Rudranil Ghosh: পুলিশের বিজ্ঞাপনে রুদ্রনীলের ছবি, জল্পনার মাঝে অভিনেতা বললেন, ‘মজা পেয়েছি’

Rudranil Ghosh: বিরোধী দলের নেতা হিসেবে শাসক দলের সমালোচনা প্রায়ই শোনা যায় রুদ্রনীল ঘোষের মুখে। তাঁরই ছবি এবার দেখা গেল রাজ্য পুলিশের বিজ্ঞাপনে।

Rudranil Ghosh: পুলিশের বিজ্ঞাপনে রুদ্রনীলের ছবি, জল্পনার মাঝে অভিনেতা বললেন, 'মজা পেয়েছি'
মাদক বিরোধী প্রচারে রুদ্রনীল
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 23, 2022 | 3:54 PM

কলকাতা: অতীতে দলবদল করার নজির রয়েছে রুদ্রনীল ঘোষের। তবে আপাতত তিনি গেরুয়া শিবিরে। গত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। সাম্প্রতিককালে একাধিকবার শাসক দলের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। শুধু তাই নয়, বিরোধী দলের সদস্য বলে টলিউডে কাজ পাচ্ছেন না, এমন অভিযোগও করেছেন অভিনেতা রুদ্রনীল। আর সেই রাজনীতিকের ছবি এবার দেখা গেল রাজ্য পুলিশের বিজ্ঞাপনে। তাঁর এই ছবি নিয়ে ফের জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। আবার কি তবে শাসক দলে রুদ্রনীল? যদিও সে জল্পনায় জল ঢেলে বিজেপি নেতার দাবি, কোনও অনুমতি না নিয়েই বিজ্ঞাপনে তাঁর ছবি ব্যবহার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাজ্য পুলিশের সোশ্যাল মিডিয়া পেজে একটি মাদক নিয়ে সতর্কতামূলক বিজ্ঞাপন দেখা যায়। সেখানেই রয়েছে রুদ্রনীল ঘোষের ছবি। তাঁর অভিনয় করা একটি সিনেমার ছবি ও সংলাপ দেখা যাচ্ছে সেখানে। এটি রাজ্য পুলিশের একটি প্রচার কর্মসূচী। সেই ছবি ঘিরেই তৈরি হয়েছে জল্পনা।

‘আমার অনুমতি নেননি কেউ। প্রযোজকের থেকে অনুমতি নেওয়া হয়েছে কি না, আমার জানা নেই। ছবি দিতে আমার ব্যক্তিগত আপত্তি নেই।’ তবে অনুমতি ছাড়া ছবি ব্যবহৃত হওয়ায় তিনি বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। রাজ্য পুলিশকে শাসকের দলদাস বলে কটাক্ষ করে রুদ্রনীল আরও বলেছেন, ‘সাধারণত এ রাজ্যে পুলিশকে ব্যবহার করা হয়, উর্দির সম্মান তাঁরা রাখতে পারেন না। তবে সবাই খারাপ নয়।’ তাঁর মতে, ব্যাক অফিস অর্থাৎ বিজ্ঞাপন বা মিডিয়া যাঁরা সামলান, যাঁদের হাতে বন্দুক থাকে না, তাঁরা হয়ত সাদা মনেই এই কাজ করেছেন। যদি কোনও অনুমতি না নিয়ে এই কাজ করা হয়ে থাকে, তাহলে পুলিশের দ্বারস্থ হবেন বলেও উল্লেখ করেছেন রুদ্রনীল।

সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন, ‘বিস্মিত হয়েছি,মজাও পেয়েছি।’ অভিনেতা জানিয়েছেন, এটি পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্য়ায়ের ভিঞ্চিদা সিনেমার ছবি। জনপ্রিয় সংলাপ “ধরতে পারবেন না”, ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু রুদ্রনীলের প্রশ্ন, রাজ্য সরকারের বিজ্ঞাপনে, পুরস্কার বা সম্মান পাওয়ার তালিকায়, ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের আমন্ত্রণের তালিকায় যখন শাসকদলের হয়ে প্রচার করা শিল্পী বুদ্ধিজীবীরাই স্থান পান, তাহলে এ ক্ষেত্রে তিনি কেন?

উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই রুদ্রনীল দাবি করেছিলেন, ২০২১ সালের পর থেকে তাঁর কাছে আর কোনও কাজ নেই। মুখ্যমন্ত্রী নিজেও একজন শিল্পী। তাঁর এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা উচিত বলেও মন্তব্য করেছিলেন রুদ্রনীল।