Samik Bhattacharya-Md Selim: পঞ্চায়েত ভোটের ১০ ঘণ্টা আগে বারবার কথা শমীক-সেলিমের, বাম-রামের কী শলা-পরামর্শ হয়েছিল সেদিন?

সুমন মহাপাত্র | Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

Jul 10, 2023 | 11:54 AM

Samik Bhattacharya-Md Selim: গভীর আলোচনায় সেলিম-শমীককে। বারবার বিজেপি প্রধান মুখপাত্রের সঙ্গে কথাবার্তা সারছিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক। প্রকাশ্যে এই ছবি খানিকটা ভাবায় দুই দলের সমর্থকদেরই।

Samik Bhattacharya-Md Selim: পঞ্চায়েত ভোটের ১০ ঘণ্টা আগে বারবার কথা শমীক-সেলিমের, বাম-রামের কী শলা-পরামর্শ হয়েছিল সেদিন?
টিভি নাইনের মঞ্চে সেলিম ও সমীক।
Image Credit source: TV9 বাংলা

Follow Us

কলকাতা: মতাদর্শগত বিরোধিতা। রোজ অন্তত ১০ বার নাগপুরের সমালোচনা করে আলিমুদ্দিন। জাতীয় স্তরে তৃণমূলের হাতে হাত রাখলেও বিজেপি বিরোধিতায় সব সময় দশ ধাপ এগিয়ে থাকার দাবি করে সিপিএম। বামফ্রন্টের বড় শরিকের রাজ্য সম্পাদক কিনা ভোটের প্রাক্বালে বিজেপির প্রধান মুখপাত্রের সঙ্গে আলোচনায়! নেট মাধ্যমে ইতিমধ্যেই সাড়া ফেলেছে শমীক-সেলিমের ছবি। ভোটের আগে কি স্ট্র্যাটেজি ঠিক করছিলেন দুই বিরোধী?

সরকারিভাবে কোনও বোঝাপড়া নয়, টিভি নাইন বাংলার রাজনীতি ও বাংলার মঞ্চে পাশাপাশি বসেছিলেন দুই বিরোধী নেতা। সেখানেই শাসক দলের মন্ত্রী-সাংসদরা যখন স্ট্রেটব্যাটে ছক্কা হাঁকাচ্ছেন, তখনই শমীক ভট্টাচার্যের (Samik Bhattacharya) সঙ্গে বারবার কথা মহম্মদ সেলিমের (Mohammed Salim)। পাশাপাশি বসে কি শাসককে আক্রমণ করার ঘুঁটি সাজাচ্ছিলেন দুই নেতা? মঞ্চে তৃণমূলের তখন পাল্লা ভারি। ভোটের কয়েক ঘণ্টা আগের এই বিতর্ক সভায় তখন টানটান উত্তেজনা। শাসক-বিরোধীদের উত্তাপ তখন আরও বাড়িয়ে তুলছেন দর্শক আসনে বসে থাকা যাদবপুর-প্রেসিডেন্সির রাজনীতি সচেতন পড়ুয়ারা। একদিকে, শাসকের অস্ত্র বাম জমানার পঞ্চায়েত ভোটের হিংসা। আর বিরোধীরা দেখাচ্ছে হাইকোর্টকে। ব্রাত্য বসুর বক্তব্যের সময়ই দেখা গেল গভীর আলোচনায় সেলিম-শমীককে। বারবার বিজেপি প্রধান মুখপাত্রের সঙ্গে কথাবার্তা সারছিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক। রাজনীতির ভাষায় যা সৌজন্য। কিন্তু, প্রকাশ্যে এই ছবি খানিকটা ভাবায় দুই দলের সমর্থকদেরই। তবে চিন্তার কোনও কারণ নেই। টিভি নাইন বাংলার মঞ্চে পঞ্চায়েতের ভোটের আগে হঠাৎ জোট করে ফেলেনি দুই মেরুর এই দুই দল।

টিভি নাইন বাংলার প্রশ্নে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই জল্পনার অবসান ঘটিয়েছেন সেলিম। জানিয়েছেন, শমীকের সঙ্গে তাঁর পঞ্চায়েত ভোট নিয়েই কথা হয়েছে। একই সুরে ঘাসফুল বিরোধিতার কথা মঞ্চে অন্তত ১০ বার আওড়েছেন সেলিম, শমীক, দীপ্সিতা, রুদ্রনীলরা। নিজেদের মধ্যে কথা চলাকালীন অবশ্য সেলিমের সঙ্গে শমীকের কথাবার্তায় উঠে এসেছে শুধুই হিংসা। কোনও হেয়ালি না করেই কাস্তে হাতুড়ির নেতা জানান, চারদিকে যা চলছে তা নিয়েই শমীকের সঙ্গে কথা হয় তাঁর। তিনি বলেন, “পুরো পরিস্থিতিটাই লন্ডভন্ড হয়ে আছে। শমীক আমাকে বলল কোথায় কোথায় খুন হচ্ছে। আমিও বললাম কোথায় কোথায় কেন্দ্রীয় বাহিনী যায়নি। কোথায় পোলিং এজেন্টরা যেতে ভয় পাচ্ছেন। এক্সচেঞ্জ অব ইনফরমেশন তো করতেই হয়। এটা তো কোনও আলোচনার বিষয় নয়।”

বাংলার ভোটে রাজনৈতিক হিংসা ট্রেন্ডে পরিণত হয়েছে। পঞ্চায়েতের দিন ঘোষণার  দিন থেকেই বারবার রক্তপাত, শুধুমাত্র ভোটের দিনই ১৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন। ব্যালট নিয়ে দে দৌড় কিংবা বিরোধীদের এজেন্টের হাত বেঁধে তাঁর সামনেই দেদার ছাপ্পা। পঞ্চায়েত ভোটে এই ছবি গোটা বাংলা দেখেছে। বুলেটের লড়াই হয়েছে। বোমা পড়েছে খোলামকুচির মতো। তার মধ্যেই সেলিমের সেদিনের কথা অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক।  শমীক ভট্টাচার্যের সঙ্গে কথা প্রসঙ্গে তিনি বলেছিলেন, “এটাই যদি অবস্থা হত, যে রাজনৈতিক মত আলাদা হলেও মতামত নিজের মতো দেওয়া যায়। কিন্তু তাঁদের মধ্যে কোনও মনোমালিন্য হয় না। তাহলেই তো ভাল হত। এটাই তো আমরা চাই। এটাই তো পল্লীসমাজ”। এক কথায় বলতে গেলে, বিরোধী জোট নয়, টিভি নাইন বাংলার মঞ্চে দেখা গেল শাসকের বিরোধিতা করার জোট।

Next Article