কলকাতা: কলকাতায় পোর্ট ট্রাস্টের গেস্ট হাউসে শনিবার বিজেপির বিক্ষুব্ধ নেতাদের বৈঠক ছিল। সেই বৈঠক থেকে বেরিয়ে জয়প্রকাশ মজুমদারকে পাশে নিয়ে একের পর এক বিস্ফোরক দাবি করলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। বাংলার কমিটি নিয়ে যে বিতর্ক গত কয়েকদিন ধরে বঙ্গ বিজেপির অন্দরে যে বিতর্ক, সেই থেকে এত সহজে যে পিছু হঠবেন না তা এদিন স্পষ্ট করে দিলেন শান্তনু। তাঁর দাবি, কোনও এক নেতা সংগঠনকে দখলে রাখতে ৯০ শতাংশ কাজের লোককে বাদ দিয়ে কমিটি করেছেন। কোনওভাবেই শান্তনু ঠাকুররা তা মেনে নেবেন না। একইসঙ্গে শান্তনুর হুঁশিয়ারি, সময়মতো বোমা ফাটাবেন তিনি। কী বোমা? আপাতত জিইয়ে রাখলেন সে প্রশ্ন।
শান্তনু ঠাকুরের কথায়, “আমাদের একটাই উদ্দেশ্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও বিজেপির হাতকে মজবুত করা। কিন্তু বর্তমানে বঙ্গ বিজেপির যে কমিটি তৈরি হয়েছে তা দেখে আমার মনে হয় না এই কমিটির বিজেপিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কোনও সৎ উদ্দেশ্য আছে। উপরের নেতাদের ভুল বার্তা দিয়ে কমিটি তৈরি হয়েছে। এতে আমরা বিজেপির জন্য অশনি সঙ্কেত দেখছি। আমরা এর মোকাবিলা করব। কোনও এক বিশেষ ব্যক্তি সংগঠনকে নিজের কুক্ষিগত করতে এভাবে বরিষ্ঠ, অভিজ্ঞ নেতাদের সরিয়ে কমিটি তৈরি করেছে।”
শান্তনু ঠাকুরের অভিযোগ, দলের অন্দরে থেকে যাঁরা এই ধরনের কাজ করছেন তাঁদের অন্য কোনও দলের সঙ্গে যোগ আছে। শান্তনুর কথায়, “তাই কারও কথা না চিন্তা করে বিজেপিতে থাকা ৯০ শতাংশ মানুষকে বাদ দিয়ে কমিটি করেছে। এটা বিজেপির জন্য ক্ষতিকর নয়? বিজেপির ক্ষতি রুখতেই আমরা একত্রিত হয়েছি। এরা যাতে কোনওভাবে দলের ক্ষতি না করতে পারে আমরা ওদের সব পরিকল্পনা বানচাল করব। তাই এই বৈঠক।”
শান্তনু বলেন, “মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষকে যেমন রাখা হয়নি, এসটি, ওবিসিদেরও অবহেলা করা হয়েছে। পাশাপাশি আজ বিজেপিকে যারা ২ শতাংশ থেকে ৪০ শতাংশে নিয়ে গেল তাদের কেন হঠাৎ মুছে দেওয়া হল এই কারণ আমি জানতে চাই। আমার মনে হয় না এই কারণগুলো ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের মাথায় আছে। কারণ উত্তর প্রদেশে ভোট রয়েছে। যে কারণে আমি আর উচ্চবাচ্যও করিনি। কিন্তু এটা জানা দরকার। শুধু রাজ্য কমিটিই নয়, জেলা-ব্লক -বুথ কমিটি সব জায়গা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।”
এদিন নাম না করে দলেরই এক নেতার বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন শান্তনু ঠাকুর। শান্তনু ঠাকুর বলেন, “সংগঠনের একজন নেতা আপনাদের নাম বলতে হয় না জানেন তো সংগঠনের দায়িত্বে কে আছেন। নাম বলে তাঁকে আমি হাইলাইট করতে চাই না। তবে তাঁর একার জন্য পুরো বিজেপি ধ্বংস হয়ে যাবে কখনও হতে দেব না। অবশ্যই আমরা ওই ব্যক্তির অপসারণ চাই। ইতিমধ্যেই ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বকে জানিয়েছি। আগামিদিনে আরও জোর দিয়ে বলব।”
দল না ছেড়েও বড় বিস্ফোরণ ঘটাবেন কেন্দ্রীয় এই প্রতিমন্ত্রী, শনিবার ‘বিক্ষুব্ধ’দের নিয়ে বৈঠকের পর জানিয়ে গেলেন সে কথাও। শান্তনু ঠাকুরের হুঁশিয়ারি, “আমরা সকলে চাই দলকে মজবুত করতে। আমি বম্ব ব্লাস্ট করব কোথায় সেটা সময় হলেই জানতে পারবেন। তবে এর মানে কখনওই এই নয় যে পার্টি ছেড়ে দিতে হবে। বম্ব ব্লাস্ট করার অনেক রকম উপায় আছে। আমরা চাইছি না পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির পতন হোক। সেখানে যা করণীয় আগামিদিনে বৃহত্তর আকারে সংঘবদ্ধভাবে করব।” শান্তনু ঠাকুরের নেতৃত্বে এদিনের বৈঠকে ছিলেন রীতেশ তিওয়ারি, সায়ন্তন বসু, জয়প্রকাশ মজুমদার, সমীরণ সাহা, অশোক কীর্তনিয়া, সুব্রত ঠাকুররা।
আরও পড়ুন: Covid Restriction: মেলাতে আপত্তি নেই রাজ্যের, বাকি বিধিনিষেধ বাড়ল ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত
