কলকাতা: ফের রাজ্যে এলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে.পি নাড্ডা। শনিবার সন্ধ্যায় কলকাতা বিমানবন্দরে নামেন তিনি। আর তারপরই কলকাতার এক পাঁচতারা হোটেলে দলের রাজ্য শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসেন নাড্ডা। মূলত,পূর্ব বর্ধমান ও পূর্ব মেদিনীপুরে সভা করার আগে সেখানে দলের শক্তি বুঝে নিতে এবং সমগ্র রাজ্যে দলের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতেই নাড্ডার এই বৈঠকে বলে সূত্রের খবর।
জানা গিয়েছে, এদিন সন্ধ্যায় কলকাতা বিমানবন্দরে নামেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে.পি নাড্ডা। মূলত, লোকসভা ও পঞ্চায়েত ভোটকে পাখির চোখ করে পূর্বস্থলী এবং কাঁথিতে সভা করতেই নাড্ডার এই ঝটিতি সফর। এদিন তাঁকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানাতে আসেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সহ দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। তারপর বিমানবন্দর থেকে সোজা একটি পাঁচতারা হোটেলে ওঠেন নাড্ডা। সেখানেই রাত ৮টা নাগাদ বৈঠকে বসেন তিনি। ওই বৈঠকে রাজ্য বিজেপি সভাপতি ছাড়াও দলের সাধারণ সম্পাদক ও রাজ্য বিজেপির পর্যবেক্ষকেরা উপস্থিত ছিলেন। ঠিক কী বিষয় নিয়ে এই বৈঠক তা দলের তরফে স্পষ্ট করা হয়নি। তবে রবিবার, পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলী এবং পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে জনসভা করবেন নাড্ডা। তাই জনসভার আগে এই দুই কেন্দ্রে দলের পরিস্থিতি ঝালিয়ে নিতেই বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের এই বৈঠক বলে বিজেপি সূত্রে খবর।
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার প্রথমে পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীতে সভা করবেন জে.পি নাড্ডা। পূর্বস্থলীর বিখ্যাত কালীমন্দিরে পুজো দিয়েই ওই জেলায় প্রচারে নামবেন তিনি। পূর্বস্থলীর রাম নগরের আরএসএ ময়দানে দুপুর ৩টে নাগাদ সভা করবেন। জনসভা শেষে জেলার দলীয় নেতৃত্বদের সঙ্গে বৈঠক করবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তারপর সেখান থেকে সোজা পূর্ব মেদিনীপুরের শুভেন্দুর গড় কাঁথিতে যাবেন নাড্ডা। সেখানেও জনসভা করবেন তিনি। সেই সভায় ভূমিপুত্র শুভেন্দু অধিকারীও উপস্থিত থাকবেন কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। এখনও পর্যন্ত তাঁর ত্রিপুরায় প্রচারে যাওয়ার কথা রয়েছে। রবিবার বিকালে কাঁথির সভা শেষেই হেলিকপ্টারে কলকাতা বিমানবন্দরে উড়ে আসবেন নাড্ডা এবং রাতের বিমানেই দিল্লি রওনা দেবেন তিনি।
প্রসঙ্গত, আগামী লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের জমি শক্ত করতে মরিয়া বিজেপি। একদিকে যেমন সংগঠনের শক্তি মজবুত করতে বেশ কয়েকবার রাজ্যে এসেছেন RSS প্রধান মোহন ভাগবত, তেমনই বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বরা রাজ্যে আসা শুরু করেছেন। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির প্রত্যেক কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে বাংলায় ১২টি করে জনসভা করার কর্মসূচি স্থির হয়েছে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে। সেই সূচি অনুসারেই এখন থেকে ময়দানে নামতে শুরু করেছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এদিন প্রথমে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের রাজ্যে আসার কথা হয়েছিল। কিন্তু, সামনেই ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচন। যা নিয়ে ব্যস্ত তিনি। তাই শাহের বদলে নাড্ডার এই সফর। তবে যেখানে প্রথমদিকে কাঁথির উপর বিজেপির বিশেষ নজর ছিল না, সেই শিশির অধিকারীর কেন্দ্রেই নাড্ডার সভা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।