কলকাতা: চাকরি বাতিল হওয়ায় আত্মহত্যার ঘটনায় মর্মাহত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। গতকাল মুখ্যমন্ত্রী অনুরোধ করেছিলেন, ‘দয়া করে কথায়-কথায় চাকরিটা খাবেন না।’ প্রশ্ন করেছিলেন, ‘হঠাৎ করে চাকরি চলে গেলে তারা খাবে কি? তাদের সন্তানদের মুখে কীভাবে খাবার তুলে দেবে?’ মুখ্যমন্ত্রী মানবিক দিক থেকে কথাগুলি বলেছিলেন। কিন্তু যাঁরা অযোগ্য, তাঁদের চাকরি যাবে এটাই কি স্বাভাবিক নয়? এমন প্রশ্ন ইতিমধ্যেই উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে। এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল টিভি নাইন বাংলার তরফে প্রশ্ন করা হয়েছিল রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে (Bratya Basu)।
ব্রাত্য বসুর ব্যাখ্যা, মুখ্যমন্ত্রী কোনও নির্দিষ্ট দফতরকে উদ্দেশ্য করে কথাগুলি বলেননি। তিনি বৃহত্তর অর্থে ওই কথা বলেছেন বলেই জানালেন শিক্ষামন্ত্রী। ব্রাত্য বসুর কথায়, ‘আমার মনে হয় না, মুখ্যমন্ত্রী কাল যে কথা বলেছেন, তার সঙ্গে নির্দিষ্ট কোনও দফতর বা নির্দিষ্ট কোনও স্ক্যাম জড়িয়ে রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী একটি বৃহত্তর জায়গা থেকে কথাটি বলেছেন।’
মুখ্যমন্ত্রীর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তাঁর অভিজ্ঞতা, দূরদর্শিতা, চিন্তাভাবনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি কি মুখ্যমন্ত্রীর কথার উপর প্রতিক্রিয়া জানানোর অধিকারী? আমার মনে হয় নয়। কারণ, আমি মুখ্যমন্ত্রীর আইনজীবী নই।’ শিক্ষামন্ত্রীর ব্যাখ্যা, মুখ্যমন্ত্রী কোনও নির্দিষ্ট দফতরের কথা বলেননি। তিনি কোনও পর্ষদের কথাও বলেননি। তিনি একটি জেনারেল কথা বলেছেন, যার সঙ্গে মানবিকতা জড়িয়ে রয়েছে। তিনি একটি বৃহত্তর জায়গা থেকে কথাটি বলেছেন।’
ব্রাত্য বসু আরও জানান, যাঁরা যোগ্য চাকরিপ্রার্থী, যাঁরা আন্দোলন করছেন, তাঁদের জন্যও মুখ্যমন্ত্রী সমানভাবে চিন্তিত। অতীতে যে মুখ্যমন্ত্রী কমিটি তৈরি করে দিয়েছিলেন সেই কথাও বললেন তিনি। শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য, ‘মুখ্যমন্ত্রীর সদিচ্ছার কোনও অভাব নেই। সুপার নিউমারারির পোস্ট তৈরি করা হয়। তারপর তা আদালতে আটকে যায়।’
উল্লেখ্য, গতকাল মুখ্যমন্ত্রী অনুরোধ করেছিলেন, যাতে তারা আবার পরীক্ষা দিয়ে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করতে পারে, এমন কোনও একটি ব্যবস্থা যেন করা হয়। বলেছিলেন, ‘আইন অনুযায়ীই তাদের চাকরিটা ফিরিয়ে দিন। প্রয়োজনে নতুন করে পরীক্ষা নিন। যেমন নির্দেশ দেবেন সেই মতো কাজ করব।’ মুখ্যমন্ত্রীর এই কথাগুলির পর থেকে জোর চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।