কলকাতা: কয়লাকাণ্ডে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠের আবেদন শুনবেন না বলে জানিয়ে দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। সোমবার তিনি জানান, ব্যক্তিগত কারণে সুমিত রায়ের আবেদন তিনি শুনবেন না। ফলে এই মামলা এখন প্রধান বিচারপতির কাছে যাবে। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবই সিদ্ধান্ত নেবেন, এই মামলার শুনানি কোন বিচারপতির এজলাসে হবে। প্রসঙ্গত, সুমিত রায়েরই এক মামলার শুনানি চলাকালীন সম্প্রতি ইডিকে ভর্ৎসনা করেছিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। কেন সাক্ষীদের কলকাতায় নিজাম প্যালেসে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। সংশয় প্রকাশ করেছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের যোগ্যতা নিয়েও। এরইমধ্যে সোমবার বিচারপতি জানিয়ে দিলেন, সুমিত রায়ের মামলা তিনি আর শুনবেন না। ব্যক্তিগত কারণেই এই সিদ্ধান্ত, জানান তিনি।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপ্ত সহায়ক সুমিত রায়। তিনি কয়লা পাচার মামলার অন্যতম সাক্ষীও। আদালত ইতিমধ্যেই তাঁকে রক্ষাকবচ দিয়েছে। দু’ মাসের রক্ষাকবচ রয়েছে তাঁর। কিন্তু রক্ষাকবচের মধ্যেও তাঁকে বারবার ইডি, সিবিআই নোটিস পাঠিয়েছে। এই নিয়ে আদালতে আবেদন জানান সুমিত রায়। তাঁকে দিল্লিতে ইডি ডেকে জেরা করতে চায়। এ নিয়েও আদালতকে জানান সুমিতের আইনজীবী।
গত ১৮ জানুয়ারি এই মামলার শুনানি চলাকালীন ইডির ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা কেন কলকাতায় নিজাম প্যালেস বা অন্যত্র ডেকে সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে না তা নিয়ে জানতে চান। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা সেদিন বলেন, “ইডি কি এতই অযোগ্য যে একজন সাক্ষীকে কলকাতায় জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারছে না তারা? আদালত তো তদন্ত করতে বারণ করেনি। তা সত্ত্বেও কোনও সদর্থক পদক্ষেপ নেই? নিজাম প্যালেস বা অন্যত্র কেন জিজ্ঞাসাবাদ করছে না ইডি? মাত্র দু’বার সমন পাঠিয়ে চুপ কেন? ইডির এই আচরণ মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়।”
১৮ তারিখই কয়লাকাণ্ডে অন্যতম সাক্ষী সুমিত রায়ের রক্ষাকবচের মেয়াদ বাড়ানোর নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। দু’মাসের জন্য এই অন্তর্বর্তী নির্দেশের সময়সীমা বাড়ানোর কথা বলা হয়। এর আগে ২০ ডিসেম্বরও এই রক্ষাকবচ বহালের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন: মঙ্গলবার থেকে ট্রেন-মেট্রোয় ৭৫ শতাংশ যাত্রী পরিবহণ! নয়া নির্দেশিকায় আরও ছাড় নবান্নের