কলকাতা: আদালতে মামলা চলছে। তারই মধ্যে কী ভাবে নির্বাচন কমিশন ভোটের দিন ঘোষণা করে দিল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বঙ্গ বিজেপি। কমিশনের এই ভূমিকা এক তরফা বলে কটাক্ষ করেছে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য। তাঁর কথায়, “কমিশন আজ যা করল আমরা তাতে ধিক্কার জানাই। আমরা এর তীব্র নিন্দা করছি। আমরা বিশ্বাস করি এই প্রশাসন দিয়ে, এই পুলিশ দিয়ে, এই রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে পশ্চিমবঙ্গে কোনও ভোট অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করা সম্ভব নয়।”
বৃহস্পতিবারই কলকাতা পুরসভার ভোটের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ১৯ ডিসেম্বর কলকাতার ১৪৪টি ওয়ার্ডে ভোট হবে। এদিন থেকেই মনোনয়নপত্র জমা নেওয়া শুরু হয়ে গেল। শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “আজকে মামলা চলাকালীন একতরফা ভাবে নির্বাচন ঘোষণা করা হল। কী করে নির্বাচন কমিশন এই বিজ্ঞপ্তি দিল? এখানে তো শাসকের আইন চলছে। কী ভাবে কলকাতা পুলিশ বা রাজ্য পুলিশকে দিয়ে নির্বাচন কমিশনের তরফে কোনও অবাধ ভোট করানো সম্ভব?”
এদিনই ফিরহাদ হাকিম তোপ দেগেছেন, বিজেপি ভয় পেয়ে আদালতে গিয়েছে। ভোটে ভয় পাচ্ছে তাঁরা। এদিকে শমীক ভট্টাচার্যের দাবি, “আমরা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ভোটে লড়াই করা দল। সারা দেশে সব থেকে বেশি পুরসভা, পুরনিগম বিজেপি পরিচালনা করছে। যে গুজরাটের দিকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে বিরোধীরা আঙুল তুলেছিল, আন্দোলন করেছিল, সেই গুজরাটের কোনও পুরভোট নিয়ে কোনও দিন বিরোধী দল প্রশ্ন তোলেনি।”
একই সঙ্গে বিজেপির বক্তব্য, সোমবার হাইকোর্টের শুনানিতে তাদের সমস্ত কথা তুলে ধরা হবে। প্রয়োজনে ‘আরও উচ্চ আদালতে’ যাওয়ার কথাও শুনিয়ে দিয়েছেন শমীক ভট্টাচার্য। তবে তিনি বলেন, “ভোট নিয়ে আমাদের অবস্থান খুব স্পষ্ট। আমরা রাজনৈতিক দল। আমরা মানুষের পাশ থেকে কখনওই সরে যেতে পারি না। নির্বাচন থেকে দূরে থাকতে পারি না। কোর্টকে ঢাল করে আমরা কোনও নির্বাচন থেকে যেতে পারি না। আমরা কোর্টেও আছি। মাঠেও আছি। নির্বাচন করার মতো আমরা প্রস্তুতি নেব। কোর্ট ২৯ নভেম্বর সোমবার আমাদের থেকে বিস্তারিত শুনবে।”
অন্যদিকে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, “বিধানসভা ভোট হল এতগুলো দফায়। হঠাৎ এমন কী ঘটল যে বিজেপিকে বলতে হচ্ছে সমস্ত ভোট একসঙ্গে করাতে হবে। পুরোদস্তুর উল্টে যাওয়া তো আসলে নাচতে না জানলে উঠোন বাঁকা। এমনিও হারবে, ওমনিও হারবে। কেন্দ্রের নির্বাচন কমিশন ভোট করলেও হারে। রাজ্য নির্বাচন কমিশন ভোট করলেও হারে। ওরা তো একদিনের ভোটেও হারে, দফার ভোটেও হারে। হারবেই যখন, মুখ রক্ষার জন্য নানা জটিলতা তৈরি করে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে লাভ নেই।”
একই সঙ্গে কুণালের তোপ, “বিজেপির এখানে সংগঠন বলে কিছু নেই। ওদের গৃহযুদ্ধ। প্রাক্তন সভাপতি বনাম বর্তমান সভাপতি, বিধায়ক বনাম পরিষদীয় দলনেতা, আদি বিজেপি বনাম নব্য বিজেপি। ফলে বিজেপিকে এখন ওয়ার্কিং প্রেসিডেন্ট করে জগদীপ ধনখড়কে নামাতে হয়েছে। এই বিজেপি কী ভোট লড়বে, ওরা তো প্রার্থীই খুঁজে পাবে না।” যদিও প্রার্থী তালিকা প্রসঙ্গে শমীক ভট্টাচার্যের দাবি, সময়মতো বিজেপি তা প্রকাশ করে দেবে।
আরও পড়ুন: কলকাতায় হলেও, এ বছর আদৌ হাওড়ার পুরভোট হবে কি না ঝুলছে প্রশ্নচিহ্ন
কলকাতা: আদালতে মামলা চলছে। তারই মধ্যে কী ভাবে নির্বাচন কমিশন ভোটের দিন ঘোষণা করে দিল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বঙ্গ বিজেপি। কমিশনের এই ভূমিকা এক তরফা বলে কটাক্ষ করেছে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য। তাঁর কথায়, “কমিশন আজ যা করল আমরা তাতে ধিক্কার জানাই। আমরা এর তীব্র নিন্দা করছি। আমরা বিশ্বাস করি এই প্রশাসন দিয়ে, এই পুলিশ দিয়ে, এই রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে পশ্চিমবঙ্গে কোনও ভোট অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করা সম্ভব নয়।”
বৃহস্পতিবারই কলকাতা পুরসভার ভোটের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ১৯ ডিসেম্বর কলকাতার ১৪৪টি ওয়ার্ডে ভোট হবে। এদিন থেকেই মনোনয়নপত্র জমা নেওয়া শুরু হয়ে গেল। শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “আজকে মামলা চলাকালীন একতরফা ভাবে নির্বাচন ঘোষণা করা হল। কী করে নির্বাচন কমিশন এই বিজ্ঞপ্তি দিল? এখানে তো শাসকের আইন চলছে। কী ভাবে কলকাতা পুলিশ বা রাজ্য পুলিশকে দিয়ে নির্বাচন কমিশনের তরফে কোনও অবাধ ভোট করানো সম্ভব?”
