কলকাতা: একদিকে ডিএ মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য সরকার। নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আর্জি জানানো খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, ডিএ সংক্রান্ত আদালত অবমাননার মামলায় রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং অর্থসচিবের বিরুদ্ধে কেন রুল জারি হবে না, তার ব্যাখ্যা চেয়ে হলফনামা তলব করেছে হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন এবং বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তর ডিভিশন বেঞ্চের তরফ থেকে এই হলফনামা তলব করা হয়েছে।
এ দিন পুনর্বিবেচনার আর্জির পাশাপাশি ডিএ সংক্রান্ত আদালত অবমাননার মামলারও শুনানি ছিল। যে দুই সরকারি কর্মী সংগঠনের তরফে মামলা করা হয়েছিল তাদের একটি সংগঠনের নথিতে কিছু সমস্যা থাকায় এ দিন শুনানি হয়নি। আগামী ৪ নভেম্বরে সেই মামলার শুনানি হবে। তবে এ দিন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদি ও অর্থসচিব মনোজ পন্থের হলফনামা চেয়েছে আদালত।
বকেয়া ডিএ বা মহার্ঘ ভাতা মেটানো রাজ্য সরকারি কর্মীদরা দীর্ঘদিন ধরে আর্জি জানিয়েছেন। কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল তিন মাসের মধ্যে কর্মীদেরে সেই বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দিতে হবে। মে মাসে সেই নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও কর্মীরা বকেয়া ডিএ না পাওয়ায় ফের আদালতের দ্বারস্থ হয় কর্মী সংগঠন। কলকাতা হাইকোর্টে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করে তারা। গত ১৯ অগস্ট শেষ হয়েছে সেই তিন মাসের মেয়াদ। আদালতের নির্দেশ দেওয়া সত্ত্বেও কেন ডিএ দেওয়া হল না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
এ দিকে, তিন মাসের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য সরকারও। রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। বৃহস্পতিবার সেই আর্জি খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। আদালতের তরফে এ দিন স্পষ্ট জানানো হয়েছে, ‘রাজ্য সরকারের আর্জির কোনও মেরিট নেই।’ ডিভিশন বেঞ্চের তরফে বলা হয়েছে, পুনর্বিবেচনার আর্জিকে মান্যতা দেওয়া হবে না।