কলকাতা: বিজেপির নবান্ন অভিযানে ঘিরে তোলপাড় হয়েছে কলকাতা ও হাওড়া। জলকামান চলেছে। কাঁদানে গ্যাসের শেল ফেটেছে। লাঠিচার্জ হয়েছে। রাস্তায় পড়ে গিয়েছেন বিজেপির কর্মী ও সমর্থকরা। আবার উঠে দাঁড়িয়েছেন। আবার সামিল হয়েছে প্রতিবাদে। সব মিলিয়ে বিজেপির কর্মী ও সমর্থকদের এমন প্রাণবন্ত প্রতিবাদ দেখে চাঙ্গা দলের রাজ্য নেতৃত্বও। দিল্লি নেতৃত্বও জানিয়ে দিয়েছে, তারা রাজ্য নেতৃত্বের পাশে থাকছে। পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে ‘ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম’ রাজ্যে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দিল্লি নেতৃত্ব। আর এরই মধ্যে কলকাতায় আসছেন পদ্ম শিবিরের চার তাবড় নেতা। বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুনীল বনসল, বাংলার পর্যবেক্ষক মঙ্গল পাণ্ডে, দুই সহপর্যবেক্ষক অমিত মালব্য ও আশা লকড়া।
এখনও পর্যন্ত বিজেপি সূত্র মারফত যা জানা গিয়েছে, রবিবার সকালে মঙ্গল পাণ্ডে ও আশা লকড়া যথাক্রমে পটনা ও রাঁচি থেকে কলকাতায় এসে পৌঁছাবেন। সকাল ১০ টা থেকে ১০.১৫ মিনিটের মধ্যে তাঁরা কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছে যাবেন। যদিও সুনীল বনসল ও অমিত মালব্য কখন পৌঁছাবেন, সেই বিষয়টি এখনও জানা যায়নি। তবে সূত্রের খবর, তাঁরা দুই জনই দিল্লি থেকে কলকাতায় আসবেন। কলকাতা বিমানবন্দরে তাঁদের জন্য বিশেষ আপ্যায়ণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
ঠাসা কর্মসূচি রয়েছে বিজেপি নেতাদের। দুপুর আড়াইটে থেকে বিকেল সাড়ে চারটে পর্যন্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করার কথা রয়েছে তাঁদের। ওই বৈঠকে থাকবেন বিজেপির রাজ্য কমিটির নেতারা, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং মোর্চা সভাপতিরা। এরপর বিকেল পাঁচটা থেকে দলীয় সব বিধায়কদের সঙ্গে একটি বৈঠক করার কথা রয়েছে তাঁর। সন্ধেয় সাতটা থেকে দলের বর্ষীয়ান নেতাদের সঙ্গে আরও একদফা বৈঠকে বসার কথা রয়েছে তাঁদের।
সোমবারও সকাল থেকে একগুচ্ছ বৈঠকে বসার কথা রয়েছে বিজেপি নেতাদের। সফরের দ্বিতীয় দিনে বেলা ১১ টা থেকে প্রতিটি জেলা কমিটির সভাপতি এবং জেলার দায়িত্বে থাকা নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন তাঁরা। সঙ্গে প্রতিটি বিভাগের দায়িত্বে থাকা নেতাদের সঙ্গেও আলোচনায় বসতে পারেন। এর পাশাপাশি সোমবার দুপুরে দলের সব মুখপাত্রদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে পারেন তাঁরা। শেষ বেলায় দলের লিগাল ডিপার্টমেন্ট যাঁরা দেখভাল করেন, তাঁদের সঙ্গেও একপ্রস্থ আলোচনা করতে পারেন সুনীল বনসল, অমিত মালব্যরা।