কলকাতা: খোঁজ নেই শাহজাহানের। তাঁর দুই অনুগামী শিবু হাজরা, উত্তর সর্দারের বিরুদ্ধে ফুঁসছে গোটা সন্দেশখালি। জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে পোল্ট্রি ফার্ম, বাগানবাড়ি। পাল্টা এলাকা দখলে নেমেছে ঘাসফুল শিবিরের লোকজন। সাংবাদিকদের উপর হামলার অভিযোগও উঠেছে। দুপুর থেকেই এলাকায় শুধুই পুলিশের বুটের আওয়াজ। আটকও করা হয়েছে বেশ কয়েকজনকে। কেন লাগাতার এই আইন-শৃঙ্খলার অবনতি প্রশ্ন তুলে ফুঁসছে বিরোধীরাও। এরইমধ্যে এবার বড় পদক্ষেপ গেরুয়া শিবিরের। শেখ শাহজাহান, উত্তম সর্দার এবং শিবু হাজরার নাম করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি লিখে অভিযোগ বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের। অবিলম্বে কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
এই শিবু হাজরা সন্দেশখালি ২ ব্লকের তৃণমূলের সভাপতির দায়িত্বে রয়েছে। উত্তম হাজরা উত্তর ২৪ পরগনার জেলা পরিষদের সদস্য। দু’জনেই শাহাজাহানর ঘনিষ্ঠ বলে শোনা যাচ্ছে। অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে গ্রামে অত্যাচার চালিয়ে আসছে এই দুই দাপুটে নেতা। একইসঙ্গে প্রচুর জমি দখলেরও অভিযোগ রয়েছে। শেখ শাহাজাহান নিয়ে যখন তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি, তখনই এই শিবু-উত্তমের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা এলাকা। এমনকী এদিন সকাল থেকে উত্তেজনার মধ্যে ৮ গ্রামবাসী পাকড়াও হতেই আরও বেড়েছে মহিলাদের আন্দোলনের ঝাঁঝ। সন্দেশখালি থানার সামনে লাঠি হাতে বিক্ষোভেও সামিল হতে দেখা যায় এলাকার মহিলাদের। তাঁদের দাবি, যাঁরা আসল দুষ্কৃতী, যাঁরা এতদিন ধরে অত্য়াচার করে এল তাঁদের না ধরে নিরীহ লোকেদের ধরেছে পুলিশ।
এদিকে সুকান্ত চিঠি নিয়ে খোঁচা দিয়েছে তৃণমূল। সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক বলেন, সুকান্তর চিঠি লেখা অভ্যাস হয়ে গিয়েছে। ও চিঠি লেখে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে যাতে ওর নাম না ভুলে যায়। এদিকে এডিজি আইনশৃঙ্খলা মনোজ ভার্মা বলছেন, বর্তমানে সন্দেশখালির পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তিনি বলেন, গত দুই তিন ধরে বসিরহাট পুলিশ জেলার সন্দেশখালিতে কিছু ঘটনা ঘটেছে। যারা ভায়োলেন্সের ঘটনায় জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আজকের ঘটনায় আটজনকে আটক করা হয়েছে।