কলকাতা: মহেশতলার জিঞ্জিরা বাজার এলাকা থেকে উদ্ধার ঠাকুমা ও নাতির রক্তাক্ত দেহ (Body Recovered)। মৃত বৃদ্ধার নাম মায়া মণ্ডল (৬০) ও তাঁর নাতির নাম সোনু মণ্ডল (১২)। মহেশতলা (Maheshtala) জিনজিরা বাজার তদন্ত কেন্দ্রের পাশে একটি দোতলা বাড়ি থেকে শুক্রবার এই দুইজনের দেহ উদ্ধার করা হয়। বাড়িতে বৃদ্ধা ও তাঁর নাতি ছাড়াও থাকেন বৃদ্ধার স্বামী ও তাঁর ছেলে। তবে ঘটনার সময়ে বৃদ্ধার ছেলে বাড়িতে ছিলেন না। স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে খবর, বৃদ্ধার ছেলে মানসিক ভারসাম্যহীন। অন্যদিকে বৃদ্ধার স্বামীও পক্ষাঘাতগ্রস্ত এবং দীর্ঘদিন ধরেই শয্যাশায়ী। বৃদ্ধার নাতি সোনুকে পড়ানোর জন্য প্রতিদিনই এক গৃহশিক্ষক ওই বাড়িতে যেতেন। এদিনও যখন তিনি মহেশতলার ওই বাড়িতে যান, তখন তিনিই প্রথম বৃদ্ধা ও কিশোরের দেহ দেখতে পান।
ঘরের মধ্যে মেঝেতে বৃদ্ধা ও তাঁর নাতির দেহ পড়ে ছিল। উভয়েরই রক্তাক্ত দেহ। মেঝেতে রক্তে মাখামাখি। মাথায় গুরুতর আঘাত রয়েছে উভয়েরই। ওই গৃহশিক্ষকই প্রথমে খবর দেয় থানায়। দেহ পড়ে থাকার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে মহেশতলা থানার পুলিশ। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই জনের দেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা ঠাকুমা ও নাতি দু’জনকেই মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে গোটা এলাকায়। কীভাবে ওই দুইজনের মৃত্যু হল, সেই বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশ দুইজনের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই বোঝা যাবে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ।
এদিকে পুলিশ ইতিমধ্য়েই গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করে দিয়েছে। বাড়ির আশপাশের এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে খুন করা হয়ে থাকতে পারে ঠাকুমা ও নাতিকে। তবে যদি খুন করা হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে কী কারণে খুন করা হয়েছে সেটিও এখনও স্পষ্ট নয়। কারণ, বাড়ি থেকে কিছুই চুরি যায়নি বলেই প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে খুনের মোটিভ কী থাকতে পারে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে এই কাজ কোনও একজনের দ্বারা সম্ভব নয় বলেই মনে করছে পুলিশ।