‘মানুষ বাঁচুক, মরুক ক্ষমতায় থাকতেই হবে!’, বিস্ফোরক দাবি দিলীপ ঘোষের

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Aug 28, 2021 | 10:18 AM

Bengal Election: বৃহস্পতিবারই এ নিয়ে আবারও আর্জি জানিয়ে দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের দফতরে যান তৃণমূলের এক প্রতিনিধি দল।

মানুষ বাঁচুক, মরুক ক্ষমতায় থাকতেই হবে!, বিস্ফোরক দাবি দিলীপ ঘোষের
দিলীপ ঘোষ

Follow Us

কলকাতা: রাজ্যে দ্রুত ভোট করাতে চায় শাসকদল। রাজ্যের যে ক’টা বিধানসভা আসনে পূর্ণাঙ্গ ভোট বাকি কিংবা উপনির্বাচন হওয়ার কথা, তা সেপ্টেম্বরের মধ্যেই সেরে ফেলা হোক, চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। বৃহস্পতিবারই এ নিয়ে আবারও আর্জি জানিয়ে দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের দফতরে যান তৃণমূলের এক প্রতিনিধি দল। এদিকে উপনির্বাচন চেয়ে তৃণমূলের এই ‘তাড়াহুড়ো’কে তীব্র ভাষায় কটাক্ষ করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। শনিবারই তিনি বলেন, মাথার ঘায়ে কুকুরের পাগল হওয়ার মতো অবস্থা। তাই উপনির্বাচন নিয়ে এত ব্যস্ততা।

এদিন ইকো পার্কে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, “এখন মাথার ঘায়ে কুকুর পাগল হয়ে গিয়েছে। ক্ষমতা চাই, চেয়ার চাই। সমাজে মানুষ বাঁচুক, মরুক, মহামারী হোক কিছুই যায় আসে না। ক্ষমতায় থাকতেই হবে। এই ক্ষমতায় থাকার ইচ্ছা, খিদে এটাই পশ্চিমবাংলার সবচেয়ে সর্বনাশের কারণ।”

বৃহস্পতিবার তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়, মহুয়া মৈত্রদের প্রতিনিধি দল দিল্লি কমিশনের দফতরে যায়। রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতি বিস্তারিত খতিয়ান এবং যে সাত কেন্দ্রে ভোট হওয়ার কথা সেখানকার সংক্রমণের বিশদ রিপোর্ট জমা দেন। সেই সঙ্গে আবেদন জানানো হয়, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেও যেন উপনির্বাচনের আয়োজন করে নির্বাচন কমিশন।

এদিকে বিজেপি বুধবারই জানিয়েছে, এই মুহূর্তে উপনির্বাচন কোনও ভাবেই করা যাবে না। এই নিয়ে সবিস্তারে ৮টি কারণ উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে চিঠিও দেয় বঙ্গ বিজেপি। যেখানে সংক্রমণের বিষয়টি প্রাধান্য পেয়েছে। বিজেপির বক্তব্য, রাজ্যে লোকাল ট্রেন বন্ধ, বাস চলছে কম লোক নিয়ে। সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসের মধ্যেই তৃতীয় ঢেউ আসার আশঙ্কা রয়েছে। সেপ্টেম্বর থেকেই পুজোর মরসুম শুরু হয়ে যাচ্ছে।  পশ্চিমবঙ্গ সরকারই এখানে কোভিড সংক্রান্ত বিধি নিষেধ লাগু করে রেখেছে। বিজেপিকে যে কোনও কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে অতিমারি আইন দেখিয়ে। করোনার দোহাই দিয়ে রাজ্য সরকার নিজেই ১২২টি পুরসভার নির্বাচন আটকে রেখেছে। সেখানে কী ভাবে তৃণমূল ভোটের মতো পর্ব চাইছে, সেটাই প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি।

যদিও  এ নিয়ে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়ের বক্তব্য ছিল, “বাংলায় হারার পর আসলে বিজেপির মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে। রাজ্যের বর্তমান করোনা পরিস্থিতি ঠিক কী, তার বিশদ রিপোর্ট আমরা কমিশনের কাছে জমা দিয়েছি।” অন্যদিকে সাংসদ সৌগত রায়ের বক্তব্য ছিল, এই মুহূর্তে করোনা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচন করানোর বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত কমিশনের।

একই সঙ্গে এদিন টিকা নিয়েও সরব হন দিলীপ ঘোষ। রাজ্য বার বার অভিযোগ তুলেছে, কেন্দ্র পর্যাপ্ত টিকা না পাঠানোয় সকলকে টিকা দেওয়া যাচ্ছে না। এদিন তারই পাল্টা দিলীপ ঘোষ বলেন, “রাজ্যে সাড়ে তিন কোটি টিকা তো পড়েই রয়েছে। প্রাইভেট হাসপাতালে টাকা দিয়ে করোনার ভ্যাকসিন পাওয়া যাচ্ছে। অথচ সরকারি জায়গায় লাইনে দাঁড়িয়ে মানুষ টিকা পাচ্ছেন না।” আরও পড়ুন: শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটা গুন্ডামি করার জায়গা নয়, বিশ্বভারতীর ছাত্র আন্দোলন নিয়ে বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ

Next Article
‘এই ক’টা টাকা মাইনে, এ ভাবে বদলি করে দিলে চলে?’, SSK শিক্ষিকাদের যন্ত্রণার বারমাস্যা
কয়লা-কাণ্ডে সস্ত্রীক অভিষেককে দিল্লি ডেকে পাঠাল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা