কলকাতা: এলাকায় বিদ্যুৎ না থাকায় চন্দ্রযান ৩ অবতরণ দেখতে পাননি আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভার কেউ কেউ। শুক্রবার বিধানসভায় তা নিয়েই শোরগোল ফেলে দিলেন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল। বিদ্যুৎ পরিষেবা নিয়েই তরজা
অগ্নিমিত্রা পল, অশোক লাহিড়ি ও মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের। বৃহস্পতিবারের অধিবেশনের সময়েই অগ্নিমিত্রা পল বিধানসভায় অভিযোগ করেন, তাঁর বিধানসভা কেন্দ্রের বেশ কিছু জায়গায় বেশ কয়েক ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না। সেসময়ে উত্তরে বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস সেদিনই বলেছিলেন, “এমনটা নয়, ২৪ ঘণ্টা আমাদের অভিযোগ সেল আছে।”
মন্ত্রীর বক্তব্য, রক্ষণবেক্ষণের জন্য কিছু কিছু জায়গায় বিদ্যুৎ বন্ধ করা হয়। আর সেক্ষেত্রে আগে থেকেই এলাকাবাসীদের অবহিত করা হয়। অবশ্যই এলাকায় মাইকিং করা হয়, বিধায়ককে ইনফরমেশন দেওয়া হয়।
শুক্রবার বিধানসভা আবারও আলোচনার উল্লেখপর্বে অগ্নিমিত্রা পল নদীর পাড় দখলের বিষয় উত্থাপন করেন। সে সময়ে বিদ্যুৎমন্ত্রী বলেন,”বিধায়িকার প্রশ্নের পরেই আমি রিপোর্ট নিয়ে আসি।” তিনি বিদ্যুৎ পরিষেবা সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট পেশ করেন। সেক্ষেত্রে অরূপ বিশ্বাস বলেন, “মাননীয়া বিধায়িকা আসানসোলে থাকেন না। আসানসোলে বেশিক্ষণ সময় দিলে জানতে পারতেন।” বিদ্যুৎ পরিষেবা সংক্রান্ত সেই রিপোর্টটি বিধানসভায় পড়ে শোনান মন্ত্রী। তখনই অগ্নিমিত্রা বলেন, “আমি আসানসোলের মেয়ে। আমি যা বলেছিলাম তা সঠিক। আজও ওখানকার সংবাদপত্রে বিদ্যুৎ না থাকার বিষয়টা প্রকাশ হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “খোঁজ নিয়ে দেখুন, চন্দ্রযান ৩ অবতরণের সময়ে ওখানকার মানুষ দেখতে পাননি।”
অগ্নিমিত্রা পলের অভিযোগ উড়িয়ে অরূপ বলেন, “সারা দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনে পশ্চিমবঙ্গ প্রথম। কেন্দ্রীয় সরকারের রিপোর্টও তাই বলছে।”
বিজেপি বিধায়ক অশোক লাহিড়ি বলেন, “বিদ্যুৎমন্ত্রী হয়তো অন্য কিছু বলতে গিয়ে এই পরিসংখ্যান দিয়েছেন।” যদিও নিজের বক্তব্যেই অটুট ছিলেন বিদ্যুৎমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আসলে যেখান থেকে তিনি নির্বাচিত হয়েছেন, সেখানে যদি নাই থাকেন, তাহলে সেখানকার পরিস্থিতি জানবেন কীভাবে? আমরাই বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রথম। সেই সার্টিফিকেট কেন্দ্রীয় সরকারই দিয়েছে। এনটিপিসি, ডিভিসি, তাদেরকে হারিয়েছি বিদ্যুৎ উৎপাদনে। বেসরকারি সংস্থাকেও হারিয়েছি। ভারতে প্রথম। আমাদের কাছে পর্যান্ত বিদ্যুৎ রয়েছে।”