Bengal BJP: বাংলায় কাদের সামনে রেখে ঘুঁটি সাজাচ্ছে বিজেপি?
Bengal BJP: বাংলায় যাঁরা দীর্ঘ সময় ধরে পদ্ম শিবিরে রয়েছেন, মাঠে পড়ে থেকে রাজনীতি করছেন, পুরনো কর্মী তাঁদের উপরেই বেশি জোর দেওয়া হয়েছে। সিনে জগতের তারকার বাইরে রাজনীতি বোঝা পোড়া খাওয়া নেতাদের সামনে রেখেই হবে ভোটের লড়াই। প্রার্থী তালিকাতেও তার ছাপ পড়তে চলেছে বলে শোনা যাচ্ছে।
কলকাতা: শেষ লোকসভায় টার্গেট ছিল ২২। ঝুলিতে এসেছিল ১৮ আসন। এবারে টার্গেট ৩৫। সেই টার্গেট বেঁধে দিয়েছেন খোদ অমিত শাহ (Amit Shah)। কিন্তু, কোন পথে হবে লক্ষ্যপূরণ? সলতে পাকানোর কাজটা শুরু হয়েছিল অনেক আগেই। এবার বছর ঘোরার আগেই শেষবেলার রণকৌশল তৈরি করে দিলেন শাহ-নাড্ডারা। ৩৫-কে পাখির চোখ করে ভোট বৈতরণী পার করতে ১৫ নেতায় আলাদা করে ভরসা রাখছে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। সেই ১৫ জনের তালিকায় আছেন সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিনহার মতো নেতারা। এই ১৫ জনকে নিয়ে তৈরি হয়েছে বিশেষ কমিটি। ওই কমিটির উপরেই লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি সংক্রান্ত যাবতীয় দায়িত্ব থাকছে বলে খবর। একইসঙ্গে কোন পথে, কোন আসনে জয়ের রাস্তা আরও মসৃণ হবে সেই ছকও কষবেন তাঁরাই।
সূত্রের খবর, এই প্রস্তুতি ম্যানেজমেন্ট কমিটিতে আবার নিশীথ প্রামাণিক, দেবশ্রী চৌধুরী, শান্তনু ঠাকুরদের মতো পোড় খাওয়া বিজেপি নেতাদের নাম নেই। তা নিয়েও চলছে চাপানউতোর। অন্যদিকে পনেরোর আলাদা বৈঠকের আগে আবার বঙ্গ বিজেপির চার শীর্ষ নেতাকে নিয়ে আলাদা বৈঠক করেন শাহ-নাড্ডা। ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদার, অমিতাভ চক্রবর্তী, সতীশ ধন্দ। তাঁদের জন্য কী বিশেষ নির্দেশ এসেছে তা নিয়ে নানা কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে রাজনীতির পাড়ায়। তবে এও শোনা যাচ্ছে, এবারের ভোটে একবারে তৃণমূল স্তর থেকে সংগঠনের শক্তিবৃদ্ধিতে জোর দিচ্ছেন বিজেপি নেতারা।
বাংলায় যাঁরা দীর্ঘ সময় ধরে পদ্ম শিবিরে রয়েছেন, মাঠে পড়ে থেকে রাজনীতি করছেন, পুরনো কর্মী তাঁদের উপরেই বেশি জোর দেওয়া হয়েছে। সিনে জগতের তারকার বাইরে রাজনীতি বোঝা পোড়া খাওয়া নেতাদের সামনে রেখেই হবে ভোটের লড়াই। প্রার্থী তালিকাতেও তার ছাপ পড়তে চলেছে বলে শোনা যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই একটি খসড়া তালিকাও তৈরি হয়ে গিয়েছে বলে খবর। তাতে তারকা প্রার্থীর সংখ্যা নাকি ১। বাকি সবই মাঠের নেতা। অন্যদিকে এবারের ভোট যুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় আলাদা করে নজর দিতে চলেছেন বঙ্গ বিজেপির নেতারা। দলের উপর মহল থেকে এসে গিয়েছে বড় নির্দেশ।
কেন্দ্রের জনমুখী প্রকল্পগুলি যাতে ভোটের আগে সোশ্যাল মিডিয়ার হাত ধরে আরও বেশি করে আম-আদমির কাছে পৌঁছে যায় সেদিকটিও দেখতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে তৃণমূল সরকারের দুর্নীতি নিয়ে আরও বেশি করে সরব হওয়ার নির্দেশও এসেছে। রাম মন্দির নিয়েও প্রচারে তুলতে হবে ঝড়। একইসঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় মাধ্যমে প্রচারের ক্ষেত্রে প্রত্যেক কর্মকর্তাকে Namo App মোবাইলে ইন্সটল করতেও বলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর Whatsapp চ্যানেলে যুক্ত হওয়ার নির্দেশ এসেছে। পাশাপাশি লোকসভা ভোটের আগে ইউটিউবেও বাড়াতে হবে সাবস্ক্রাইবার। ডিজিটাল যোদ্ধাদের কাছে সেই নির্দেশও এসে গিয়েছে।