Suvendu Adhikari: ‘উনি নিশ্চয়ই পে রোলে আছেন, ভাতাজীবী’, ‘বিসএসএফ বরণ’ অনুষ্ঠানে অপর্ণা সেনকে বিঁধলেন শুভেন্দু

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Nov 18, 2021 | 6:06 PM

BJP: গত মঙ্গলবার টুইটারে বুদ্ধিজীবীদের 'সন্ত্রাসজীবী' বলে কটাক্ষ করেছিলেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ।

Follow Us

কলকাতা: ফের বিজেপির (BJP) নিশানায় রাজ্যের বিদ্বজ্জনেরা। বিএসএফের এক্তিয়ার বাড়ানো নিয়ে সম্প্রতি সোচ্চার হয়েছিলেন অপর্ণা সেন। সাংবাদিক বৈঠকে অভিযোগ তুলেছিলেন, সীমান্তের মানুষের উপর অত্যাচার চালানো হয়। বৃহস্পতিবার ‘বিএসএফ বরণ’ কর্মসূচিতে গিয়ে বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর নিশানায় পড়তে হল তাঁকে। ‘উনিও পে রোলে আছেন’, বিএসএফের সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ার হেড কোয়ার্টারে দাঁড়িয়ে বললেন শুভেন্দু।

এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “একটা কারও দোষ থাকতে পারে। তাই বলে বিএসএফকে অপমান করার অধিকার কারও নেই। বাংলার মানুষকে মিথ্যা কথা বলা হচ্ছে। ক্ষমতা রয়েছে পুলিশের হাতেই। যখন বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর নানা আক্রমণ হচ্ছিল তখন অপর্ণা সেন কোথায় ছিলেন।” এরপরই শুভেন্দুর তোপ, “উনি নিশ্চয়ই পে রোলে আছেন, ভাতাজীবী। এরা কাল এসে বিএসএফের কাছে ক্ষমা চেয়ে যাক।”

চলতি সপ্তাহেই কলকাতা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করে অপর্ণা সেন বলেন, “এত ক্ষমতাতেও হচ্ছে না। আরও বাড়ানো হচ্ছে। একটা মিলিটারাইজেশন হচ্ছে। এই যে বিএসএফরা, তারা কি যথেষ্ট নয়। কী ভাবে ছিটমহলের মানুষের উপর অত্যাচার হয়। ভাবলেই শিউরে উঠতে হয়। মিলিটারিদের যতটা ক্ষমতা দেওয়ার কথা, তার থেকে অনেক বেশি ক্ষমতা দেওয়া হচ্ছে।” রাজ্য সরকার বিএসএফের এক্তিয়ার বাড়ানোর বিরোধিতা করছে ঠিকই, তবে অপর্ণা সেন সেদিন দাবি করেন, সীমান্তে বাস করা মানুষগুলোর নিরাপত্তা নিয়েও একটু ভাবনাচিন্তা করুক সরকার। তাঁরা যাঁকে নির্বিঘ্নে জীবনযাপন করতে পারেন সেদিকে উদ্যোগী হোক রাজ্য।

গত মঙ্গলবার টুইটারে বুদ্ধিজীবীদের ‘সন্ত্রাসজীবী’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। তিনি অপর্ণা সেন, শঙ্খ ঘোষ, শুভাপ্রসন্নদের একটি পুরনো ছবি টুইট করে লিখেছিলেন, ‘যাঁরা বিপদের দিনে মানুষের পাশে দাঁড়ান না, তাঁরা বুদ্ধিজীবী নন, সন্ত্রাসজীবী। যাঁরা সমস্ত বিপদ থেকে আমাদের রক্ষা করেন সেই বিএসএফ জওয়ানদের বিরুদ্ধে আপনারা আঙুল তুলছেন? করোনা থেকে আমফান, কোথায় ছিলেন আপনারা? আপনাদের জন্য বাংলার মানুষ লজ্জিত।’

