কলকাতা: জেপি নাড্ডার তলবে দিল্লি যাওয়ার আগেই বাবুল সুপ্রিয়কে নিয়ে সুর নরম করলেন দিলীপ ঘোষ। শুধু সুরই নরম নয়, আসানসোলের সাংসদকে নিয়ে করা নিজের মন্তব্য থেকেও সরে এলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। তাঁর দাবি, মন্ত্রিত্ব যাওয়ায় বাবুল হাঁফ ছেড়ে বাঁচেননি, মুখ্যমন্ত্রী হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছেন বলে তিনি উল্লেখ করেছিলেন। সেই বক্তব্যের ‘অপব্যাখ্যা’ হয়েছে। এমনকী, বাবুলের প্রশংসা করতেও পিছপা হননি মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ। তাঁর কথায়, ‘উনি ডায়নামিক।’
মন্ত্রিত্ব খোয়ানোর পর বাবুলের সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছুটা ‘হতাশার’ সুর শোনা গিয়েছিল। নিজের ফেসবুক পেজে সাংসদ লেখেন, “আমাকে মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দিতে বলা হয়েছে, নিজের জন্য খারাপ লাগছে।” যদিও কিছুক্ষণের মধ্যেই সেই লেখা পাল্টে এই বিতর্কিত অংশটি বাদ দিয়েছিলে তিনি। কিন্তু তাঁর এহেন ফেসবুক পোস্ট নিয়ে পালটা প্রতিক্রিয়া দিতে ছাড়েননি দিলীপ। তিনি কটাক্ষ করে বলেন, “ছাঁটাই হওয়া ১২ জনের কেউ তো এইভাবে পোস্ট করেননি।” কড়া ভাষায় বাবুলের উদ্দেশে তাঁর বক্তব্য ছিল, “তাঁকে যদি বরখাস্ত করা হত, সেটা ভাল হত কি?”
দিলীপকে আরও বলতে শোনা যায়, “বাবুল সক্রিয় মন্ত্রী ছিলেন। কিন্তু মন্ত্রী থাকাকালীন তো মুখ্যমন্ত্রী কম গালমন্দ করেননি। এখন হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন বাবুল।” চুপ থাকেননি বাবুলও। TV9 বাংলায় প্রকাশিত দিলীপের সেই বক্তব্যের প্রতিবেদন ফেসবুকে পোস্ট করে তাতে লেখেন, ‘দিলীপ দা কি আনন্দ পেয়েছেন!’ দিলীপের বক্তব্য যে বুঝেও তিনি না বুঝতে চাইছেন, সে কথাও উল্লেখ করেছেন বাবুল। বাবুলের বক্তব্য, দিলীপবাবুর এই উক্তি তিনি ‘স্বজ্ঞানে বুঝেও বুঝছেন না।’ সব শেষে লিখেছেন, “উনি রাজ্য সভাপতি। সবার শ্রদ্ধার পাত্র।”
বাবুলের এই বিস্ফোরক অথচ তীর্যক সুরের পোস্টের পরই আগের মন্তব্য থেকে সরে এলেন দিলীপ। TV9 বাংলাকে শনিবার তিনি বলেন, “আমি বলতে চেয়েছিলাম, বাবুল সুপ্রিয় মন্ত্রী না থাকায় মুখ্যমন্ত্রী হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছেন। মুখ্যমন্ত্রী তো সারাক্ষণ বাবুলকে গালমন্দ করতেন। এখন শুনছি সমবেদনা জানিয়েছেন। কেন সমবেদনা জানিয়েছেন বুঝলাম না। মুখ্যমন্ত্রীর তো হাঁফ ছেড়ে বাঁচার কথা। এটাই বলতে চেয়েছিলাম। কে কী ভাবে এর ব্যাখ্যা করেছেন জানি না।” একই সঙ্গে তাঁর সংযোজন, “বাবুলদা তরুণ নেতা, রাজনীতিতে এসেই উনি জিতেছেন, মন্ত্রী হয়েছেন। সাত বছর মন্ত্রিত্ব করলেন। উনি ডায়নামিক। সংগঠনেও ভাল কাজ করতে পারবেন।”
আরও পড়ুন: মন্ত্রিত্ব-হারা বাবুল ও দেবশ্রীকে সংগঠনে বড় দায়িত্ব! জোর জল্পনা পদ্মশিবিরে