Ration Scam: রেশনের ‘কালো’ টাকায় সিনেমা? দুর্নীতিতে অভিযুক্তদের টলিউড-যোগ নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

Abhigyan Naskar | Edited By: Soumya Saha

Oct 28, 2023 | 4:45 PM

Bakibur Rahaman: ইডি সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, এই বাকিবুর রহমান রেশনের সামগ্রী খোলা বাজারে বিক্রি করে বিপুল সম্পত্তির পাহাড় বানিয়েছেন বলে অভিযোগ। আবার রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সঙ্গেও তাঁর একাধিক যোগসূত্র পাওয়া গিয়েছে বলে ইডি সূত্রে দাবি। সেই বাকিবুরের সঙ্গে টলিউড কানেকশন নিয়ে মুখ খুলতে শুরু করেছেন রাজনীতিক থেকে শুরু করে অভিনয় জগতের সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন মানুষ।

Ration Scam: রেশনের কালো টাকায় সিনেমা? দুর্নীতিতে অভিযুক্তদের টলিউড-যোগ নিয়ে উঠছে প্রশ্ন
বাকিবুর রহমান
Image Credit source: facebook

Follow Us

কলকাতা: এবার রেশন দুর্নীতিতে অভিযুক্ত বাকিবুর রহমানের সঙ্গেও পাওয়া গেল টলিউড লিঙ্ক। সিনেমায় টাকা ঢেলেছিলেন বাকিবুর। ধৃত প্রভাবশালী ব্যবসায়ীর প্রযোজনায় নির্মিত হয়েছিল সিনেমা। এর আগে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্তদের সঙ্গেও পাওয়া গিয়েছিল টলিউড কানেকশন। কেন বার বার এভাবে দুর্নীতিতে অভিযুক্তদের নাম উঠে আসছে টলিউড যোগে? এই নিয়ে ইতিমধ্যেই চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে বিভিন্ন মহলে।

কারণ, ইডি সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, এই বাকিবুর রহমান রেশনের সামগ্রী খোলা বাজারে বিক্রি করে বিপুল সম্পত্তির পাহাড় বানিয়েছেন বলে অভিযোগ। আবার রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সঙ্গেও তাঁর একাধিক যোগসূত্র পাওয়া গিয়েছে বলে ইডি সূত্রে দাবি। সেই বাকিবুরের সঙ্গে টলিউড কানেকশন নিয়ে মুখ খুলতে শুরু করেছেন রাজনীতিক থেকে শুরু করে অভিনয় জগতের সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন মানুষ।

বাংলা চলচ্চিত্র জগতের অন্যতম পরিচিত মুখ তথা বিজেপি নেতা রুদ্রনীল ঘোষ। তাঁর বক্তব্য, “কেউ কেউ আছেন, যাঁরা টলিউডকে অপারেট করেন, যাঁরা টলিউডে নিজেদের অসাধু ব্যবসায়ীদের দিয়ে বিনিয়োগ করান… ফলে এই বৈমাতৃসুলভ আচরণ তো হবেই। তবে এটা কোনও চিরকালীন বন্দোবস্ত হতে পারে না। টলিউড ইন্ডাস্ট্রিকে কোনওদিন রাজনীতি অপারেট করেনি। রাজনীতি টলিউডের জন্ম দেয়নি।” এই ধরনের পরিস্থিতির জন্য ‘তৃণমূলীয় রাজনীতিকেই’ কাঠগড়ায় তুলছেন রুদ্রনীল। তবে রুদ্রনীল আশাবাদী, এইভাবে অসৎ উপায়ের টাকা টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে ঢোকা বন্ধ হবেই।

বাকিবুরের এই টলিউড কানেকশন নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কেও। কিছুটা হেসে তিনি বললেন, “হতে পারে। আমি কোনও সম্ভাবনাই উড়িয়ে দিচ্ছি না। তবে যদি কেউ দোষী প্রমাণিত হয়, দ্রুত এই মামলাগুলি শেষ করা হোক। নাহলে এতবছর ধরে মামলা চলায়, মানুষের বিচারব্যবস্থার উপর থেকে আস্থা চলে যাচ্ছে।”

Next Article