কলকাতা: বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটিতে মুকুল রায়ের চেয়ারম্যান হওয়া এখনও হজম করতে পারছে না বিজেপি। বুধবার একুশে জুলাইয়ের অনুষ্ঠানের পর সেটা ফের একবার স্পষ্ট হয়ে গেল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ফেসবুক পোস্টে। শহিদ দিবসের মঞ্চে এ দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে উপস্থিতি চোখে পড়ে তৃণমূল রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তবে আরও একজন সেই মঞ্চে ছিলেন যিনি এই মুহূর্তে তৃণমূলের কোনও পদাধিকারী নন। তিনি হলেন মুকুল রায়।
সেই ছবি দেখিয়েই নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক একটি প্রশ্ন তুলেছেন, “পিএসি চেয়ারম্যানকে কোন মঞ্চে দেখা যাচ্ছে?” যেন তিনি আবারও শাসকদলকে মনে করিয়ে দিতে চেয়েছেন যে, মুকুল রায় এখন তৃণমূলে রয়েছেন। যা একপ্রকার শাসকদলকে ‘আয়না দেখানোর’ প্রচেষ্টা বলছে ওয়াকিবহাল মহল। কিন্তু তাঁকে জোরপূর্বক ‘বিজেপি বিধায়ক’ হিসেবে প্রতিপন্ন করে প্রথা ভেঙে পিএসি চেয়ারম্যান করেছে রাজ্যের শাসকদল। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার কথা জানিয়ে দিয়েছে বিজেপি। মূলত দু’টি দাবি নিয়ে আদালতে যাবেন শুভেন্দুরা। প্রথমত, মুকুলকে বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারণের দাবি। দ্বিতীয়ত, মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের দাবি।
তৃণমূল যদিও বিজেপির কোনও দাবিকেই পাত্তা দিচ্ছে না। শাসকদলের সাফ বক্তব্য, মুকুল তৃণমূলে যোগ দিলেও তিনি খাতায়-কলমে এখনও বিজেপির বিধায়কই রয়েছেন। সুতরাং তাঁকে পিএসি চেয়ারম্যান করায় কোনও ভুল নেই। অন্যদিকে বিজেপির পালটা যুক্তি, যিনি সর্বসমক্ষে তৃণমূলে যোগ দিলেন, তিনি কীভাবে বিজেপির বিধায়ক হতে পারেন? এই প্রশ্ন তুলেই মুকুলেই বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইন প্রয়োগ করার আবেদন আগেই স্পিকারকে জানিয়েছেন শুভেন্দু। সেই মামলা এখনও স্পিকারের ঘরেই রয়েছে। কিন্তু তার আগেই আদালতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বিজেপি। আরও পড়ুন: একাদশে ভর্তির বিজ্ঞপ্তি জারি করল শিক্ষা সংসদ, দুই পর্যায়ে কবে কীভাবে অ্যাডমিশন? জানুন সবিস্তারে