কলকাতা : বেলডাঙার ঘটনা নিয়ে এবার তৎপর কলকাতা হাইকোর্ট। সোমবার জেলাশাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ি খতিয়ে দেখে ক্ষতির হিসেব নিয়ে তা চার সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট তৈরি করে জমা দিতে হবে আদালতে। বেলডাঙা পুরসভা ও থানার যাবতীয় সিসিটিভি ফুটেজ মুখবন্ধ খামে রেজিস্টার জেনারেলের কাছে জমা দিতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। কোন দিন থেকে কোন দিন পর্যন্ত কোন এলাকার, কোন সময়ের ফুটেজ দেওয়া হল, তার বিস্তারিত তথ্যও দিতে হবে ফুটেজের সঙ্গে। আগামী ছয় সপ্তাহ পরে পরিস্থিতির অগ্রগতি কতটা হল সেই রিপোর্ট দিতে হবে রাজ্যকে। মামলার পরবর্তী শুনানি ২৮ জুলাই।
বেলডাঙার ঘটনায় ভিডিও ফুটেজের ডিভিআর মামলাকারী ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য যে আদালতকে তুলে হল তা জানিয়েছেন মামলাকারীর তরফে আইনজীবী অনিন্দ্য লাহিড়ী। মামলাকারীর দাবি, রেজিনগর এবং বেলডাঙা – দু’টি থানা এলাকারই সিসিটিভি ফুটেজ দেখা হোক। বেলডাঙা পুর এলাকায় পুরসভার তরফে ১৩৭ টি সিসিটিভি বসানো হয়েছে। সেই সিসিটিভিগুলির ফুটেজ সংগ্রহ করার আবেদন জানানো হয়েছে। মামলাকারী আরও বক্তব্য, ২০১৯ সালেও ওই এলাকায় একইরকম পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়েছিল বাসিন্দাদের। তাই স্থায়ী নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
একইসঙ্গে হাওড়ার বিভিন্ন এলাকায় সাম্প্রতিক ঘটনায় যে বাড়ি ও দোকানগুলির ক্ষতি হয়েছে, সেগুলিকেও দ্রুত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আর্জি জানানো হয়। মামলাকারীর তরফে অপর আইনজীবী শ্রীজীব চক্রবর্তী জানিয়েছেন, “এডিজি হলফনামা দিয়ে দাবি করেছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। অথচ বিরোধীরা সেই এলাকায় গেলে ১৪৪ ধারা জারি হচ্ছে। সভার অনুমতি মিলছে না। তাহলে হলফনামা মিথ্যে।” অন্যদিকে অ্যাডভোকেট জেনারেল জানিয়েছেন, ওই এলাকাগুলিতে ভরসা জোগাতে পুলিশি টহল হচ্ছে। ফুটেজ পরীক্ষায় রাজ্যের আপত্তি নেই। তবে সময় দিতে হবে।
এমন পরিস্থিতিতে সোমবার কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, বেলডাঙা পুরসভা ও থানার যাবতীয় সিসিটিভি ফুটেজ মুখবন্ধ খামে হাইকোর্টের রেজিস্টার জেনারেলের কাছে জমা দিতে হবে। পাশাপাশি ক্ষয়ক্ষতির হিসেবও চার সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট আকারে জমা দিতে বলেছে আদালত।