কলকাতা: “একদা তৃণমূলের মন্ত্রী, কয়েকদিন আমাদের ডালে থাকা রাজীব (Rajib Banerjee) বলেছিলেন, বন সহায়ক শুধু নয়, সব পদেই দুর্নীতি হয়েছে”। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে এমনই মন্তব্য করলেন রাজ্য বিজেপির মুখ্য মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য (Shamik Bhattacharya)।
উল্লেখ্য, গত ৩১ অক্টোবর বিজেপি ছেড়ে ফের তৃণমূলে আসেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্য়ায়। একুশের ভোটের আগে দল ছাড়া রাজীবের বিরুদ্ধে যেমন তৃণমূল নেত্রী অভিযোগ করেছিলেন, তেমনি রাজীবও বলেছিলেন, তাঁর ফোনে মেসেজ আছে, বীরভূমের কোন তৃণমূল নেতা তাঁকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, নেত্রী কোথায় কোথায় তাঁকে চাকরি ‘ভাগ’ করে দিতে বলেছিলেন।
মমতা এক সভা থেকে বলেছিলেন, “যে ছেলেটা আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছে, বন সহায়ক পদে নিয়োগ নিয়ে ও কিছু কারসাজি করেছে। আমরা তার তদন্ত করছি। আজ থেকে ৭-৮ দিনের মধ্যে নির্বাচন ঘোষণা হয়ে গেলে আমরা করতে পারব না। কিন্তু তদন্ত চলবে। কিন্তু এর পরে আপনারা যাঁরা বঞ্চিত হয়েছেন, তাঁদের দাবি সত্যি হলে আমরা পুনর্বিবেচনা করব’’। সেই রাজীব ফের তৃণমূলে ফিরে যাওয়ার পর বিজেপি আঙুল তুলেছে সেই মামলার কী হবে।
আর এ নিয়ে এদিন সাংবাদিক বৈঠকে শমীক বলেন, “একদা তৃণমূলের মন্ত্রী, কয়েকদিন আমাদের ডালে থাকা রাজীব (Rajib Banerjee) বলেছিলেন, বন সহায়ক শুধু নয়, সব পদেই দুর্নীতি হয়েছে। মুখ খুলতে বাধ্য করবেন না। তিনি এখন চুপ! কিন্তু বিচারপতি আজ তারা কথার ইঙ্গিত ধরেই বোর্ড সভাপতিকে ভর্ৎসনা করেছে। শূন্য পদ সরকার ভরাট করতে ব্যর্থ। যদিও বিচারাধীন বিষয়। কিন্তু আজ রাজীবের কথা খুব মনে হচ্ছে। যদিও আজ ‘হায় মা’ বলে ফিরে গিয়েছেন রাজীব।
এদিকে রাজীব ইস্যুতে যখন শমীক সরব হয়েছেন, তখন প্রশ্ন উঠেছে আরেক বেসুরো নেতা প্রবীর ঘোষালকে নিয়ে। বিজেপি-তে থেকেও তিনি নেই। এদিন তৃণমূলের মুখপত্র জাগো বাংলা-য় কেন বিজেপি করা যায় এ নিয়ে কলম ধরেছেন প্রাক্তন সাংবাদিক তথা উত্তরপাড়ার বিজেপি প্রার্থী প্রবীর ঘোষাল।
এ নিয়ে শমীকের প্রতিক্রিয়া চাওয়া হলে তিনি বলেন, “ওঁনার কথার উত্তর দেব না। আমরা এই প্রশ্নের উত্তর দেব না। কোথায় শুরু করেছেন! এখন জাগো বাংলা”।
অন্যদিকে পুর প্রশাসকের উপর পর্যবেক্ষক বসানো নিয়ে মন্তব্য় করেন বিজেপি নেতা। বলেন, “কাউন্সিলর ব্যাকডেটে সই করছেন। মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে থেকে যাচ্ছেন। প্রশাসক তো তিনিই দিয়েছেন। একজন অবজার্ভার কেন! পুরো দখলদারি যেখানে হবে, বিক্ষুব্ধ ফ্যাক্টর হবে না, সেই হাওড়া কলকাতাতেই ভোট ভাবা হচ্ছে”। তার পর তিনি আরও বলেন, “দখলদারি রাজনীতির জন্য হাওড়া কলকাতার পুরসভায় ভোট। শিলিগুড়ি বা বিধাননগরে কোন আতঙ্কে ভোট করাচ্ছে না তৃণমূল”।