রাজারহাট: পুলিশের মারে রাজারহাট থানায় (Rajarhat Police Station) পুলিশের মারে এক বিজেপি কর্মীর মৃত্যুর অভিযোগে হুলুস্থুল পরিস্থিতি। অভিযোগ, দুয়ারে সরকার (Duare Sarkar) শিবিরে গণ্ডগোলের মধ্যে এক বিজেপি কর্মী সঞ্জয় ঘোষকে বেধড়ক মারধর করা হয়। মারতেে মারতেই তাঁকে পুলিশ ভ্যানে তোলা হয় বলে অভিযোগ আন্দোলনকারীদের। এর পর লক আপে থাকার সময় অসুস্থ হয় মারা যায় সে। এই মৃত্যুকে কেন্দ্র তীব্র উত্তেজনা এলাকায়।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাজারহাট চাঁদপুরে দুয়ারে সরকারের (Duare Sarkar) ক্যাম্পে ব্যাপক ভিড় হয়। রাজ্যের নয়া প্রকল্প লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের (Lakshmir Bhandar) সুবিধা নিতে হাজির হওয়া বিশাল সংখ্যক মানুষের ভিড় সামাল দিতে কার্যত ব্যর্থ হয় প্রশাসন। সেই ভিড়কে কেন্দ্র করে ঠেলাঠেলি, গুঁতোগুঁতি শুরু হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে যায় রাজারহাট থানার পুলিশ। স্থানীয়দের অভিযোগ, স্থানীয় যুবক সঞ্জয় ঘোষকে সেই লাইন থেকে মারধর করতে করতে পুলিশ ভ্যানে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। অভিযোগ, থানায় পুলিশের মারে অসুস্থ হলে সঞ্জয়কে নিয়ে যাওয়া রেকজোয়ানী ব্লক হাসপাতালে। কিন্তু সেখান থেকে অন্য হাসপাতালে স্থানান্তর করেন চিকিৎসকেরা। এর পর সঞ্জয়কে বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এই মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই শুক্রবার রাজারহাট থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মৃত বছর ৩৫-এর সঞ্জয় ঘোষের বাড়ি চাঁদপুরের ঘোষ পাড়ায় বলে জানা গিয়েছে। এএলাকায় সক্রিয় বিজেপি কর্মী বলে পরিচিত তিনি।
পুলিশের তরফে অবশ্য অভিযোগ, বৃহস্পতিবার চাঁদপুর হাইস্কুলে দুয়ারে সরকার চলাকালীন চাঁদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের এলাকার বাসিন্দা সঞ্জয় ঘোষ মদ্যপ অবস্থায় হাজির হন সরকারি ক্যাম্পে। সেখানে অশান্তি পাকানোর অভিযোগ ওঠে তাঁরা নামে। এদিকে থানায় পুলিশ তাঁকে মারতে মারতে নিয়ে আসে থানায়। স্থানীয়দের অভিযোগ, সঞ্জয়কে থানার লকআপে মারধর করা হয়েছে।
মৃতের দাদার অভিযোগ, “সকালে ফোন করে বলা হয় ছেড়ে দেওয়া হবে। তার পর বিকালে বলে (পুলিশ) অসুস্থ তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার পর বলল মারা গিয়েছে।” পুলিশের মারে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তাঁরা।
তারপরেই সঞ্জয় অসুস্থ হয়ে পড়লে আজ সকালে তাঁকে রাজারহাট রেকজোয়ানী ব্লক হাসপাতালে পরে বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপরেই স্থানীয় ও মৃতের পরিবারের লোকজন রাজারহাট থানা ঘেরাও করেন। বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। পুলিশ কেন মারধর করল সেই বিষয়ে জানতে চাওয়া হয় এই মুহূর্তে রাজারহাট থানায় ঘেরাও করা হয়। এদিকে বিক্ষোভকারীদের মধ্যে একজন জানান, পুলিশের কাছে মৃতের পরিবারের জন্য আর্থিক ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়েছে। পুলিশ এরকম কোনও প্রতিশ্রুতি দিতেে অপারগ বলে জানিয়েছে।
এর পর বিক্ষোভ আরও চরম আকার নেয়। ‘পুলিশ তুমি জবাব দাও’ বলে স্লোগান ওঠে। থানা ঘেরাও করে চলতে থাকে বিক্ষোভ। এদিকে পুলিশ অফিসাররা পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করছেন।