কলকাতা : অবশেষে বহু প্রতীক্ষিত চার পুরনিগমের ভোট সমাপ্ত হল। নির্বাচন হল শিলিগুড়ি, আসানসোল, চন্দননগর এবং বিধাননগর পুরনিগমে। গত ২২ জানুয়ারি চার পুরনিগমে নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের জেরে তা পিছিয়ে যায়। আজ মহা সমারোহে ভোট হল এই ৪ পুরনিগমে। হল দেদার, ছাপ্পা, মারধর, হানাহানি। সকাল থেকেই ৪ পুরনিগমের বিভিন্ন বুথ থেকে বিক্ষিপ্ত ঝামেলার খবর আসছিল। বেশিরভাগ অশান্তি এবং গন্ডগোল বাধানোর অভিযোগ উঠেছে শাসক শিবিরের বিরুদ্ধেই। ভোট শেষের পরে পুরনিগম নির্বাচন নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে সরব হলেন ভারতীয় জনতা পার্টির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
তিনি এদিন সন্ধেয় সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন যে এই নির্বাচনে তাঁদের যে দাবিগুলি ছিল তাঁর সত্যতার স্বপক্ষে তাঁরা প্রমাণ পেলেন। তিনি সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, “একমাত্র শিলিগুড়ি পুরনিগমে দু-তিনটি ওয়ার্ড বাদে বাকি নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে। কিন্তু বাকি পুরনিগমের ক্ষেত্রে, বিধাননগর, আসানসোল এবং চন্দননগরে ভোটের নামে প্রহসন হয়েছে।” তিনি আজকের অশান্তির সঙ্গে গত বছর বিধানসভা নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে এনে বলেন, “আজকের পুরনিগমে এই অশান্তি আর কিছুই নয় ২ রা মে এর ফলাফল ঘোষণার পর যে ভোটপরবর্তী হিংসা বাংলার মানুষ দেখেছিল তারই বর্ধিত রূপ।”
বিধাননগরে প্রয়াত প্রখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়ের নাম ভোট পড়া প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, “যারা তৃণমূল করে তারা পাড়ার দ্বিজেন কাকা ও দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়ের মধ্যে পার্থক্য বোঝে না। তাদের বোঝার মতো সংস্কৃতিও নেই। যদিও তৃণমূল নিজেদের বাংলার সংস্কৃতির ধারক ও বাহক বলে দাবি করে কিন্তু তাদের বোঝার মতো ক্ষমতা নেই। ” তিনি এই এক প্রসঙ্গে তৃণমূলকে কটাক্ষ করে বলেছেন, “ভাগ্যিস সেখানে রবীন্দ্র নাথ ঠাকুরের নাম নেই। নয়তো তাঁর নামেও ভোট পড়ে যেত।” আজ বিধাননগর পুরনিগমে শাসক শিবিরের দৌরাত্ম উদ্ধৃত করে তিনি বলেছেন, “বিধাননগরে ৩৭ ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী তৃণমূলের প্রতীক লাগিয়ে বুথে ঢুকে আমাদের প্রার্থীকে মারধর করেন। ৩১ নম্বরে আমাদের প্রার্থী দেবশিস জানা শৌচালয়ে ঢুকে বহিরাগত ধরেছেন। সবকটি পুরনিগমে গতকাল রাতে এবং আজ ভোরে প্রচুর বহিরাগতকে ঢোকানো হয়। যাতে তারা আজ তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে ভোটে ছাপ্পা দিতে পারে।” তিনি আসানসোলের পুর নির্বাচন প্রসঙ্গে বলেছেন, “৪২ নম্বর ওয়ার্ডে মাথায় রিভলভার ঠেকিয়ে প্রার্থী এবং তাঁর ছেলেকে অপহরণ করা হয়েছে।”
তিনি জানিয়েছেন গণতন্ত্রের লুঠ হয়েছে আজ। তিনি বলেছেন, “আসানসোলের এক একটি বুথে ১০০-২০০ জন করে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে একটা সময়। চন্দননগরের বিভিন্ন বুথেও বহিরাগতদের ঢোকানো হয়েছে। গণতন্ত্রের লুঠ হয়েছে।” তিনি বলেন, “আজ আমরা প্রথম দেখলাম পুলিশের গাড়িতে লেখা ‘বাংলা নিজের মেয়েকে চায়’। আমরা জানি না পুলিশও আজকাল বিজ্ঞাপন দিতে শুরু করে দিল কিনা।”
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
