Recruitment Scam: ৩৫০ কোটি টাকার নিয়োগ কেলেঙ্কারি! মুখবন্ধ খামে রিপোর্ট দিল ইডি, বিচারপতির প্রশ্ন, ‘কিংপিন কে?’

সিজার মণ্ডল | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Jul 14, 2023 | 1:59 PM

CBI: সিবিআই এর SP ( SIT) সই করা রিপোর্টে কুন্তল এর করা অভিযোগ ( সিবিআই হেফাজতে অত্যাচার করে অভিষেক এর নাম বোলানোর চেষ্টার অভিযোগ) ভিত্তিহীন বলে জানানো হল আদালতে। সিল করা খামে সিবিআই কুন্তল ঘোষ এর অভিযোগ নিয়ে রিপোর্ট জমা দিল।

Recruitment Scam: ৩৫০ কোটি টাকার নিয়োগ কেলেঙ্কারি! মুখবন্ধ খামে রিপোর্ট দিল ইডি, বিচারপতির প্রশ্ন, ‘কিংপিন কে?’
বিচারপতি অমৃতা সিনহা।
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

কলকাতা: প্রাথমিক নিয়োগ কেলেঙ্কারির শিকড় খুঁজতে গিয়ে এবার ৩৫০ কোটি টাকার দুর্নীতির খোঁজ পেল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি (ED)। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে মুখবন্ধ খামে একটি রিপোর্ট জমা দেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ১৩ জুলাই কুন্তল ঘোষ, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়, অয়ন শীল ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের ১৫ কোটি টাকার অস্থাবর সম্পত্তি, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিস্তারিত এবং ৪৩টি স্থাবর সম্পত্তি প্রসিড অব ক্রাইম হিসাবে অ্যাটাচ করা হয়েছে। সূত্রের দাবি, প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির টাকা বাংলা সিনেমা থেকে স্থাবর সম্পত্তি, অস্থাবর সম্পত্তিতেও বিনিয়োগ করা হয়েছে বলেই ইডির রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে। এখনও পর্যন্ত ১২৬ কোটি ৭০ লক্ষ টাকার সম্পত্তি এবং নগদ অ্যাটাচ করা হয়েছে। বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে এই রিপোর্ট জমা পড়ে। বিচারপতি অর্ডার দেওয়ার সময় ওই রিপোর্টকে উদ্ধৃত করে টাকার কথা বলেন।

অন্যদিকে সিবিআই এর SP ( SIT) সই করা রিপোর্টে কুন্তল এর করা অভিযোগ ( সিবিআই হেফাজতে অত্যাচার করে অভিষেক এর নাম বোলানোর চেষ্টার অভিযোগ) ভিত্তিহীন বলে জানানো হল আদালতে। সিল করা খামে সিবিআই কুন্তল ঘোষ এর অভিযোগ নিয়ে রিপোর্ট জমা দিল। তাদের দাবি, গোটা অভিযোগ ভিত্তিহীন। সংশোধনাগারের বিরুদ্ধেও এদিন আঙুল তোলে সিবিআই। নিয়ম অনুসারে ১৮০ দিনের সিসিটিভি ফুটেজ থাকার কথা। কিন্তু এখানে সাত দিনের বেশি ফুটেজ পাওয়া যায়নি।

বিচারপতি সিনহা এদিন জানতে চান, ‘এত টাকা যদি এই দুর্নীতি থেকে উঠে থাকে, তাহলে আপনারা এখনও এই দুর্নীতির কিংপিন কে, তাকে কেন খুঁজে পাচ্ছেন না?’ মামলাকারী রমেশ মালিকের আইনজীবী আদালতকে জানান, ৪২ হাজার ৯৪৯ জন এখনও চাকরি করছেন যাঁরা নিয়ম মেনে চাকরি পাননি। সেই প্রসঙ্গে আদালত সিবিআইকে নির্দেশ দেয়, ওই শিক্ষকদের মধ্যে কারা কারা বেআইনিভাবে চাকরি পেয়েছেন তা অবিলম্বে খুঁজে বের করে তালিকা তৈরি করে আদালতে জমা দিক।

Next Article