Assembly: ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশবিরোধী কাজ চলছে’, যাদবপুর-কাণ্ডে একাধিক অভিযোগ তুলে বিধানসভা ওয়াক আউট BJP-র

Pradipto Kanti Ghosh | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Aug 22, 2023 | 2:09 PM

JU Student death: বিজেপি বিধায়করা বিশ্ববিদ্যালয়ে উগ্র বাম মানসিকতার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। সরাসরি ব্রাত্য বসুর দিকে আঙুল তোলেন। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, "এই উগ্র বাম এবং মক্তমনা মানসিকতাকেই সমর্থন করছেন ব্রাত্য বসু। অর্থাৎ রাজ্য সরকারের তরফ থেকে কোথাও কোনও ভূমিকা পালন করা হচ্ছে না।"

Assembly: বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশবিরোধী কাজ চলছে, যাদবপুর-কাণ্ডে একাধিক অভিযোগ তুলে বিধানসভা ওয়াক আউট BJP-র
বিজেপি বিধায়কদের ওয়াক-আউট
Image Credit source: Tv9 Bangla

Follow Us

কলকাতা: যাদবপুরে পড়ুয়া মৃত্যুর ঘটনায় বিধানসভা উত্তাল করার হুঁশিয়ারি আগেই দিয়েছিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ঠিক সেই ছবিই ধরা পড়ল মঙ্গলবার। যাদবপুর-কাণ্ডে তপ্ত বিধানসভা। তুমুল হট্টগোল বিজেপি বিধায়কদের। ওয়াকআউট করলেন তাঁরা। শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিধানসভার বাইরে বেরিয়ে আসেন বিজেপি বিধায়করা। বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা।

বিজেপি বিধায়কদের মূল বক্তব্য, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু যাদবপুর-কাণ্ডের সব দায় রাজ্যপালের উপর চাপাচ্ছেন। শুধু তাই নয়, খড়গপুর-হিমাচল প্রদেশ সহ একাধিক জায়গার র‌্যাগিংয়ের প্রসঙ্গ টেনে দায় এড়াতে চাইছেন। এ দিন, বিধানসভায় ব্রাত্য বসুর জবাবি ভাষণের পর স্লোগান দিতে শুরু করেন পদ্ম বিধায়করা। গলায় কালো উত্তরীয় পড়ে-পোস্টার হাতে নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে-দেখাতে বিধানসভার বাইরে বেরিয়ে আসেন।

বিজেপি বিধায়করা বিশ্ববিদ্যালয়ে উগ্র বাম মানসিকতার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। সরাসরি ব্রাত্য বসুর দিকে আঙুল তোলেন। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “এই উগ্র বাম এবং মক্তমনা মানসিকতাকেই সমর্থন করছেন ব্রাত্য বসু। অর্থাৎ রাজ্য সরকারের তরফ থেকে কোথাও কোনও ভূমিকা পালন করা হচ্ছে না।”

এ দিন শুভেন্দু বলেন, “যে ঘটনা ঘটেছে তা দুঃখজনক গোটা বঙ্গের কাছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে উগ্র বাম মানসিকতা কাজ করে। এরা দেশ বিরোধী কথা বলে। ইউজিসি-র নিয়ম এখানে মানা হয় না।” একই সঙ্গে যাদবপুরের মাদক সেবন নিয়েও অভিযোগ করেন বিরোধী দলনেতা। বলেন, “যাদবপুরে রাতের অন্ধকারে মাদক পাচার চক্রের রমরমা ছিল। থানাও কোনও পদক্ষেপ করেনি। ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া ও কর্তৃপক্ষর একাংশের যোগ রয়েছে।”

প্রসঙ্গত, এ দিন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রসঙ্গ ওঠে বিধানসভার অধিবেশনে। বিরোধীদের প্রশ্নের একের পর এক জবাব দেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। খড়গপুর আইআইটি সহ কেন্দ্রীয় সরকার অধিনস্ত একাধিক কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের র‌্যাগিংয়ের প্রসঙ্গ টানেন। একই সঙ্গে ক্ষোভ উগরে দেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে। বলেন যে রাজ্যপাল নির্দেশিকা পাঠাতে পারে। কার্যকর করবে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু রাজ্যপাল নিজের ইচ্ছা মত লোক নিয়োগ করেন। আবার তাঁকে সরিয়ে দেন। ব্রাত্য বসুর কথায়, স্থায়ী উপাচার্য না থাকার কারণেও সঠিক কোনও নির্দেশিকা জারি করা সম্ভব হয়নি বিশ্ববিদ্যালয়ে।

 

 

 

Next Article