মন্ত্রিত্ব-হারা বাবুল ও দেবশ্রীকে সংগঠনে বড় দায়িত্ব! জোর জল্পনা পদ্মশিবিরে

Babul Supriyo BJP: চাপা অসন্তোষ দিব্যি টের পাচ্ছেন মুরলীধর সেন লেনের নেতারা। শনিবারই তড়িঘড়ি দিল্লি থেকে দিলীপ ঘোষের ডাক এসেছে

মন্ত্রিত্ব-হারা বাবুল ও দেবশ্রীকে সংগঠনে বড় দায়িত্ব! জোর জল্পনা পদ্মশিবিরে
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 10, 2021 | 5:58 PM

কলকাতা: সদ্য মন্ত্রীর চেয়ার হারিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের দুই সাংসদ। তারপর থেকেই বঙ্গ বিজেপির অন্দরে যেন বাজছে অভিমানের গান। সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় প্রথমে সোশ্যাল মিডিয়াতেই ‘হতাশা’ জানান দিয়েও পরে ঢোঁক গেলেন। দেবশ্রী চৌধুরী অবশ্য এখনও মুখ খোলেননি। কিন্তু চাপা অসন্তোষ দিব্যি টের পাচ্ছেন মুরলীধর সেন লেনের নেতারা। এই অবস্থায় শনিবারই তড়িঘড়ি দিল্লি থেকে দিলীপ ঘোষের ডাক এসেছে। ডেকে পাঠিয়েছেন বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। দু’জনের মধ্যে বৈঠকের পর রাজ্য বিজেপির অন্দরে বড় রদবদল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে, এমনটাই খবর বিজেপি সূত্রে। তখনই বাবুল ও দেবশ্রীকে বড় কোনও দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে, আপাতত এমনই জল্পনা শোনা যাচ্ছে পদ্মশিবিরে।

ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকেই বিরোধী শিবিরে একটা ছন্নছাড়া ভাব স্পষ্টই চোখে পড়ছে রাজনৈতিক মহলের। বর্তমানে বিজেপির অন্দরে যে সব ঠিক নেই, তা বলার জন্য রাজনীতির পণ্ডিত হতে হবে না। একের পর এক নেতার বেসুরো বুলি, কিংবা অভিমানী সুর থেকেই স্পষ্ট, সংগঠনে একটা জোর ঝাঁকুনি দরকার। সাংগঠনিক পরিবর্তন যে প্রয়োজন, তা বুঝতে পারছেন গেরুয়া বাড়ির নেতারা। সেই মতো সাংগঠনিক রদবদল নিয়ে জেপি নাড্ডার সঙ্গে দিলীপ ঘোষ বৈঠক করতে পারেন বলে খবর সূত্রের। আর সংগঠনকে আরও মজবুত করতেই বাবুল ও দেবশ্রীকে বড় দায়িত্ব দিতে পারেন নেতৃত্ব। এই দুই সাংসদের মধ্যে দেবশ্রীর অবশ্য আগেও সাংগঠনিক দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা রয়েছে। সংগঠনে বাবুলের তেমই অভিজ্ঞতা নেই বললেই চলে। তবে বিজেপির হয়ে তিনি সদা সক্রিয়ই থেকেছেন।

বালুরঘাটের সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীর যোগাযোগ দীর্ঘদিন যাবৎ রয়েছে গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে। আরএসএস থেকে এসে এবিভিপি-র রাজ্য সম্পাদক হন তিনি। বহু বছর ধরেই বিজেপির সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রয়েছ দেবশ্রীর। ফলে তাঁকে সংগঠনের বড় দায়িত্ব দেওয়া হলে অবাক হতে হবে না। একসময় তিনি রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদকও ছিলেন। ফলে সাংগঠনিক বিষয় সম্পর্কে রীতিমতো ওয়াকিবহাল তিনি। তুলনায় বাবুল অভিজ্ঞতা কিছুটা কম। যদিও মন্ত্রী হিসেবে তাঁর অভিজ্ঞতা দেবশ্রীর তুলনায় ৫ বছরের বেশি। বর্তমানে এই দু’জনকে সংগঠনে এনেই ধারে ও ভারে আরও শান দিতে চাইছে বিজেপি।

দেবশ্রী ও বাবুলকে সংগঠনের কাজে লাগানো প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ এ দিন বলেন, “বিজেপিতে এটাই নিয়ম। কখনও প্রশাসনিক কাজে লাগানো হয়, কখনও সাংগঠনিক কাজে। দেবশ্রী চৌধুরীকে যদি রাজ্যে পাঠানো হয়, তাহলে রাজ্যে তাঁকে আমরা কাজ দেব। আর কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যদি সর্বভারতীয় স্তরে কাজে লাগান, তাহলে উনি সেখানে কাজ করবেন। বাবুল দা তরুণ নেতা। রাজনীতিতে এসেই উনি জিতেছেন, মন্ত্রী হয়েছেন। সাত বছর মন্ত্রিত্ব করলেন। উনি ডায়নামিক। সংগঠনেও ভাল কাজ করতে পারবেন।

আরও পড়ুন: দিল্লিতে ডাক দিলীপকে, বেসুরোদের নিয়ে কি আরও কড়া সিদ্ধান্তের পথে দল, জোরাল জল্পনা