়োগের বেহাল দশা নিয়েও এদিন খোঁচা দেন শুভেন্দু। বললেন, ‘পাবলিক সার্ভিস কমিশন তুলে দিয়েছে, পুলিশ রিক্রুটমেন্ট বোর্ড তুলে দিয়েছে, কলেজ সার্ভিস কমিশন তুলে দিয়েছে। অমিত মিত্রর বুদ্ধিতে ৬ লাখ পার্মানেন্ট পোস্টের অবলুপ্তি ঘটিয়ে ৩০ হাজার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ হয়েছে। যাদের ৬ মাস অন্তর পুনর্নবীকরণ হয়।’
  8. শুভেন্দু অধিকারী বললেন, ‘আক্রমণ শানালেন রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘভাতার ইস্যুতেও। বললেন, ‘৩৬ শতাংশ ডিএ গ্যাপ। কারা ডবল ডবল চাকরি পেয়েছেন? প্রাক্তন মুখ্যসচিব, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপদেষ্টা আলাপণ বন্দ্যোপাধ্যায় ডবল ডবল চাকরি পেয়েছেন। বর্তমান মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর বাড়ির তিনজন আইটিসিতে চাকরি পেয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রিয়ভাজন আইএসএ-আইপিএসদের বলব, আপনারাও কেন্দ্রের ডিএ ছেড়ে দিন, রাজ্যের হারে বেতন নিন। তাহলে বুঝব।’
  9. ‘নো ভোট টু মমতা’, ডাক দিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। অতীতে বাংলার নির্বাচনী ময়দানে বামেদের থেকে যে ‘নো ভোট টু বিজেপি’ রব তোলা হয়েছিল, সেই নিয়েও কটাক্ষ করলেন তিনি। বললেন, ‘কংগ্রেস টেস্টেড অ্যান্ড রিজেক্টেড। বামফ্রন্ট টেস্টেড অ্যান্ড রিজেক্টেড। বাংলার মানুষ ১২ বছর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় টেস্টেড অ্যান্ড উইল বি রিজেক্টেড।’
  10. গতকাল সিঙ্গুর থেকে জিএসটি ইস্যুতে ফের একবার সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই নিয়েও আক্রমণ করেন শুভেন্দু। বললেন, ‘২০১৭ সালে জিএসটি চালু হয়েছে। এই জিএসটি কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন বাংলার তৎকালীন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। বললেন, ‘কেন্দ্র সব রাজ্যকে জিএসটির ১০০ শতাংশ টাকা দিয়েছে। শুধু পশ্চিমবঙ্গ ও কেরালাকে ৯০ শতাংশ টাকা দিয়েছে। কারণ, কেরালা ও পশ্চিমবঙ্গ অডিট রিপোর্ট দিতে পারেনি। অর্থমন্ত্রী আমাকে বলেছিলেন, অডিট রিপোর্ট না দিলে ১০ শতাংশ টাকা দেওয়া হবে না।’
  11. শহিদ মিনারের সভা নিয়েও কটাক্ষ করেন শুভেন্দু অধিকারী। বললেন, ‘গোটা রাজ্য থেকে লোক তুলে এনে বিরিয়ানি খাইয়ে ট্রেলার দেখিয়েছে। বিজেপি যা ক্ষমতা আছে, না খাইয়ে একটি জেলা দিয়ে শহিদ মিনার ভরিয়ে দিতে পারি।’
  12. রামনবমীর আগে শুভেন্দুর চ্যালেঞ্জ, ‘আগামিকাল পশ্চিমবঙ্গে এক কোটি রামভক্ত রাস্তায় থাকবে। এক হাজার বড় মিছিল, দশ হাজার ছোট মিছিল রাজ্যে হচ্ছে।’

বিজেপির ধর্নামঞ্চে সুকান্ত মজুমদার

  1. বক্তব্যের শুরুতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধর্নামঞ্চ নিয়ে খোঁচা দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বললেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর মঞ্চ তৈরি করেছে রাজ্যের পূর্ত দফতর। অথচ পিছনে তৃণমূলের প্রতীক জ্বলজ্বল করছে। ওটা দলের নাকি সরকারের বোঝা যাচ্ছে না। পুরো মাখামাখি হয়ে ঘেঁটে ঘ হয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে ভাইপোর মঞ্চ কারা তৈরি করেছে আমরা জানি না। শুধু এটুকু বুঝতে পারছি, বুঝেছো নন্দলাল… চুরির টাকায় মঞ্চ করে সাধু সাজার ভার।’
  2. সুকান্তবাবু বললেন, ‘বাম আমলে শুনতাম কেন্দ্রীয় বঞ্চনা। তৃণমূল আসার পর মানুষ ভেবেছিল হয়ত নতুন কিছু হবে। কিন্তু আমরা দেখলাম, সেই পুরনো মদ নতুন বোতলে। শুধু স্টিকার বদলে গিয়েছে। কাস্তে হাতুড়ির জায়গায় জোড়াফুল হয়ে গিয়েছে। কিন্তু সেই পুরনো মদ চলে এসেছে – কেন্দ্রীয় বঞ্চনা। কেন্দ্র নাকি টাকা দিচ্ছে না। কেন টাকা দেবে? আপনার নেতারা বান্ধবীর বাড়িতে ৫০ লাখ করে জমাবে, সেই চুরির জন্য? মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, তিনি এসব জানতেনই না। অথচ তিনি পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়কে তিনি মহাসচিব পদ দিয়েছিলেন।’
  3. অতীতে পেগাসাস ইস্যুতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী তাঁর ফোনের ক্যামেরা স্যালুটেপ দিয়ে ঢেকে রেখেছিলেন। সেই প্রসঙ্গ টেনেও এদিন মুখ্যমন্ত্রীকে খোঁচা দিলেন সুকান্ত মজুমদার। কিছুদিন আগে রাষ্ট্রপতির সফরকালে রাজভবনে নৈশভোজের আমন্ত্রণে গিয়ে যা দেখেছেন, সেই কথা জানালেন। বললেন, ‘আমি খাওয়ার থেকে নজর রেখেছিলাম টেবিলে মোবাইলের দিকে। দেখছিলাম ব্রাউন টেপ আছে কি নেই। দেখলাম ব্রাউন টেপ নেই। যেমন ভোট পার হয়ে যাওয়ার পর পায়ের প্লাস্টার খুলে গিয়েছিল, ব্রাউন টেপও খুলে গিয়েছে মোবাইল থেকে।’
  4. ‘তৃণমূল কংগ্রেস আগামীতে তিহাড় কংগ্রেসে পরিণত হবে। তিহাড়েও আপনারা একটি ইউনিট খুলুন।’, কটাক্ষ সুকান্ত মজুমদারের।
  5. বঙ্গ বিজেপির সভাপতি বললেন, ‘আমাদের কাছে সব খবর আছে। গতকাল আমরা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে এসেছি। বিরোধী দলনেতার সঙ্গেও কথা হয়েছে । সব কথা বলা যাবে না। শুধু এইটুকু বলতে পারি, কোনও চোর বাইরে থাকবে না। আর টাকার হিসেব না দিলে কোনও কেন্দ্রীয় অর্থ আর দেওয়া হবে না।’
Next Article