কলকাতা: কলকাতায় পোর্ট ট্রাস্টের গেস্ট হাউসে শনিবার বিজেপির বিক্ষুব্ধ নেতাদের বৈঠক ছিল। সেই বৈঠক থেকে বেরিয়ে জয়প্রকাশ মজুমদারকে পাশে নিয়ে একের পর এক বিস্ফোরক দাবি করলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। বাংলার কমিটি নিয়ে যে বিতর্ক গত কয়েকদিন ধরে বঙ্গ বিজেপির অন্দরে যে বিতর্ক, সেই থেকে এত সহজে যে পিছু হঠবেন না তা এদিন স্পষ্ট করে দিলেন শান্তনু। তাঁর দাবি, কোনও এক নেতা সংগঠনকে দখলে রাখতে ৯০ শতাংশ কাজের লোককে বাদ দিয়ে কমিটি করেছেন। কোনওভাবেই শান্তনু ঠাকুররা তা মেনে নেবেন না। একইসঙ্গে শান্তনুর হুঁশিয়ারি, সময়মতো বোমা ফাটাবেন তিনি। কী বোমা? আপাতত জিইয়ে রাখলেন সে প্রশ্ন।
শান্তনু ঠাকুরের কথায়, “আমাদের একটাই উদ্দেশ্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও বিজেপির হাতকে মজবুত করা। কিন্তু বর্তমানে বঙ্গ বিজেপির যে কমিটি তৈরি হয়েছে তা দেখে আমার মনে হয় না এই কমিটির বিজেপিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কোনও সৎ উদ্দেশ্য আছে। উপরের নেতাদের ভুল বার্তা দিয়ে কমিটি তৈরি হয়েছে। এতে আমরা বিজেপির জন্য অশনি সঙ্কেত দেখছি। আমরা এর মোকাবিলা করব। কোনও এক বিশেষ ব্যক্তি সংগঠনকে নিজের কুক্ষিগত করতে এভাবে বরিষ্ঠ, অভিজ্ঞ নেতাদের সরিয়ে কমিটি তৈরি করেছে।”
শান্তনু ঠাকুরের অভিযোগ, দলের অন্দরে থেকে যাঁরা এই ধরনের কাজ করছেন তাঁদের অন্য কোনও দলের সঙ্গে যোগ আছে। শান্তনুর কথায়, “তাই কারও কথা না চিন্তা করে বিজেপিতে থাকা ৯০ শতাংশ মানুষকে বাদ দিয়ে কমিটি করেছে। এটা বিজেপির জন্য ক্ষতিকর নয়? বিজেপির ক্ষতি রুখতেই আমরা একত্রিত হয়েছি। এরা যাতে কোনওভাবে দলের ক্ষতি না করতে পারে আমরা ওদের সব পরিকল্পনা বানচাল করব। তাই এই বৈঠক।”
শান্তনু বলেন, “মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষকে যেমন রাখা হয়নি, এসটি, ওবিসিদেরও অবহেলা করা হয়েছে। পাশাপাশি আজ বিজেপিকে যারা ২ শতাংশ থেকে ৪০ শতাংশে নিয়ে গেল তাদের কেন হঠাৎ মুছে দেওয়া হল এই কারণ আমি জানতে চাই। আমার মনে হয় না এই কারণগুলো ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের মাথায় আছে। কারণ উত্তর প্রদেশে ভোট রয়েছে। যে কারণে আমি আর উচ্চবাচ্যও করিনি। কিন্তু এটা জানা দরকার। শুধু রাজ্য কমিটিই নয়, জেলা-ব্লক -বুথ কমিটি সব জায়গা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।”
এদিন নাম না করে দলেরই এক নেতার বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন শান্তনু ঠাকুর। শান্তনু ঠাকুর বলেন, “সংগঠনের একজন নেতা আপনাদের নাম বলতে হয় না জানেন তো সংগঠনের দায়িত্বে কে আছেন। নাম বলে তাঁকে আমি হাইলাইট করতে চাই না। তবে তাঁর একার জন্য পুরো বিজেপি ধ্বংস হয়ে যাবে কখনও হতে দেব না। অবশ্যই আমরা ওই ব্যক্তির অপসারণ চাই। ইতিমধ্যেই ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বকে জানিয়েছি। আগামিদিনে আরও জোর দিয়ে বলব।”
দল না ছেড়েও বড় বিস্ফোরণ ঘটাবেন কেন্দ্রীয় এই প্রতিমন্ত্রী, শনিবার ‘বিক্ষুব্ধ’দের নিয়ে বৈঠকের পর জানিয়ে গেলেন সে কথাও। শান্তনু ঠাকুরের হুঁশিয়ারি, “আমরা সকলে চাই দলকে মজবুত করতে। আমি বম্ব ব্লাস্ট করব কোথায় সেটা সময় হলেই জানতে পারবেন। তবে এর মানে কখনওই এই নয় যে পার্টি ছেড়ে দিতে হবে। বম্ব ব্লাস্ট করার অনেক রকম উপায় আছে। আমরা চাইছি না পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির পতন হোক। সেখানে যা করণীয় আগামিদিনে বৃহত্তর আকারে সংঘবদ্ধভাবে করব।” শান্তনু ঠাকুরের নেতৃত্বে এদিনের বৈঠকে ছিলেন রীতেশ তিওয়ারি, সায়ন্তন বসু, জয়প্রকাশ মজুমদার, সমীরণ সাহা, অশোক কীর্তনিয়া, সুব্রত ঠাকুররা।
আরও পড়ুন: Covid Restriction: মেলাতে আপত্তি নেই রাজ্যের, বাকি বিধিনিষেধ বাড়ল ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত