কলকাতা: প্রাথমিকে ৩৬ হাজার নিয়োগ (Primary Recruitment) বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। আর এরপর থেকেই শোরগোল গোটা রাজ্যে। তৎপরতা বেড়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের (West Bengal Board of Primary Education) অফিসেও। আদালতের নির্দেশনামা এখনও পর্ষদের হাতে এসেছে পৌঁছায়নি, তবে ইতিমধ্যেই আইনি পরামর্শ নেওয়া শুরু করে দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল জানাচ্ছেন, যথাসময়ে আইনি পদক্ষেপ করা হবে। আদালতের নির্দেশে যে ৩৬ হাজারের চাকরি বাতিল হল, বলা হচ্ছে তাঁরা অপ্রশিক্ষিত। কিন্তু এই তত্ত্ব মানতে নারাজ গৌতমবাবু। পর্ষদ সভাপতির বক্তব্য, সবাই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। ওডিএল মোডে সবাইকেই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
গৌতম পাল জানাচ্ছেন, ‘যখন নিয়োগ হয়েছিল, তখন এনসিটিই নিয়ম অনুযায়ী অপ্রশিক্ষিতরাও পরীক্ষায় বসতে পারতেন। এনসিটিই-র নিয়ম মোতাবেক, চাকরি পাওয়ার ছয় মাসের মধ্যে তাঁদের প্রশিক্ষণ করিয়ে নিতে হত এবং সেই মতো ট্রেনিং করিয়ে নেওয়া হয়েছিল।’ তাহলে কি এই ৩৬ হাজার যাঁরা এতদিন ধরে চাকরি করছেন, এরা প্রত্যেকেই যোগ্য? পর্ষদ সভাপতি বলছেন, ‘হ্যাঁ, এদের প্রত্যেকের যোগ্যতামান রয়েছে।’ টিভি নাইন বাংলার প্রতিনিধিতে গৌতম পাল আরও জানান, ‘আমরা আইনি পরামর্শ নিচ্ছি। পর্ষদ রাতারাতি কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। পর্ষদ আইন মেনে যাঁরা চাকরি করছেন, তাঁদের ভবিষ্যতের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে যথাযথ ভূমিকা পালন করবে।’
কিন্তু একধাক্কায় যদি এভাবে ৩৬ হাজার নিয়োগ বাতিল হয়ে যায়, তাহলে কি রাজ্যের প্রাথমিক স্কুলগুলি বিড়ম্বনায় পড়বে না? প্রশ্ন করা হলে পর্ষদ সভাপতির সোজাসাপ্টা বক্তব্য, ‘রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থা এখন গোটা দেশের মধ্যে এক নম্বরে। বিশেষ করে বড় রাজ্যগুলির মধ্যে। অধিকাংশ স্কুলে আরটিই নিয়ম অনুযায়ী পড়ুয়া ও শিক্ষক অনুপাত বজায় রাখা হচ্ছে। কিছু জায়গায় ঘাটতি রয়েছে। সেখানে নতুন নিয়োগ করে ঘাটতি পূরণ করার চেষ্টা চলছে। এখন ৩৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি যদি বাতিল হয়, তাহলে শিক্ষাক্ষেত্রের সামগ্রিক ব্যবস্থায় একটি চরম ধাক্কাই কেবল নয়, একটি বিশৃঙ্খলা তৈরি হবে আগামী দিনে।’