এদিনই ফিরহাদ হাকিম তোপ দেগেছেন, বিজেপি ভয় পেয়ে আদালতে গিয়েছে। ভোটে ভয় পাচ্ছে তাঁরা। এদিকে শমীক ভট্টাচার্যের দাবি, “আমরা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ভোটে লড়াই করা দল। সারা দেশে সব থেকে বেশি পুরসভা, পুরনিগম বিজেপি পরিচালনা করছে। যে গুজরাটের দিকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে বিরোধীরা আঙুল তুলেছিল, আন্দোলন করেছিল, সেই গুজরাটের কোনও পুরভোট নিয়ে কোনও দিন বিরোধী দল প্রশ্ন তোলেনি।”
একই সঙ্গে বিজেপির বক্তব্য, সোমবার হাইকোর্টের শুনানিতে তাদের সমস্ত কথা তুলে ধরা হবে। প্রয়োজনে ‘আরও উচ্চ আদালতে’ যাওয়ার কথাও শুনিয়ে দিয়েছেন শমীক ভট্টাচার্য। তবে তিনি বলেন, “ভোট নিয়ে আমাদের অবস্থান খুব স্পষ্ট। আমরা রাজনৈতিক দল। আমরা মানুষের পাশ থেকে কখনওই সরে যেতে পারি না। নির্বাচন থেকে দূরে থাকতে পারি না। কোর্টকে ঢাল করে আমরা কোনও নির্বাচন থেকে যেতে পারি না। আমরা কোর্টেও আছি। মাঠেও আছি। নির্বাচন করার মতো আমরা প্রস্তুতি নেব। কোর্ট ২৯ নভেম্বর সোমবার আমাদের থেকে বিস্তারিত শুনবে।”
অন্যদিকে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, “বিধানসভা ভোট হল এতগুলো দফায়। হঠাৎ এমন কী ঘটল যে বিজেপিকে বলতে হচ্ছে সমস্ত ভোট একসঙ্গে করাতে হবে। পুরোদস্তুর উল্টে যাওয়া তো আসলে নাচতে না জানলে উঠোন বাঁকা। এমনিও হারবে, ওমনিও হারবে। কেন্দ্রের নির্বাচন কমিশন ভোট করলেও হারে। রাজ্য নির্বাচন কমিশন ভোট করলেও হারে। ওরা তো একদিনের ভোটেও হারে, দফার ভোটেও হারে। হারবেই যখন, মুখ রক্ষার জন্য নানা জটিলতা তৈরি করে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে লাভ নেই।”
একই সঙ্গে কুণালের তোপ, “বিজেপির এখানে সংগঠন বলে কিছু নেই। ওদের গৃহযুদ্ধ। প্রাক্তন সভাপতি বনাম বর্তমান সভাপতি, বিধায়ক বনাম পরিষদীয় দলনেতা, আদি বিজেপি বনাম নব্য বিজেপি। ফলে বিজেপিকে এখন ওয়ার্কিং প্রেসিডেন্ট করে জগদীপ ধনখড়কে নামাতে হয়েছে। এই বিজেপি কী ভোট লড়বে, ওরা তো প্রার্থীই খুঁজে পাবে না।” যদিও প্রার্থী তালিকা প্রসঙ্গে শমীক ভট্টাচার্যের দাবি, সময়মতো বিজেপি তা প্রকাশ করে দেবে।
আরও পড়ুন: কলকাতায় হলেও, এ বছর আদৌ হাওড়ার পুরভোট হবে কি না ঝুলছে প্রশ্নচিহ্ন