বজবজের বিস্ফোরণস্থলে সিআইডি। এগরার পর বজবজের বিস্ফোরণস্থলেও তদন্তভার হাতে নিল সিআইডি। কিছুক্ষণ আগেই সেখানে পৌঁছেছেন গোয়েন্দারা। সিআইডি-র এক পদস্থ কর্তার নেতৃত্বে পাঁচজনের একটি দল এসে পৌঁছেছে সেখানে। যে বাড়িটিতে ঘটনা ঘটেছে তার ছাদের উপর গিয়ে বিভিন্ন বিষয় পরীক্ষা নিরীক্ষা করছেন গোয়েন্দারা। এর পাশাপাশি নমুনা সংগ্রহও করছেন তাঁরা। এই নমুনা পাঠানো হবে ফরেন্সিক বিভাগে। তারপরই জানা যাবে কী ধরনের বাজি তৈরি হত এখানে।পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার পর দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজ। বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের জেরে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে বজবজের চিংড়িপোতা গ্রামে। রবিবার সন্ধ্যায় সেখানকার একটি বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের জেরে ঝলতে মৃত্যু হয়েছে তিন জনের। এক জন গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই বিস্ফোরণের ঘটনার পরই পুলিশি তৎপরতাও শুরু হয়েছে ওই গ্রামে।
ধৃত ৩৬ জনের মধ্যে ৩৫ জনকে জামিন দিল আদালত। তাঁদের বিরুদ্ধে জামিন যোগ্য ধারায় মামলা রুজু করেছিল পুলিশ। বজবজ বিস্ফোরণের ঘটনায় ধৃত এক ব্যক্তির পুলিশ হেফাজত হল। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ৩০৪ ধারায় অনিচ্ছাকৃত খুনের অভিযোগে মামলা দায়ের করে পুলিশ। ৩০ মে পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ। পুলিশি হেফাজত হওয়া ওই অভিযুক্তের নাম বেচু মণ্ডল।
বিস্ফোরণের ঘটনার পর ওই এলাকা থেকে বারুদের ড্রাম সহ ৩৭ হাজার কেজি বাজি বাজেয়াপ্ত করেছে মহেশতলা ও বজবজ থানার পুলিশ। বারুদের ড্রাম এবং বাজি রাখা হয়েছে বজবজ থানায়। অত্যন্ত গরমের কারণে বারুদের ড্রাম থেকে ধোঁয়া উড়তে থাকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দমকলের একটি ইঞ্জিন।
বজবজের বিস্ফোরণের ঘটনায় নয় মহিলা সহ গ্রেফতার ৩৬। অভিযুক্তদের সকলের বিরুদ্ধে সোমবার পুলিশ জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করেছে। এ দিন, সকলকে আলিপুর আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
বাজি বিস্ফোরণ নিয়ে মুখ খুললেন তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়। বলেন, “এগরা-বজবজ কাণ্ড খুব ই দুঃখজনক । স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের নজর দেওয়া উচিৎ ছিল।”
গতকাল বজবজের চিংড়িপোতার নন্দরামপুর দাসপাড়ায় একটি বাড়িতে বিস্ফোরণে পুড়ে গিয়ে মৃত্যু হয় তিনজনের। এই ঘটনার পর বাজি বাজার ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে আজ বজবজ থানায় ডেপুটেশন জমা দিল ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যরা।
বজবজের চিংড়িপোতা নন্দরামপুর যে গ্রামে ঘনটাটি ঘটেছে সেই গ্রামে ঢোকার রাস্তা সকাল থেকেই আটকে রেখেছেন এলাকার মানুষজন। তাদের দাবি, বাজি তৈরি এই এলাকার মানুষের রোজগারের মূল উৎস। গতকালের ঘটনার পর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে বিভিন্ন রকম ভাবে খবর দেখানো হয়েছে। এই গ্রাম এবং গ্রামবাসীদেরকে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। আর তার ফলেই রাতভর অতি সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছে পুলিশ। গোটা গ্রামজুড়ে তল্লাশি অভিযান হয়েছে।