কলকাতা : রাজ্যপাল ও রাজ্যের সংঘাত যত বাড়ছে, ততই বিপাকে পড়ছেন নব-নিযুক্ত উপাচার্যরা। রাজ্যপাল বলছেন, উপাচার্য পদ গ্রহণ করুন। আর শিক্ষামন্ত্রী বলছেন, প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করুন। এই জটিলতার মধ্যে বেশ কয়েকজন অধ্যাপক উপাচার্য পদ গ্রহণও করে নিয়েছেন। তবে রাজ্য তথা উচ্চ শিক্ষা দফতর যে তাঁদের উপাচার্য হিসেবে মানবেন না, সে কথা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বুঝিয়ে দিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এই নিযুক্তিকরণ যে বেআইনি, সে কথা আগেই বলেছেন মন্ত্রী। এই ইস্যুতে আইনজীবীদের পরামর্শও নেবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার বিকাশ ভবনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, যাঁরা রাজভবনের নির্দেশে উপাচার্য পদ গ্রহণ করেছেন, তাঁদের ভিসি হিসেবে মানছে না উচ্চ শিক্ষা দফতর। তিনি আরও বলেন, “ওঁদের তো একটা মান-সম্মান আছে। বেআইনি পথে উপাচার্য পদ নিলে কী হবে, তাঁরা বুঝবেন। আমরা আইনি পরামর্শ নিচ্ছি।” যে ১১ জনকে নিয়োগের চিঠি পাঠানো হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে দক্ষিণ দিনাজপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদ গ্রহণ করেননি গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সৌরেন বন্দ্যোপাধ্যায়।
মোট ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের চিঠি দিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এই খবর প্রকাশ্যে আসার পরই ক্ষোভ প্রকাশ করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি বলেছিলেন, এই নিযুক্তি দফতরের সঙ্গে কোনও আলোচনা ব্যতিরেকে করা হল, যা বর্তমান উপাচার্য নিয়োগের যে নিয়ম আছে, তার সম্পূর্ণ পরিপন্থী এবং বেআইনি।
এদিকে, রাজ্যপালের নির্দেশ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কয়েকজন প্রাক্তন ও বর্তমান উপাচার্য। কেন সার্চ কমিটির বাইরে গিয়ে এই পদক্ষেপ করলেন রাজ্যপাল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে রাজ্য। একই প্রশ্ন তুলেছেন উপাচার্যদের একাংশও।