এর আগে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারেরও নিশানা ছিল এই বিদ্বজ্জনেরা। পেট্রোল ডিজেলের ভ্যাটে রাজ্যের লভ্যাংশে ছাড় দেওয়ার দাবিতে বিজেপি পথে নামলেও কেন বুদ্ধিজীবীরা ময়দানে নামেননি, সে প্রশ্ন তুলে সুকান্ত মজুমদার বলেছিলেন, “মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী, গোটা দেশে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলো যাদের আপনারা কথায় কথায় বলতেন। তারা কিন্তু ভ্যাট কমিয়েছে। বাংলায় আবার বুদ্ধিজীবী আছে কিছু। বাংলা তো আবার বুদ্ধিজীবীদের জায়গা। আমাদের কেউ বুদ্ধীজীবী বলে না। আপনি যতই পড়াশোনা করে থাকুন, বিজেপি করলে আপনি বুদ্ধিজীবী নন। বুদ্ধি কমে যাবে আর কী! সেই বুদ্ধিজীবীরা যারা কথায় কথায় উত্তর প্রদেশ দেখাতেন, হাথরস দেখাতেন, বেনারস দেখাতেন, তাঁদের সব রস এখন উধাও হয়ে গিয়েছে। তাঁরা আর কেউ বলছেন না, উত্তর প্রদেশে পেট্রোলের দাম বাংলা থেকে কম! মুখ্যমন্ত্রী আপনার লজ্জা হয়? বুদ্ধিজীবী মানুষ যাঁরা আছেন, তাঁদের লজ্জা হয়? নাকি লজ্জাসরম বিক্রি করে দিয়েছেন?”

বুদ্ধিজীবী মহল থেকে শিল্পীমহল, এর আগেও একাধিক বার বিজেপির তোপের মুখে পড়তে হয়েছে তাদের। ভোটের আগে শিল্পীদের নিয়ে এরকমই বিতর্কিত মন্তব্য করে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল দিলীপ ঘোষকে। তখন তিনি রাজ্য বিজেপির সভাপতি। বেশ কিছু শিল্পীদের গাওয়া ‘আমরা এই দেশেতেই থাকব’ গানটি নিয়ে দিলীপ ঘোষের কাছে জানতে চাওয়া হলে তাঁর প্রতিক্রিয়া ছিল, “শিল্পীদের এটা শোভা পায় না। রাজনীতিটা আমাদের করতে দিন। না হলে রগড়ে দেব। আর শিল্পীরা জানেন, আমি কীভাবে রগড়াই।”

আরও পড়ুন: ‘বিধানসভায় বিএসএফের সম্মানহানি’, সাজি ভরা পদ্ম, হাঁড়ি ভরা মিষ্টি নিয়ে বিএসএফের কার্যালয়ে হাজির শুভেন্দুরা

কলকাতা: ফের বিজেপির (BJP) নিশানায় রাজ্যের বিদ্বজ্জনেরা। বিএসএফের এক্তিয়ার বাড়ানো নিয়ে সম্প্রতি সোচ্চার হয়েছিলেন অপর্ণা সেন। সাংবাদিক বৈঠকে অভিযোগ তুলেছিলেন, সীমান্তের মানুষের উপর অত্যাচার চালানো হয়। বৃহস্পতিবার ‘বিএসএফ বরণ’ কর্মসূচিতে গিয়ে বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর নিশানায় পড়তে হল তাঁকে। ‘উনিও পে রোলে আছেন’, বিএসএফের সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ার হেড কোয়ার্টারে দাঁড়িয়ে বললেন শুভেন্দু।

এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “একটা কারও দোষ থাকতে পারে। তাই বলে বিএসএফকে অপমান করার অধিকার কারও নেই। বাংলার মানুষকে মিথ্যা কথা বলা হচ্ছে। ক্ষমতা রয়েছে পুলিশের হাতেই। যখন বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর নানা আক্রমণ হচ্ছিল তখন অপর্ণা সেন কোথায় ছিলেন।” এরপরই শুভেন্দুর তোপ, “উনি নিশ্চয়ই পে রোলে আছেন, ভাতাজীবী। এরা কাল এসে বিএসএফের কাছে ক্ষমা চেয়ে যাক।”

