BJP MLA: সংগঠনের পদ ছাড়লেন বিজেপি বিধায়ক, উত্তরবঙ্গে গেরুয়া শিবিরের ঘরোয়া কোন্দল কি তুঙ্গে?

Pradipto Kanti Ghosh | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Aug 25, 2023 | 3:42 PM

BJP: দিল্লি থেকে যতবার বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এসেছে, বারবারই এই গোষ্ঠীকোন্দল মেটানোর বার্তা দিয়েছে। লোকসভা ভোটের আগে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব চাইছে, সকলে একজোট হয়ে লড়াই করুক।

BJP MLA: সংগঠনের পদ ছাড়লেন বিজেপি বিধায়ক, উত্তরবঙ্গে গেরুয়া শিবিরের ঘরোয়া কোন্দল কি তুঙ্গে?
বিজেপি বিধায়ক দুর্গা মুর্মু।
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

শিলিগুড়ি: বিজেপির সংগঠনে ফের ধাক্কা। শিলিগুড়িতে জেলা কমিটি থেকে ইস্তফা দিলেন বিজেপি বিধায়ক দুর্গা মুর্মু। জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। অভিযোগ, বিজেপির দুই বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ ও আনন্দ বর্মন গোষ্ঠীর মধ্যে কাজিয়ার জেরেই পদ থেকে সরে দাঁড়ান দুর্গা। এমনও সূত্রের খবর, পরিস্থিতি ঠেকাতে শিলিগুড়ি যাচ্ছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ২৮ অগস্ট শিলিগুড়ি যাচ্ছেন তিনি। দু’পক্ষকে নিয়ে বৈঠকে বসতে পারেন বলেও জোরাল হচ্ছে সম্ভাবনা। এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবারই দেখা গিয়েছে, দার্জিলিংয়ের ৩০ জন বিজেপি নেতা কর্মী পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। এবার শিলিগুড়িতেও সেই ছবি।

দিল্লি থেকে যতবার বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এসেছে, বারবারই এই গোষ্ঠীকোন্দল মেটানোর বার্তা দিয়েছে। লোকসভা ভোটের আগে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব চাইছে, সকলে একজোট হয়ে লড়াই করুক। অথচ সংগঠনে নতুন অস্বস্তির ছবি। বিশেষ করে যে উত্তরবঙ্গ বিজেপির শক্ত ঘাঁটি, একের পর পর এক বিধানসভা আসন তাদেরই দখলে। এই জায়গায় দাঁড়িয়েও বিজেপির অন্দরের আকচাআকচিতে পদত্যাগের ছবিও সামনে উঠে আসছে।

যদিও দুর্গা মুর্মু এদিন স্পষ্ট বলেন, তাঁর পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর পিছনে কোনও কোন্দল নেই। বরং বিধায়ক হিসাবে আরও বেশি করে দায়িত্ব পালন করবেন বলেই এই সিদ্ধান্ত তাঁর। শুক্রবার বিধানসভায় দুর্গা মুর্মু বলেন, “পদত্যাগের কোনও কারণ নেই। আমার বিধানসভা এলাকায় অনেক কাজ আছে। বিধায়ক হিসাবেও দু’ তিনটে দায়িত্ব আছে। এরপর আরও দায়িত্ব পালন সম্ভব হচ্ছে না বলে আমি সেই পদ ছেড়েছি। বিধানসভায় বেশি করে সময় দিয়ে আমি কাজ করব।”

অন্যদিকে যে দুই বিধায়কের কাজিয়ার জেরে দুর্গা মুর্মুর সরে দাঁড়ানোর অভিযোগ তাঁদের মধ্যে আনন্দ মুর্মু বলেন, “কোনও লড়াইয়ের বিষয়ই নেই। আমিও বিধানসভায়, শঙ্করদাও বিধানসভায়। আমরা সকলে একসঙ্গেই যাতায়াত করি। এটা গসিপ। আমরা সকলেই দলের একনিষ্ঠ কর্মী। আর পরিবারের মধ্যেও বিবাদ থাকে। মনে হয় না খুব বড় ব্যাপার। দল ছেড়ে কিন্তু কেউ যায়নি। নিজেদের কোনও ব্যক্তিগত কারণে পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে থাকতে পারে। কোথাও কোথাও ক্ষোভ বিক্ষোভ থাকবেই। তবে আলোচনার মধ্যেই এসব মেটাতে হবে।” অন্যদিকে শঙ্কর ঘোষকে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন “আনন্দ বর্মন আমার সভাপতি ছিলেন। আমার শিক্ষক সম নেতা। আমি এটাই বিশ্বাস করি উনি যা বলছেন সত্যি।”

Next Article