Nandigram-Singur: ‘সিলেবাসে সিঙ্গুর আছে, নন্দীগ্রাম নেই কেন?’, জনস্বার্থ মামলা খারিজ করল হাইকোর্ট

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Jan 31, 2022 | 1:37 PM

Calcutta High Court: ২০১৭ সালে কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন জ্ঞানেন্দ্রনাথ মান্না।

Nandigram-Singur: সিলেবাসে সিঙ্গুর আছে, নন্দীগ্রাম নেই কেন?, জনস্বার্থ মামলা খারিজ করল হাইকোর্ট
এসএসসি গ্রুপ সি মামলায় নয়া মোড়। ফাইল ছবি।

Follow Us

কলকাতা: ২০১১ সালে বাংলার রাজনীতিতে পট পরিবর্তনের প্রেক্ষাপট তৈরি করেছিল নন্দীগ্রাম (Nandigram), সিঙ্গুরের (Singur) আন্দোলন। ৩৪ বছরের বাম দুর্গের পতন ঘটিয়ে বাংলায় ঘাসফুলের রমরমা এখন। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর সিলেবাসে জায়গা পেয়েছে সিঙ্গুরের লড়াই। কিন্তু নন্দীগ্রাম কেন নেই? এই প্রশ্ন তুলেই ২০১৭ সালে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। সেই মামলা সোমবার খারিজ করে দিল আদালত। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ এদিন আবেদন খারিজ করে মামলাকারীকে জানান, এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট জায়গায় আবেদন করতে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। অর্থাৎ যারা সিলেবাস ঠিক করে, সেখানেই এ বিষয়ে আবেদনের পরামর্শ দেওয়া হয় আদালতের তরফে।

২০১৭ সালে কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন জ্ঞানেন্দ্রনাথ মান্না। তাঁর আবেদন ছিল ইতিহাসে পাতাতে সিঙ্গুর জায়গা পেয়েছে, নন্দীগ্রাম কেন জায়গা পাবে না? সোমবার সেই মামলার শুনানি চলাকালীন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, ইতিহাসের সিলেবাসে কোন বিষয় পড়ানো হবে তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিবেচনাধীন।

সিঙ্গুর আন্দোলন থাকবে কি থাকবে না, নন্দীগ্রাম আন্দোলন থাকবে কি থাকবে না সম্পূর্ণভাবে তা বিবেচনা করবে যারা বিষয়টি দেখে। এরপরই প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, এই মামলা খারিজ করে দেওয়া হল। নন্দীগ্রাম আন্দোলনকে ইতিহাসের সিলেবাসে আনার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

বাংলার রাজনৈতিক ইতিহাসে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ দু’টি নাম সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম। বলা হয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম আন্দোলনই বঙ্গে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে অনুঘটকের কাজ করেছিল। ৩৪ বছর ধরে বাম রাজত্বকে লহমায় মুছে দিয়েছিল সেদিনের নন্দীগ্রাম, সিঙ্গুর। বলা হয়, মমতার সেই অনশন, প্রতিবাদ, ময়দানে নেমে সোচ্চার হওয়া নতুন করে ভাবতে বাধ্য করেছিল এ রাজ্যের মানুষকে।

২০১১ সালে ভোটের বাক্সে তার সর্বতো প্রতিফলন দেখা গিয়েছিল। সিঙ্গুর, নন্দীগ্রামই বাংলায় বাম-রাজনীতির মাটিকে টলিয়ে দিয়েছিল ১১ বছর আগে। সেই বিষয়টিকে সামনে রেখেই জ্ঞানেন্দ্রনাথ মান্না ২০১৭ সালে একটি মামলা দায়ের করেছিলেন। সিলেবাসে সিঙ্গুরের সঙ্গে নন্দীগ্রামকে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি করেছিলেন তিনি। সোমবার আদালত সে মামলাই খারিজ করে দিল।

আরও পড়ুন: ‘আমাদের লাথি মেরে কী হবে, পুলিশকেও বুঝতে হবে তাদের সন্তানরাও সাফার করছে…’, এসএফআই-এর মিছিলে তপ্ত জেলা থেকে শহর

Next Article