কলকাতা: নবম-দশমে আরও ৪০ বেআইনি চাকরি সুপারিশের অভিযোগ। ১৮৩ জনের তালিকার পর এবার আরও ৪০ বেআইনি চাকরি (Recruitment Scam) সুপারিশের অভিযোগ সংক্রান্ত নথি দেখে বেশ বিরক্ত কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর পর্যবেক্ষণ, “এটা কোনও ভূতের কাজ নয়, কমিশনের অফিসে যাঁরা কাজ করেন, তারাই করেছেন।” আজই ওই ৪০ জনের নামের তালিকা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। শুধু তাই নয়, প্রকাশ করতে হবে ওএমআর শিটের কপিও।
প্রসঙ্গত, ওই ৪০ বেআইনি চাকরির সুপারিশের অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য শুক্রবারই বৈঠক হয়েছিল। কমিশনের অফিসে ওই বৈঠকের পর একটা চার্ট তৈরি হয়েছিল, সেটা দুপুর ২টোয় জমা দিতে হবে মামলাকারীদের। সিবিআই জমা দেবে আগামিকাল। কমিশনের তরফের আইনজীবী সুতনু পাত্র এদিন আদালতে জানান, ‘আসল ওএমআর শিট নষ্ট করা হয়ে গিয়েছে।’ আর এই কথা শুনেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রশ্ন, ওএমআর শিট নিয়ে এত প্রশ্নের পর কীভাবে নষ্ট করা হল?
উত্তরে কমিশনের আইনজীবী জানান, ২০১৮-২০১৯ সালের এর মধ্যে ওএমআর শিট নষ্ট হয়েছে। ফলে নম্বরে দুর্নীতি হয়েছে কি না তা দেখতে গেলে গাজিয়াবাদ হার্ড ডিস্ক ও সল্টলেক হার্ড ডিস্ক মিলিয়ে থেকে বোঝা সম্ভব। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার আদালতে দেখা যায়, গাজিয়াবাদের হার্ড ডিস্কে দশ জন এমন রয়েছেন, যাঁদের নম্বর শূন্য। অথচ কমিশনের সার্ভারে নম্বর দেখাচ্ছে ৫৩। বাকিরা যাঁরা ১-২ পেয়েছেন গাজিয়াবাদ সার্ভারে, তাঁদেরও কমিশনের তালিকায় নম্বর হয়ে গিয়েছে কারও ৫১, কারও ৫২। ২০ জন অপেক্ষমান প্রার্থীদের ক্ষেত্রে একইভাবে ৯ থেকে বেড়ে ৪৯ হয়েছে।
এইসব দেখে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ, “এটা কোনও ভূতের কাজ নয়। এটা দেখে স্পষ্ট, এই দুর্নীতি নিশ্চিত ভাবেই তাঁরাই করেছেন, যাঁরা কমিশনের সঙ্গে যুক্ত।” কমিশনকে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, এই ৪০ জনের নাম, রোল নম্বর ও বাকি বিষয় আপলোড করবে। ওএমআর শিটের কপিও আপলোড করতে হবে। মঙ্গলবারই সেই তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।