Recruitment Scam: কখনও ১৯১১, কখনও ৮৪২; ৩৬ হাজারের আগেও চাকরি বাতিলের একাধিক নির্দেশ হাইকোর্টের

Recruitment Scam: অনেকগুলি মামলাতেই পরে নিয়োগ বাতিলের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট।

Recruitment Scam: কখনও ১৯১১, কখনও ৮৪২; ৩৬ হাজারের আগেও চাকরি বাতিলের একাধিক নির্দেশ হাইকোর্টের
নিয়োগ দুর্নীতি মামলা

| Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

May 13, 2023 | 1:13 AM

কলকাতা: শুক্রবার হাইকোর্টে বড় ধাক্কা খেয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। একসঙ্গে ৩৬,০০০ শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে চাকরি বাতিলের নির্দেশ এই প্রথম নয়। এর আগেও একাধিকবার দুর্নীতি ও বেনিয়মের অভিযোগে চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। একনজরে সেই সব নির্দেশ:

  1. ১ হাজার ৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মীর সুপারিশপত্র প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। নির্দেশের পরেই ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে চাকরি বাতিলের কথা জানিয়ে দিয়েছিল এসএসসি। মূলত ওএমআরে কারচুপির অভিযোগ উঠেছিল। পরে স্কুল সার্ভিস কমিশনের আইনজীবী আদালতে স্বীকার করে নেন, ১,৯১১ জন গ্ৰুপ–ডি প্রার্থীকে বেনিয়মে নিয়োগ করা হয়েছিল। এরপরই চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেওয়া হয়। পরে সুপ্রিম কোর্ট সেই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়েছে।
  2. গ্রুপ সি মামলায় ৮৪২ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ওএমআরে কারচুপির অভিযোগ সামনে আসার পর তদন্ত হয়। স্কুল সার্ভিস কমিশন স্বীকার করে নিয়েছিল ৭৫৮ জনের সুপারিশ করা হয়েছিল, যাঁদের ওএমআরে কারচুপি হয়েছে। সওয়াল-জবাবের পর ৮৪২ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেওয়া হয়। পরে শীর্ষ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, চাকরি বাঁচে ওই শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের।
  3. নবম-দশমের নিয়োগ মামলায় ৮০৫ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। মার্চ মাসে সেই নির্দেশ কার্যকর করা হয়। তাঁদের মধ্যেই ৬১৮ জনের চাকরির নিয়োগপত্র বাতিল করে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।
  4. হাইকোর্টের নির্দেশে ২৬৯ জনের প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল হয়েছিল। পরবর্তীতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ আপাতত সেই চাকরিগুলি বহাল রাখার নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।