কলকাতা: সন্দেশখালির ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি অপূর্ব সিনহা রায় তাঁর নির্দেশে উল্লেখ করেন, সন্দেশখালির দুটি বিষয় নিয়ে তিনি বিচলিত। প্রথমত, আদিবাসীদের জমি দখল করার অভিযোগ। একইসঙ্গে মহিলাদের মাথায় বন্দুকের নল ঠেকিয়ে ধর্ষণের মতো গুরুতর অভিযোগ। এই ঘটনায় আইনজীবী জয়ন্ত নারায়ণ চট্টোপাধ্যায়কে আদালত বান্ধব হিসেবে নিয়োগ করেছে আদালত। রাজ্যের পিপি দেবাশিস রায়কে এ ব্যাপারে রিপোর্ট পরবর্তী শুনানিতে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছে। ২০ ফেব্রুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানি।
গত কয়েকদিন ধরে সন্দেশখালির প্রত্যন্ত গ্রামের মহিলারা যেভাবে পথে নেমেছেন, তাতে পুলিশ প্রশাসন থেকে রাজ্যের বিচার ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। গ্রামের হাজার হাজার মহিলা গত শুক্রবার লাঠি, বাঁশ, গাছের ডাল রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। সাংবাদিকদের সামনে করেছেন একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ। গ্রামের মহিলাদের অভিযোগ, ‘রাত বিরেতে ঘরে ঢুকে দলীয় কার্যালয়ে মিটিংয়ের নামে তুলে নিয়ে যেত। তখন কোথায় ছিল পুলিশ।’ গ্রামের মহিলাদের আরও অভিযোগ, পুলিশ কোনও এফআইআর নিতে চাইত না। অভিযোগ, পুলিশ এফআইআর নিলেও তা নষ্ট করে দিত। আবার অনেক সময় পুলিশের কাছে গেলে পুলিশই শিবু হাজরা, উত্তর সর্দারদের কাছে পাঠিয়ে দিত বলে অভিযোগ। সেক্ষেত্রে পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধেও গ্রামের মহিলারা ক্ষোভ উগরে দিয়েছে। সঙ্গে জমি দখলেরও অভিযোগ। এবার সন্দেশখালির এই দুটি বিষয়ে অভিযোগের প্রেক্ষিতে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করল কলকাতা হাইকোর্ট।