কলকাতা : অবশেষে বহু প্রতীক্ষিত চার পুরনিগমের ভোট সমাপ্ত হল। নির্বাচন হল শিলিগুড়ি, আসানসোল, চন্দননগর এবং বিধাননগর পুরনিগমে। গত ২২ জানুয়ারি চার পুরনিগমে নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের জেরে তা পিছিয়ে যায়। আজ মহা সমারোহে ভোট হল এই ৪ পুরনিগমে। হল দেদার, ছাপ্পা, মারধর, হানাহানি। সকাল থেকেই ৪ পুরনিগমের বিভিন্ন বুথ থেকে বিক্ষিপ্ত ঝামেলার খবর আসছিল। বেশিরভাগ অশান্তি এবং গন্ডগোল বাধানোর অভিযোগ উঠেছে শাসক শিবিরের বিরুদ্ধেই। ভোট শেষের পরে পুরনিগম নির্বাচন নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে সরব হলেন ভারতীয় জনতা পার্টির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
তিনি এদিন সন্ধেয় সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন যে এই নির্বাচনে তাঁদের যে দাবিগুলি ছিল তাঁর সত্যতার স্বপক্ষে তাঁরা প্রমাণ পেলেন। তিনি সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, “একমাত্র শিলিগুড়ি পুরনিগমে দু-তিনটি ওয়ার্ড বাদে বাকি নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে। কিন্তু বাকি পুরনিগমের ক্ষেত্রে, বিধাননগর, আসানসোল এবং চন্দননগরে ভোটের নামে প্রহসন হয়েছে।” তিনি আজকের অশান্তির সঙ্গে গত বছর বিধানসভা নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে এনে বলেন, “আজকের পুরনিগমে এই অশান্তি আর কিছুই নয় ২ রা মে এর ফলাফল ঘোষণার পর যে ভোটপরবর্তী হিংসা বাংলার মানুষ দেখেছিল তারই বর্ধিত রূপ।”
বিধাননগরে প্রয়াত প্রখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়ের নাম ভোট পড়া প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, “যারা তৃণমূল করে তারা পাড়ার দ্বিজেন কাকা ও দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়ের মধ্যে পার্থক্য বোঝে না। তাদের বোঝার মতো সংস্কৃতিও নেই। যদিও তৃণমূল নিজেদের বাংলার সংস্কৃতির ধারক ও বাহক বলে দাবি করে কিন্তু তাদের বোঝার মতো ক্ষমতা নেই। ” তিনি এই এক প্রসঙ্গে তৃণমূলকে কটাক্ষ করে বলেছেন, “ভাগ্যিস সেখানে রবীন্দ্র নাথ ঠাকুরের নাম নেই। নয়তো তাঁর নামেও ভোট পড়ে যেত।” আজ বিধাননগর পুরনিগমে শাসক শিবিরের দৌরাত্ম উদ্ধৃত করে তিনি বলেছেন, “বিধাননগরে ৩৭ ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী তৃণমূলের প্রতীক লাগিয়ে বুথে ঢুকে আমাদের প্রার্থীকে মারধর করেন। ৩১ নম্বরে আমাদের প্রার্থী দেবশিস জানা শৌচালয়ে ঢুকে বহিরাগত ধরেছেন। সবকটি পুরনিগমে গতকাল রাতে এবং আজ ভোরে প্রচুর বহিরাগতকে ঢোকানো হয়। যাতে তারা আজ তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে ভোটে ছাপ্পা দিতে পারে।” তিনি আসানসোলের পুর নির্বাচন প্রসঙ্গে বলেছেন, “৪২ নম্বর ওয়ার্ডে মাথায় রিভলভার ঠেকিয়ে প্রার্থী এবং তাঁর ছেলেকে অপহরণ করা হয়েছে।”
তিনি জানিয়েছেন গণতন্ত্রের লুঠ হয়েছে আজ। তিনি বলেছেন, “আসানসোলের এক একটি বুথে ১০০-২০০ জন করে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে একটা সময়। চন্দননগরের বিভিন্ন বুথেও বহিরাগতদের ঢোকানো হয়েছে। গণতন্ত্রের লুঠ হয়েছে।” তিনি বলেন, “আজ আমরা প্রথম দেখলাম পুলিশের গাড়িতে লেখা ‘বাংলা নিজের মেয়েকে চায়’। আমরা জানি না পুলিশও আজকাল বিজ্ঞাপন দিতে শুরু করে দিল কিনা।”
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা