কলকাতা: শুক্রবার বিকেলেই বিধাননগরের সিএ আইল্যান্ডে মহারাণা প্রতাপ সিংয়ের মূর্তি উন্মোচিত হয়েছে। উন্মোচন করেছেন বারাসতের তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। মূর্তির ফলকে লেখা রয়েছে সাংসদের নাম। সিএ আইল্যান্ডে ওই মূর্তি স্থাপনের চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই এবার বিজেপির তরফে সাদা কাগজ দিয়ে ফলক থেকে ঢেকে দেওয়া হল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারের নাম। কিন্তু হঠাৎ কী হল? কেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা এমন কাণ্ড ঘটালেন?
বিজেপির বক্তব্য, মূর্তির ফলকে উপরের দিকে বড় বড় হরফে লেখা রয়েছে সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারের নাম। আর নীচে ছোট হরফে লেখা মহারাণা প্রতাপ সিংয়ের নাম। আর সেই নিয়েই তীব্র আপত্তি বিজেপির নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের। তাই শনিবার সকালে মহারাণা প্রতাপ সিং মূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভ দেখান বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। সাদা কাগজ দিয়ে তাঁরা ঢেকে দেন সাংসদের নাম। যদিও ফলক আর মূর্তির মাঝে একটি ফ্লেক্স বসানো হয়েছে, যেখানে তুলনামূলক বড় হরফে লেখা আছে মহারাণা প্রতাপ সিং নাম।
তবে বিজেপির দাবি, ওই ফ্লেক্স পরে আলাদা করে বসানো হয়েছে। এখন তাঁদের দাবি, ওই ফলক বদল করতে হবে। ফলকের উপরের দিকে বড় হরফে মহারাণা প্রতাপের নাম থাকতে হবে এবং নীচে ছোট হরফে সাংসদের নাম থাকতে হবে। শুধু তাই নয়, ফলকে মহারাণা প্রতাপের হিন্দি হরফে নামের পাশাপাশি বাংলা হরফেও নাম লিখতে হবে বলে দাবি বিজেপির।
বিজেপির এই বিক্ষোভ কর্মসূচি ও সাংসদের নাম সাদা কাগজ দিয়ে ঢেকে দেওয়ার ঘটনা নিয়ে টিভি নাইন বাংলার প্রতিনিধি সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি।
বিধাননগর পুরনিগমের মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তীর সঙ্গেও টিভি নাইন বাংলার প্রতিনিধি যোগাযোগ করেছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, ‘পুরনিগম থেকে দায়িত্ব থাকে বিষয়টি আয়োজন করা, কারা কীভাবে করবে, কত টাকার প্রজেক্ট ছিল। এটা আমাদের স্যাংশান করতে হয়। তবে কার নামে কোথায় কী হবে, সেটা নিয়ে আমি কোনও মন্তব্য করব না।’