চলতি সপ্তাহেই কলকাতা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করে অপর্ণা সেন বলেন, “এত ক্ষমতাতেও হচ্ছে না। আরও বাড়ানো হচ্ছে। একটা মিলিটারাইজেশন হচ্ছে। এই যে বিএসএফরা, তারা কি যথেষ্ট নয়। কী ভাবে ছিটমহলের মানুষের উপর অত্যাচার হয়। ভাবলেই শিউরে উঠতে হয়। মিলিটারিদের যতটা ক্ষমতা দেওয়ার কথা, তার থেকে অনেক বেশি ক্ষমতা দেওয়া হচ্ছে।” রাজ্য সরকার বিএসএফের এক্তিয়ার বাড়ানোর বিরোধিতা করছে ঠিকই, তবে অপর্ণা সেন সেদিন দাবি করেন, সীমান্তে বাস করা মানুষগুলোর নিরাপত্তা নিয়েও একটু ভাবনাচিন্তা করুক সরকার। তাঁরা যাঁকে নির্বিঘ্নে জীবনযাপন করতে পারেন সেদিকে উদ্যোগী হোক রাজ্য।

গত মঙ্গলবার টুইটারে বুদ্ধিজীবীদের ‘সন্ত্রাসজীবী’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। তিনি অপর্ণা সেন, শঙ্খ ঘোষ, শুভাপ্রসন্নদের একটি পুরনো ছবি টুইট করে লিখেছিলেন, ‘যাঁরা বিপদের দিনে মানুষের পাশে দাঁড়ান না, তাঁরা বুদ্ধিজীবী নন, সন্ত্রাসজীবী। যাঁরা সমস্ত বিপদ থেকে আমাদের রক্ষা করেন সেই বিএসএফ জওয়ানদের বিরুদ্ধে আপনারা আঙুল তুলছেন? করোনা থেকে আমফান, কোথায় ছিলেন আপনারা? আপনাদের জন্য বাংলার মানুষ লজ্জিত।’

এর আগে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারেরও নিশানা ছিল এই বিদ্বজ্জনেরা। পেট্রোল ডিজেলের ভ্যাটে রাজ্যের লভ্যাংশে ছাড় দেওয়ার দাবিতে বিজেপি পথে নামলেও কেন বুদ্ধিজীবীরা ময়দানে নামেননি, সে প্রশ্ন তুলে সুকান্ত মজুমদার বলেছিলেন, “মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী, গোটা দেশে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলো যাদের আপনারা কথায় কথায় বলতেন। তারা কিন্তু ভ্যাট কমিয়েছে। বাংলায় আবার বুদ্ধিজীবী আছে কিছু। বাংলা তো আবার বুদ্ধিজীবীদের জায়গা। আমাদের কেউ বুদ্ধীজীবী বলে না। আপনি যতই পড়াশোনা করে থাকুন, বিজেপি করলে আপনি বুদ্ধিজীবী নন। বুদ্ধি কমে যাবে আর কী! সেই বুদ্ধিজীবীরা যারা কথায় কথায় উত্তর প্রদেশ দেখাতেন, হাথরস দেখাতেন, বেনারস দেখাতেন, তাঁদের সব রস এখন উধাও হয়ে গিয়েছে। তাঁরা আর কেউ বলছেন না, উত্তর প্রদেশে পেট্রোলের দাম বাংলা থেকে কম! মুখ্যমন্ত্রী আপনার লজ্জা হয়? বুদ্ধিজীবী মানুষ যাঁরা আছেন, তাঁদের লজ্জা হয়? নাকি লজ্জাসরম বিক্রি করে দিয়েছেন?”

বুদ্ধিজীবী মহল থেকে শিল্পীমহল, এর আগেও একাধিক বার বিজেপির তোপের মুখে পড়তে হয়েছে তাদের। ভোটের আগে শিল্পীদের নিয়ে এরকমই বিতর্কিত মন্তব্য করে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল দিলীপ ঘোষকে। তখন তিনি রাজ্য বিজেপির সভাপতি। বেশ কিছু শিল্পীদের গাওয়া ‘আমরা এই দেশেতেই থাকব’ গানটি নিয়ে দিলীপ ঘোষের কাছে জানতে চাওয়া হলে তাঁর প্রতিক্রিয়া ছিল, “শিল্পীদের এটা শোভা পায় না। রাজনীতিটা আমাদের করতে দিন। না হলে রগড়ে দেব। আর শিল্পীরা জানেন, আমি কীভাবে রগড়াই।”

আরও পড়ুন: ‘বিধানসভায় বিএসএফের সম্মানহানি’, সাজি ভরা পদ্ম, হাঁড়ি ভরা মিষ্টি নিয়ে বিএসএফের কার্যালয়ে হাজির শুভেন্দুরা

Next Article