Bagdogra Airport: আলো খারাপ, নজর নেই সিগন্যালিং সিস্টেমে, বাগডোগরা বিমানবন্দর নিয়ে কেন্দ্রকে চিঠি বিজেপি বিধায়কের
Bagdogra Airport: মঙ্গলবার থেকেই একই পরিস্থিতি। মঙ্গলবার মাত্র দুটি বিমান বাগডোগরা ছাড়লেও আর কোনও বিমান উড়তে পারেনি। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও সড়কপথে ফিরতে হয়েছিল।

কলকাতা: উত্তরবঙ্গের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বাগডোগরা বিমানবন্দর। এই বিমানবন্দরে প্রতিনিয়ত বহু যাত্রীর আনাগোনা। দিনে অন্তত ২৮ জোড়া বিমান ওঠানাম করে এই বিমানবন্দরে। কিন্তু গত দু দিন ধরে ব্যাপক হয়রানির শিকার হতে হয়েছে যাত্রীদের। বিমানবন্দর থেকে প্রায় কোনও বিমানই ওড়েনি দু দিন ধরে। মূলত আবহাওয়ার জন্যই বিমান পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে বলে জানানো হয়। কিন্তু বিমানবন্দরের পরিস্থিতি নিয়ে এবার কেন্দ্রকে চিঠি দিলেন বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। কী কারণে এই বিমানবন্দরের এমন পরিস্থিতি, সে কথা উল্লেখ করা হয়েছে চিঠিতে।
অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রককে লেখা চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেছেন, বিমানবন্দরের পরিস্থিতি এমনিতেই খারাপ, তার মধ্যে বৃষ্টি হওয়ায় পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে।
বিধায়ক জানিয়েছেন, ওই বিমানবন্দরের নেভিগেশন সিস্টেম বা গ্লাইড পাথ দেখাশোনা করে বায়ুসেনা। এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়ার বদলে বায়ুসেনার দায়িত্বে রয়েছে সেগুলি। তাঁর দাবি, দেশের অন্যান্য অসামরিক বিমানবন্দরগুলিতে এই দায়িত্ব রয়েছে এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়ার হাতেই। তাঁর দাবি, নেভিগেশন সিস্টেম-সহ আরও বেশ কিছু বিষয়ে দ্রুত মেরামত করা প্রয়োজন। দীর্ঘদিন ধরে সেগুলিতে কোনও নজর দেওয়া হয়নি।
বিধায়ক আরও উল্লেখ করেছেন ৩৬ নম্বর রানওয়ের আলো খারাপ হয়ে রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে, সেটা দ্রুত সারানো প্রয়োজন। তাঁর দাবি, এই সব বিষয়গুলি অকেজো হয়ে থাকায় বিমান পরিষেবায় প্রভাব পড়ছে। তাই প্রবল বৃষ্টির সময় বিমান অন্য কোনও বিমানবন্দরে অবতরণ করাতে হচ্ছে। বৃষ্টি বা কুয়াশার সময় বারবারই এমন ঘটনা ঘটছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে প্রতিদিন ২৪ জোড়া বিমান ওঠানামা করে। বিমানবন্দর সূত্রে খবর, গত মঙ্গলবার থেকেই সমস্যা বাড়তে থাকে। দু দিন প্রায় কোনও বিমান ওঠানামা করেনি। রাজ্যের অন্যান্য বিমানবন্দর থেকেও বাগডোগরাগামী কোনও বিমানও ওড়েনি। ফলে বিভিন্ন বিমানবন্দরগুলোতে যাত্রীদের লাউঞ্জে অপেক্ষা করতে হয় দীর্ঘক্ষণ। সে কথা উল্লেখ করে বিধায়ক জানিয়েছেন, এমন পরিস্থিতির ফল ভুগতে হচ্ছে রোগী বা ভিভিআইপি-দেরও। তাই দ্রুত এই বিষয়গুলিতে নজর দেওয়ার কথা বলে চিঠি লিখেছেন তিনি।
