কলকাতা: খড়গপুরে ছাত্রের রহস্য মৃত্যুতে (Kharagpur IIT Student Death) কাটছে না জট। কর্তৃপক্ষের রিপোর্টে আগেই বিরক্তি প্রকাশ করেছিল আদালত। ২০ ডিসেম্বর খড়গপুর আইআইটির ডিরেক্টরকে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত (Calcutta High Court)। সেই তারিখ বদলে আগামী ২৪ জানুয়ারি করে দেওয়া হল রাজ্যের শীর্ষ আদালতের তরফে। এদিকে ডিরেক্টরের হাজিরা আটকাতে এদিন নতুন রিপোর্ট দেওয়ার সুযোগ চাওয়া হয় আইআইটির আইনজীবীর তরফে। সেই সুযোগ দিলেও ডিরেক্টরকে আগামী ২৪ জানুয়ারি আদালতে হাজিরা দিতে হবে বলে জানিয়ে দেন বিচারপতি রাজা শেখর মান্থা।
সূত্রের খবর, এজলাসেই আইআইটির আইনজীবী বলেন, “খোলা এজলাসে এটা হলে যদি এটা প্রকাশ হয়, তাহলে ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটমেন্ট প্রভাব পরবে। তাই এটা যাতে না প্রকাশ হয় সেই নির্দেশ দিন। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় বিচারপতি বলেন, এটা তাঁর আগে মনে রাখা উচিত ছিল। ছাত্র ও প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে তারই এগিয়ে আশা উচিত ছিল। তিনি সেটা না করে চরম ভাবে বিচারব্যবস্থাকে লঘু করার চেষ্টা করেছেন। আর কোনও কথাই শুনব না। তিনি এসে তার বক্তব্য জানান। তিনি সব কিছুর উর্ধ্বে নন।” ওই ছাত্রকে র্যাগিং করা হয়েছিল বলে আগেই এই মামলায় আগেই নিজের পর্যবেক্ষণে এ কথা জানিয়েছিলেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা।
এদিন আদালতে এ বিষয়ে সওয়াল জবাব চলার সময় রীতিমতো ভর্ৎসনার সুরে বিচারপতি আরও বলেন, “আপনার ডিরেক্টরের শুধু মুখ দেখার সময় কোর্টের নেই। আদালতের অনেক কাজ আছে । কিন্তু এটা আপনাদের হাত থেকে বেরিয়ে গিয়েছে। আপনার ডিরেক্টর বিভ্রান্ত করেছে আদালতকে। তথ্য লুকোনোর ঘটনা সামনে এসেছে। তাঁকে আসতেই হবে। তিনি কী আইনের ঊর্ধ্বে? ডিরেক্টর যা করেছেন, সেটা একেবারে কোর্টকে ভুল দিকে চালনা করার সমান। এর জন্য যতদূর ক্ষমতা প্রয়োগ করা যায় কোর্ট সেটা করবে।” প্রসঙ্গত, গত ১৪ অক্টোবর খড়্গপুর আইআইটি-র হস্টেলের ঘর থেকে এক ছাত্রের পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়। ফয়জান আহমেদ নামে ওই পড়ুয়া বি.টেক মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের তৃতীয় বর্ষের পড়তেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁর মৃত্যু ঘিরে ব্যাপক চাপানউতর চলছিল। ছেলেকে খুন করা হয়েছে বলে দেহ শনাক্ত করতে এসে বলেছিলেন মৃতের বাবা।