কলকাতা: হাইকোর্ট নির্দেশ দেওয়ার পরও চাকরি দেওয়া হল না আজও! চরম ক্ষুব্ধ কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম। দীর্ঘদিন চাকরি না হওয়ায় কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ২২ জন মামলাকারী। আদালত চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। চাকরি না হওয়ায় আবারও তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। বৃহস্পতিবার ছিল সেই মামলার শুনানি। অভিযোগ শুনে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আপনাদের আচরণ খুব খারাপ। এবার জেলে পাঠাব আপনাদের।’
নর্থ বেঙ্গল স্টেট ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন (NBSTC)-এর নিয়োগ নিয়ে এই মামলা হয়েছিল। অভিযোগ শুনে এদিন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সংস্থার এমডি-কে নির্দেশ দিয়েছেন, চাকরি না দেওয়া হলে স্বশরীরে আদালতে হাজির হতে হবে।
এদিন সংস্থার তরফে আদালতে জানানো হয়, ২২ জন চাকরি প্রাপকের মধ্যে ন জন নথি জমা দিয়েছেন। বেশ কয়েকজনের বয়স পার হয়ে গিয়েছে বলেও দাবি করে ওই সংস্থা। তবে এই যুক্তি শুনতে নারাজ প্রধান বিচারপতি শিবজ্ঞানম। মামলাকারীদের আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য আদালতে সওয়াল করতে গিয়ে বলেন, ‘এবার লোক গুলো মরে যাবে।’
নথি জমা দেওয়া হয়নি শুনে প্রধান বিচারপতি বলেন, “এগুলো আসলে নির্দেশ এড়ানোর অজুহাত। আর কী ডকুমেন্টস দেবে? এগুলো অপ্রয়োজনীয়। এমডি নির্দেশ পালন করতে চাইছেন না, এটা স্পষ্ট ।”
আর বয়স পেরিয়ে যাওয়ার কথা শুনে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির যুক্তি, ৬২-৬৫ বছর পর্যন্তও কাজ করতে পারেন এই কর্মীরা। এনবিএসটিসি-কে নির্দেশ, আদালতে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। এই নির্দেশ না মানা হলে আগামী ৬ মার্চ সশরীরে আদালতে হাজিরা দিতে হবে এমডি-কে।