কলকাতা: নিট, নেট নিয়ে গোটা দেশের সঙ্গে কলকাতাও সরগরম। আরও এরইমাঝে কলকাতা হাইকোর্টে ইউজিসি-নিট নিয়ে মামলার শুনানি হয়ে গেল শুক্রবার। পরীক্ষার হলে ছেঁড়া OMR শিট দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ফিয়োনা মজুমদার। হাইকোর্টের নির্দেশ, আসল ওএমআর শিট ও সিসিটিভি ফুটেজ এক বছরের জন্য সংরক্ষণ করে রাখতে হবে।
মামলাকারী এমবিবিএস কোর্সের নিট (ইউজিসি) পরীক্ষার্থী। পরীক্ষার হলে তাঁকে ছেঁড়া ওএমআর শিট দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। পরীক্ষার হলে অভিযোগও জানান। মামলাকারীর দাবি, এরপরের নির্দেশের জন্য তাঁকে দেড় ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছিল পরীক্ষার হলে বসে। অবশেষে খুব কম সময়ের মধ্যে পরীক্ষা শেষ করতে হয় তাঁকে। তাঁর আর্জি ছিল, আবারও তিনি যেন পরীক্ষা দিতে পারেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সে আর্জি না মানায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি।
শুক্রবার বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে সেই মামলার শুনানি হয়। আদালতের পর্যবেক্ষণ, পুনরায় ওই পরীক্ষা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ রয়েছে। এই অবস্থায় হাইকোর্ট কোনও নির্দেশ দেবে না। তবে মামলাকারী মনে করলে শনিবার শীর্ষ আদালতে যেতে পারেন। হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, পরীক্ষাকেন্দ্রে মামলাকারী তথা পরীক্ষার্থীর সময় নষ্ট করা হয়েছে, এ নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। এতে তিনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলেও আদালত মনে করছে।
নিটের পরিচালন সংস্থা ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি বা এনটিএ-এর তরফে দাবি করা হয়েছে, ওই ওএমআর শিট স্ক্যান করে দেওয়া হয়েছিল। ছেঁড়া ওএমআর শিট দেওয়া হয়নি। এনটিএ-এর দাবি ছিল, ওএমআর শিটের একটি অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আর দেড় ঘণ্টা বসিয়ে রাখার ঘটনাও ঘটেনি বলে দাবি করে ওই সংস্থা। কয়েক মিনিট নষ্ট হয়েছে বলে জানায় তারা। হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে গ্রেস নম্বর পেয়েছেন এমন ১৫৬৩ জন পরীক্ষার্থীর পুনরায় পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। মামলাকারী চাইলে শনিবারই সুপ্রিম-দুয়ারে যেতে পারেন।