Speech Controversy: বিজেপি মুখপাত্রের ‘প্ররোচনামূলক মন্তব্যের রেশ’, অবরোধে স্তব্ধ বাংলা

Traffic jam in Kolkata: আচমকা অবরোধের জেরে ২ থেকে ৩ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে যানজটে আটকে যান অসংখ্য মানুষ। তীব্র যানজট তৈরি হয়েছে ড্রেনেজ ক্যানেল রোড, বেলাপোল, কাজীপাড়ায়।

Speech Controversy: বিজেপি মুখপাত্রের 'প্ররোচনামূলক মন্তব্যের রেশ', অবরোধে স্তব্ধ বাংলা
ছবি - যানজটে নাকাল বাংলা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 09, 2022 | 7:48 PM

কলকাতা: সর্বভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেলের বিতর্ক সভায় ‘উস্কানিমূলক মন্তব্য’। তার রেশ পড়ল বাংলায়ও। টুইট করে অভিযুক্ত ২ বিজেপি (BJP) মুখপাত্রের গ্রেফতারি পর্যন্ত দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। এরই মধ্যে অভিযুক্তদের শাস্তি চেয়ে শুরু হল অবরোধ, বিক্ষোভ। যার খেসারত দিতে নাকাল নিত্যযাত্রীরা। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই অবরুদ্ধ দ্বিতীয় হুগলী সেতু, কোনা এক্সপ্রেসওয়ে। অবরুদ্ধ বোম্বে রোডও। যার জেরে যানজটে নাকাল সাধারণ মানুষ। অফিস ফিরতি সময়ে অবরোধের জেরে চরমে উঠেছে দুর্ভোগ। তীব্র যানজট তৈরি হয়েছে অঙ্কুরহাটি, নিব্রা রোড, কেজুরতলায়। স্তব্ধ ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক, ডানকুনি হাইওয়ে। কার্যত ‘স্ট্যান্ড স্টিল’ ড্রেনেজ ক্যানেল রোড, বেলাপোল, কাজীপাড়ার মতো সদা ব্যস্ত সড়কপথ।  

একাধিক জায়গায় ২ থেকে ৩ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে যানজটে আটকে যান অসংখ্য মানুষ। তবে শুরুতে অবরোধের কারণ নিয়ে অনেকের মধ্যে ধোঁয়াশাও তৈরি হয়। অন্যদিকে যানজটে আটকে থাকা বাস-ট্রেন ছেড়ে অনেকেই বাড়ি ফিরতে হাঁটতে শুরু করেন। একই ছবি দেখতে পাওয়া যায় কোনা এক্সপ্রেসওয়ের বিদ্যাসাগর টোল প্লাজার কাছেও। সেখানও প্রচুর মানুষ হাঁটতে শুরু করেন। তবে কখন কাটবে এই যানজট? উত্তর নেই কারও কাছেই। নবান্ন থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্ব থেকে এই কোনা এক্সপ্রেসওয়ের অবস্থা দেখে উদ্বেগ বেড়েছে নাগরিক মহলে। এদিকে সন্ধ্যা যত গাঢ় হচ্ছে ততই যানজট বাড়ছে ধূলাগড়, আন্দুল সহ হাওড়ার বিস্তৃর্ণ এলাকায়। 

এদিকে সর্বভারতীয় বিজেপি মুখপাত্রদের মন্তব্যের পর রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে এদিন নবান্ন থেকে সাংবাদিক সম্মেলনে মমতা বলেন, “আমরা চাই না কোনও ঘটনা ঘটুক। আমরা বাংলায় রাস্তা অবরোধ করতে দিই না, বনধ করতে দিই না। কেন দিল্লিতে কিছু ঘটলে বাংলায় ঝামেলা করতে হবে? সকলেই আমাদের ভাই বোন। দিল্লির দু’টো বদমাশ কী বলল তার জন্য বাংলায় অবরোধ করার দরকার নেই। গুজরাট, উত্তর প্রদেশে গিয়ে করুন। বাংলায় তো ওরা নেই…মানুষ গাড়ির ভিতর কষ্ট পাচ্ছে, বসে আছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। তাঁদের কী অপরাধ? আমার আবেদন পাবলিককে রেহাই দিন। বাংলায় এসব করতে হবে না”।