কলকাতা : প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সিবিআই হাজিরার নির্দেশ ঘিরে তোলপাড় হচ্ছে রাজ্য। আর এরই মধ্যে বড় নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। গ্রুপ সি নিয়োগ দুর্নীতিতে নতুন করে এফআইআরের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চ। উল্লেখ্য, ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ রয়েছে, আজ থেকেই এসএসসি সংক্রান্ত যাবতীয় মামলা শুনতে পারবে সিঙ্গেল বেঞ্চ। এই পরিস্থিতিতে যে সব মামলকারীর মামলা এতদিন ধরে আটকে ছিল, তাঁরা বুধবার যান বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ঘরে। বিচারপতি সেই সময় একইধরনের নির্দেশ দেওয়া মামলাগুলি একইসঙ্গে নেন এবং রায় দেওয়ার সময় বলেন, প্রয়োজনে সিবিআই মন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে। কমিটির যাঁদের যাঁদের নাম উঠে এসেছে, তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে এবং প্রয়োজনে হেফাজতে নেবে।
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ, এমন ক্ষেত্রে সিবিআই গোয়েন্দারা হেফাজতে নিয়ে জেরা করার ক্ষেত্রে দক্ষ। উল্লেখ্য, এর আগে কমিটি পাঁচ সদস্যকে তাঁদের সম্পত্তির হিসেব আদালতে দিতে বলা হয়েছিল। ২০ মে দুপুর ২ টোয় সেই হিসেব দিতে হবে বলে জানিয়েছে আদালত। এর পাশাপাশি সিবিআইকে সংক্ষিপ্ত তদন্তে অগ্রগতির রিপোর্টও ওই দিনই দিতে হবে। শুধু এখানেই থেমে থাকেননি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, এর পাশাপাশি তাঁর আরও মন্তব্য, ‘যেরকমভাবে দুর্নীতি হয়েছে, সেক্ষেত্রে দুর্নীতিবাজকে কলার ধরে নিয়ে আসা উচিত সিবিআইয়ের’।
আদালত জানিয়েছে, সিবিআই যে কোনও ব্যক্তিকে জেরা করতে পারে, সেক্ষেত্রে তিনি প্রভাবশালী বা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বও হতে পারেন। তিনি যদি সহযোগিতা না করেন, তাঁকে হেফাজতে নেবে সিবিআই। সব জেলার এসপিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সিবিআইকে সহযোগিতা করার জন্য। আদালতের মন্তব্য, ‘টাকার খেলা চলেছে বলে মনে হয়, না হলে এমন নিয়োগ হতে পারে না।’
এদিকে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সন্ধে ৬ টার মধ্যে নিজাম প্যালেসে সিবিআই অফিসে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই নির্দেশের পরই তড়িঘড়ি ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী।