কলকাতা: সামনেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayet Election 2023)। তার আগে বেশ আত্মবিশ্বাসী তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্যাবিনেটের অন্যতম সদস্য রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu) এদিনে আত্মবিশ্বাসী সুরে বুঝিয়ে দিলেন, তৃণমূল নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় যখন নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় গ্রেফতার, তখন ব্রাত্য বসুর বক্তব্য, “প্রশাসনিক স্বচ্ছতার সঙ্গে রাজনৈতিক স্বচ্ছতা সমানুপাতিকভাবে মেশানো হয়েছে।” সঙ্গে ঠারে ঠোরে এও বুঝিয়ে দিলেন যে অতীতে বার বার দুর্নীতির অভিযোগ উঠলেও, ভোট গিয়েছে তৃণমূলের পক্ষে। বললেন, “মাথায় রাখবেন ২০১১ সালে আমরা ক্ষমতায় আসার পর ২০১৪ সালের আগে সারদা স্ক্যাম হয়। ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে ৩৪টি আসন জিতি আমরা। ২০১৬ সালের ভোটের আগেও ওই একই স্ক্যাম আমাদের ধাওয়া করে এবং নারদা হয়। আমরা ২০০ আসন পার করি।”
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগেও যে এই দুর্নীতির অভিযোগকে হাতিয়ার করেও বিরোধী শিবির কোনও লাভ করতে পারেনি, এদিন তাও বুঝিয়ে দিতে চাইলেন ব্রাত্য। বললেন, “২০২১ সালের আগেও সারদা ও আরও অন্যান্য স্ক্যাম আমাদের পিছনে বলা হয়। কিন্তু ২০০-র থেকেও বেশি আসন জিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসেন। পঞ্চায়েত ভোটের পর আমরা এই বিষয়ে বিস্তারিত উত্তর দেব।”
রাজ্য সরকারের বিভিন্ন জনহিতকর প্রকল্পগুলির সুবিধা পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল পাবে বলেই আশাবাদী তিনি। সঙ্গে অবশ্য এও জানিয়ে দেন, সমীকরণ সবসময় একইরকম হয় না। অতীতে যে এমন উদাহরণ রয়েছে, সেই কথাও এদিন সাংবাদিক বৈঠকে তুলে ধরেন ব্রাত্য বসু। সঙ্গে বিরোধীদের কটাক্ষ করে বললেন, “২৪টি জেলা পরিষদ তৃণমূল জিতুক, এটা আমরা চাই না। বিরোধীরাও কিছু কিছু পাক। মানুষ যদি আমাদের সব ভোট দিয়ে দেয়, কী করতে পারি বলুন তো? আমরাও চাই বিরোধীরা কিছু কিছু পাক। এত কুৎসা করছে, একটা দুটো আসনও পাবে না? কী করা যাবে! সব মানুষ তৃণমূলকেই ভোট দিচ্ছে।”
ব্রাত্য বসুর এই মন্তব্য নিয়ে বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “সারদা, নারদার দুর্নীতিতে যে তৃণমূল যুক্ত, উনি কি সেটাই বোঝাতে চাইছেন? একটি নির্বাচনে জেতা-হারা সব প্রশ্নের উত্তর হতে পারে না। পশ্চিমবঙ্গের প্রান্তিক মানুষদের প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা লুঠ হয়ে গিয়েছে। এই লুঠের সঙ্গে কে বা কারা যুক্ত, তা নিয়ে দীর্ঘদিন তদন্ত চলেছে। আসলে তৃণমূল কংগ্রেসের দম্ভের প্রকাশ হচ্ছে এই বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে। আর ভোটে জিতলেই সব পাপস্খলন হয়ে যাবে।”