কলকাতা: বিজেপির (BJP) মণ্ডল সহ-সভাপতিকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ ট্যাংরায় (Tangra)। গুরুতর আহত হয়ে তিনি এনআরএস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সোমবার রাতে বোনের বাড়ি থেকে ফিরছিলেন বেলেঘাটা দক্ষিণ মণ্ডলের সহ-সভাপতি রাজু চৌধুরী। অভিযোগ, মাঝ রাস্তায় তাঁর উপর চড়াও হয় জনা পঞ্চাশেক তৃণমূল কর্মী। বাঁশ, বন্দুকের বাঁট নিয়ে মারধর করে তাঁকে। মাথার পিছনে চোট লাগে। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। তদন্ত শুরু করেছে ট্যাংরা থানার পুলিস।
আরও পড়ুন: আপডেট: সৌরভকে দেখতে কলকাতায় দেবী শেঠি
মথুরবাবু লেনের বাসিন্দা রাজু চৌধুরী। এলাকায় তাঁর পরিচিতি ‘টিকা রাজু’ নামে। একটা সময় তৃণমূল কংগ্রেস করতেন। এখন তিনি গেরুয়া শিবিরের সক্রিয় কর্মী। সূত্রের খবর, গত ২৭ ডিসেম্বর ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপির যে মিছিল হয় সেখানে সামনের সারিতেই ছিলেন তিনি। যে মিছিলের রুট পরিবর্তন নিয়ে সেদিন পুলিসের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের একপ্রস্থ বচসার অভিযোগও ওঠে।
সোমবার রাত ১০টা নাগাদ ধাপা মাঠপুকুর এলাকায় বোনের বাড়ি থেকে খাবার নিয়ে ফিরছিলেন তিনি। অভিযোগ, হঠাৎই ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডের ৪০-৫০ জন ছেলে তাঁর রাস্তা আটকায়। বাঁশ, বন্দুকের বাঁট দিয়ে মারতে থাকে। তাঁর মাথার পিছনে আঘাত করা হয় বলেও অভিযোগ। চেঁচামেচি শুনে স্থানীয়রা ছুটে এসে দেখেন রক্তাক্ত রাজু পড়ে রয়েছে। তাঁকে উদ্ধার করে এনআরএস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মাথার পিছনে আঘাত লাগার পাশাপাশি রাজুর চোখও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে দাবি বিজেপি কর্মীদের।
আরও পড়ুন: ‘মে মাস পর্যন্ত সরকারটাই থাকবে না’, মুখ্যমন্ত্রীকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা দিলীপের
রাজুকে বিজেপি করার খেসারত দিতে হল বলেই অভিযোগ তুলেছেন দলীয় কর্মীরা। অভিযোগ, ভোটের আগে এলাকায় সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে শাসকদল। মানুষের মনে আতঙ্ক তৈরির চেষ্টা করছে। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এলাকার তৃণমূল বিধায়ক স্বর্ণকমল সাহা। তিনি বলেন, “এখন যা ঘটছে তাতেই তৃণমূলের নাম দেওয়া হচ্ছে। এটা এখন একটা ট্র্যাডিশন। বিজেপির নিজস্ব গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে আক্রান্তের ঘটনা তৃণমূলের নামে চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এর সঙ্গে আমার দলের বা কর্মীদের কোনও সম্পর্ক নেই।”